জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড়-
পঞ্চগড়ের বোদায় উপজেলায় বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও অসহায় নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কার্ডের চাল বিতরণে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগে ঝলইশালশিড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন ইউপি সদস্যকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
সোমবার রাতে তাদের ঝলইশালশিড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে ভিডব্লিউবি কার্ডের চাল বিতরণের জন্য সুবিধাভোগী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৫০০ টাকা করে আদায় করেন ওই ইউপি সদস্যরা। এই অভিযোগে পরিষদ চত্বরে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ মানুষ।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। চাল বিতরনে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় মধ্যরাতে ওই ১১ ইউপি সদস্যকে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বিডব্লিউবি কার্ড এর আওতায় গতকাল ঝলইশালশিড়ি ইউনিয়নের ২৫৮টি পরিবারকে মাথাপিছু মাসে ৩০ কেজি হারে জানুয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত ৫ মাসের মোট ১৫০ কেজি করে চাল বিতরন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
আটকৃতরা হলেন, বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরি ইউনিয়ন পরিষদের এক নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান, দুই নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হামিজ উদ্দিন, তিন নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রিয়নাথ রায়, পাঁচ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শুনিল চন্দ্র রায়, ছয় নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দাহির উদ্দিন, সাত নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খাদেমুল ইসলাম, আট নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন ইসলাম, নয় নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম, ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য শেফালী রাণী, ৪.৫.৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য বিলকিস বেগম এবং ৭.৮.৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য রুপালী বেগম।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির বলেন, তারা যে অপরাধটি করেছে, এটা এক ধরনের ফৌজদারি অপরাধ। এখানে আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু অর্থও পেয়েছি। তারা স্বীকার করেছে। সেই অর্থসহ সামগ্রীক বিষয়ে উপযুক্ত আদালতের কাছে আমরা সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমরা আশা করছি আদালত এ ব্যপারে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত দিবেন।