ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মেছিলাম বড় হতে, হয়ে গেলাম ক্ষুদ্র: এক মানবিক আত্মজিজ্ঞাসা নওগাঁয় পৌর কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ শহীদ পরিবারগুলো রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাবে, স্বৈরাচারমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই বিএনপির অঙ্গীকার- আমিনুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ নারী সাংবাদিককে মামলা তুলে নিতে হুমকির অভিযোগ হিউম্যানিটি অব বাংলাদেশের মেডিকেল ক্যাম্পে আমিনুল হক: “অসহায় মানুষের পাশে থাকতে হবে সামাজিক উদ্যোগেই” গণতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি, কিন্তু এখনও পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি: আমিনুল হক নওগাঁয় শফিউল বারির পঞ্চম শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে খেলাধুলা ছড়িয়ে দিতে চায় বিএনপি- আমিনুল হক ২৮ শে জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালিত হয়েছে মহম্মদপুরে ক্লাবের জায়গায় এখন গরুর গোয়াল!

গাজীপুরে এনামুল হত্যার বিচার দাবি

গাজীপুর প্রতিনিধি-
প্রবাসী এনামুল হক ইমামুল হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বড় বোন মোসা. পারভিন। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

সম্মেলনে মোসা. পারভিন জানান, তার ছোট ভাই এনামুল হক ইমামুল প্রায় ১৭ বছর বিদেশে থাকার পর ছয় মাস আগে দেশে ফেরেন। গত ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ সকালে তিনি কৃষিকাজের প্রয়োজনে নগদ টাকা জন্য পারভিনের স্বামীর বাড়ি ধলিসুতায় আসেন এবং পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে নিজ বাড়ি তিলশুনিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে চাঁদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সে কিছু লোকজনকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দৌড়ে প্রবেশ করতে দেখেন। এসময় এনামুল কৌতূহলবশত সামনে এগিয়ে যান এবং ঘটনাটি ভিডিও করতে গেলে ১৫-১৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে।
এ সময় তারা এনামুলকে এলোপাথাড়ি ভেদরক মারধর করে তার মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা হলো চাঁদপুর গ্রামের সোলাইমানের ছেলে তারেক, তিলশুনিয়ার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিন, ভাকোয়াদির আজিজুলের ছেলে রিপন, একই গ্রামের বকুল, কোটবাজালিয়ার সামসুদ্দিন খানের ছেলে মো. সিফাতুল্লাহ ও বড়পুশিয়ার মনির হোসেনের ছেলে সাকিবের নাম উল্লেখ করেন মোসা. পারভিন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পরিবারের সদস্যরা আহত অবস্থায় এনামুলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি ফিরলেও ১৫ জানুয়ারি বিকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হয়ে রাত ১১টার দিকে এনামুল মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। বাবা-মা হারা নিহত একমাত্র এনামুলের ৬ বছর বয়সী একটি সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে।
পারভিন অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডের পরও অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এমনকি ঘটনার পরদিন ১৪ জানুয়ারি তারা এনামুলের ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ও টাকা ফেরত চাইলে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সোলাইমান মোড়ল, সেলিম মেম্বার ও আশরাফুল তাদের হুমকি প্রদান করেন। পরে পুলিশ তিলশুনিয়া গ্রামের আমজাত হোসেনের ছেলে আশরাফুলের কাছ থেকে এনামুলের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে।
পরিবারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তারা প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন।

ট্যাগস

জন্মেছিলাম বড় হতে, হয়ে গেলাম ক্ষুদ্র: এক মানবিক আত্মজিজ্ঞাসা

গাজীপুরে এনামুল হত্যার বিচার দাবি

আপডেট টাইম : ০১:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজীপুর প্রতিনিধি-
প্রবাসী এনামুল হক ইমামুল হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বড় বোন মোসা. পারভিন। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

সম্মেলনে মোসা. পারভিন জানান, তার ছোট ভাই এনামুল হক ইমামুল প্রায় ১৭ বছর বিদেশে থাকার পর ছয় মাস আগে দেশে ফেরেন। গত ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ সকালে তিনি কৃষিকাজের প্রয়োজনে নগদ টাকা জন্য পারভিনের স্বামীর বাড়ি ধলিসুতায় আসেন এবং পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে নিজ বাড়ি তিলশুনিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে চাঁদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সে কিছু লোকজনকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দৌড়ে প্রবেশ করতে দেখেন। এসময় এনামুল কৌতূহলবশত সামনে এগিয়ে যান এবং ঘটনাটি ভিডিও করতে গেলে ১৫-১৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে।
এ সময় তারা এনামুলকে এলোপাথাড়ি ভেদরক মারধর করে তার মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা হলো চাঁদপুর গ্রামের সোলাইমানের ছেলে তারেক, তিলশুনিয়ার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিন, ভাকোয়াদির আজিজুলের ছেলে রিপন, একই গ্রামের বকুল, কোটবাজালিয়ার সামসুদ্দিন খানের ছেলে মো. সিফাতুল্লাহ ও বড়পুশিয়ার মনির হোসেনের ছেলে সাকিবের নাম উল্লেখ করেন মোসা. পারভিন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পরিবারের সদস্যরা আহত অবস্থায় এনামুলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি ফিরলেও ১৫ জানুয়ারি বিকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হয়ে রাত ১১টার দিকে এনামুল মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। বাবা-মা হারা নিহত একমাত্র এনামুলের ৬ বছর বয়সী একটি সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে।
পারভিন অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডের পরও অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এমনকি ঘটনার পরদিন ১৪ জানুয়ারি তারা এনামুলের ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ও টাকা ফেরত চাইলে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সোলাইমান মোড়ল, সেলিম মেম্বার ও আশরাফুল তাদের হুমকি প্রদান করেন। পরে পুলিশ তিলশুনিয়া গ্রামের আমজাত হোসেনের ছেলে আশরাফুলের কাছ থেকে এনামুলের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে।
পরিবারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তারা প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন।