ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেসবুক পোস্টের জেরে নওগাঁয় কলেজ শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ তরুন প্রজন্মের চিন্তা চেতনাকে নিয়ে কাজ করতে হবে- আমিনুল হক জয়পুরহাটে ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিন পর আলোচিত কাফির লাশ উদ্ধার সিরাজদিখানে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও হামলা: আহত-৫ আদমদীঘিতে প্রতারণা করে বোনদের সম্পত্তি লিখে নিল ভাই মিরপুর ইস্টার্ণ হাউজিং ডাইং ফ্যাক্টারিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহাউৎসব প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় গ্রেফতার বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন- মাওলানা ইমতিয়াজ আলম রাজউককে জনবান্ধব করতে আইন ও বোর্ডের গঠন বদলাতে হবে- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সিরাজদিখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা

ত্রিশালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতার মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা, হামলায় আহত- ১৫

ত্রিশাল প্রতিনিধি :

চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশাল বড় মসজিদে মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করেছেন বিএনপি নেতা আতাউর রহমান শামীম ও জামায়াত ইসলামী ত্রিশাল শাখার আমির এনামুল হক মাস্টার ও তাদের সহযোগিরা এমন অভিেেযাগ পাওয়া গেছে। ২৮ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ ত্রিশালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসী তালহা, দীপক, নুর মোহাম্মদ সহ প্রায় ৩০-৪০ জন ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন বিএনপি নেতা শামীম ও জামায়াত নেতা এনামুল হক মাষ্টার। তালহা, দীপক মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের রুমের তালা ভাংতে গেলে মাদ্রাসার কর্মকর্তা ফজলুল হক বাঁধা দেন৷ তখন তাকে বিএনপি নেতা শামীমের ছোট ভাই তারেক তাকে উপর্যুপরি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মোবাইল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন৷ মাদ্রাসার তালা ভাংগা হলে শামীম সেখান থেকে সরে পড়েন। চিহ্নিত সন্ত্রাসী তালহা, দীপক, বিপ্লব, মনির এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদ্রাসায় অবস্থান করছেন। তারা বারবার মাদ্রাসার মুহতামিম ও অন্যান্য স্টাফদের হুমকি দিচ্ছেন মাদ্রাসা ত্যাগ করার জন্য। তালহা,দীপক, বিপ্লব, বিগত স্বৈরাচার সরকারের এমপি আনিসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ দেখা যায় নি। মাদ্রাসার অভ্যন্তরে থাকা ছাত্ররা আতংকিত হয়ে আছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা শামীম, ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও ময়মনসিংহ-৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা: মাহবুবুর রহমান লিটন এর অনুসারী। মাদ্রাসা দখলের নেপথ্যে কাজ করেছে জামায়াত ইসলামী ত্রিশাল শাখার আমি এনামুল হক মাস্টার। এ ব্যাপারে ডা: মাহবুবুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। বিএনপি নেতা শামীম ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের নাম করে হুমকি প্রদান করেন। এতে করে সাধারণ মুসুল্লিরা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ বিএনপি-জামায়াত নেতাদের এ ধরনের আচরণ ত্রিশালবাসীকে বিস্মিত করেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ফেসবুক পোস্টের জেরে নওগাঁয় কলেজ শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ

ত্রিশালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতার মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা, হামলায় আহত- ১৫

আপডেট টাইম : ১০:১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ত্রিশাল প্রতিনিধি :

চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশাল বড় মসজিদে মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করেছেন বিএনপি নেতা আতাউর রহমান শামীম ও জামায়াত ইসলামী ত্রিশাল শাখার আমির এনামুল হক মাস্টার ও তাদের সহযোগিরা এমন অভিেেযাগ পাওয়া গেছে। ২৮ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ ত্রিশালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসী তালহা, দীপক, নুর মোহাম্মদ সহ প্রায় ৩০-৪০ জন ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন বিএনপি নেতা শামীম ও জামায়াত নেতা এনামুল হক মাষ্টার। তালহা, দীপক মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের রুমের তালা ভাংতে গেলে মাদ্রাসার কর্মকর্তা ফজলুল হক বাঁধা দেন৷ তখন তাকে বিএনপি নেতা শামীমের ছোট ভাই তারেক তাকে উপর্যুপরি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মোবাইল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন৷ মাদ্রাসার তালা ভাংগা হলে শামীম সেখান থেকে সরে পড়েন। চিহ্নিত সন্ত্রাসী তালহা, দীপক, বিপ্লব, মনির এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদ্রাসায় অবস্থান করছেন। তারা বারবার মাদ্রাসার মুহতামিম ও অন্যান্য স্টাফদের হুমকি দিচ্ছেন মাদ্রাসা ত্যাগ করার জন্য। তালহা,দীপক, বিপ্লব, বিগত স্বৈরাচার সরকারের এমপি আনিসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ দেখা যায় নি। মাদ্রাসার অভ্যন্তরে থাকা ছাত্ররা আতংকিত হয়ে আছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা শামীম, ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও ময়মনসিংহ-৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা: মাহবুবুর রহমান লিটন এর অনুসারী। মাদ্রাসা দখলের নেপথ্যে কাজ করেছে জামায়াত ইসলামী ত্রিশাল শাখার আমি এনামুল হক মাস্টার। এ ব্যাপারে ডা: মাহবুবুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। বিএনপি নেতা শামীম ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের নাম করে হুমকি প্রদান করেন। এতে করে সাধারণ মুসুল্লিরা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ বিএনপি-জামায়াত নেতাদের এ ধরনের আচরণ ত্রিশালবাসীকে বিস্মিত করেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।