নাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ-
দুই কন্যা সন্তান রেখে স্বর্ণালংকার ও নগদ তিন লাখ অর্থ নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে কুলসুম বেগম নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। ঘটনা সূত্রে জানা যায় মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলা বাসাইল ইউনিয়নের ব্রোজারহাটি গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ৩য় ছেলে সজিব খানের সাথে দীর্ঘ ১২ বছর সাংসারিক জীবন কুলসুম বেগমের। তাদের রয়েছে দুইটি কন্যা ও একটি ছেলে সন্তান গত ১ বছর আগে কুলসুমের স্বামী সজিব খান প্রবাস জীবনে সৌদী আরবে যান। আর এই প্রবাস জীবনই সজিবের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবাসী সজিব যাবার আগে স্ত্রী কুলসুম বেগমের নামে একাউন্ট করে যায় এবং তার প্রবাস জীবনের ১ বছরের সকল অর্থ সেই একাউন্টে প্রেরণ করে ও তাকে দুই ভোরী স্বর্ণালংকার বানিয়ে দেয়। ব্যাংক একাউন্টে রেখে যায় প্রায় তিন লক্ষ টাকার মতো। এ সকল নিয়েই কুলসুম বেগম তার পরোক্রীয়া প্রেমিক একই গ্রামের মঞ্জু মিয়ার ছেলে মিশু-(৩৫) সাথে গত ১০/০৩/২৫ ইং তারিখ আনুমানিক ১০:৩০ মিনিটে পালিয়ে যায়। এ সময় কুলসুমের মা ও পরিবারের লোকজন বাধা দিলে কুলসুম বেগম তার মাকে মারধর করে গলা চেপে ধরে। সেই সাথে তার ননদ জা এবং ভাসুর ও মামা শশুরকে কে হুমকি দেয় তাকে বাধা দিলে সবকটা কে জেলের ভাত খাওয়াবে। এ বিষয়ে সজিবের মা বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। গত কয়েকদিন আগেও কুলসুম বেগম সন্তান সংসার ফেলে মিশু(৩৫) সাথে চলে যায়। এবং জনগণের হাতে ধরা খেলে তার স্বামীর পরিবার এলাকার গন্যমান্যদের নিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনে এবং এলাকার সবাই কুলসুম বেগমকে বুঝায় যাতে সুন্দরভাবে পরিবারের সকলকে নিয়ে সংসার করে। এতোকিছুর পর ও কুলসুম বেগম সন্তানদের কথা চিন্তা না করে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে কুলসুম বেগমের শাশুড়ী স্বামী সজিব খান এর মা মৃত আমজাদ খানের স্ত্রী সালেহা বেগম বলেন আমরা সবাই অনেক চেষ্টা করেও ওকে রাখতে পারলামনা আমাদের সর্বস্বান্ত করে মানইজ্জত ধুলোয় মিশিয়ে ঐ লম্পট সন্ত্রাসী মিশুর সাথে চলে গেলো একটিবারও মেয়ে দুটির কথা ভাবলোনা চিন্তাও করলোনা।
অভিযোগের বিষয়ে সিরাজদিখান থানার তদন্তকারী অফিসার (এস আই) সাইউল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সালেহা বেগমের অভিযোগ পাওয়ার সাথে,সাথে ব্রোজেরহাটি সেই বাড়িতে যাই কিন্তু অভিযুক্ত মিশু ও কুলসুম বেগম কে সেখানে পাওয়া যায়না। আমরা তদন্ত কমপ্লিট করে পরর্বতী ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।