ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উপদেষ্টার নির্দেশনা ছাড়া পিএস’রা দূর্নীতি করে নাই – আমিনুল হক ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি — নবীউল্লাহ নবী মাগুরাতে বাস মোটর সাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩ সিরাজদিখানে ৩০ বছর আগে মৃত্যু ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে জমি হরনের পায়তারা সিরাজদিখানের চিত্রকোটে জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আদমদীঘিতে রেল স্টেশন ঘিরে পশুর হাটে প্রশাসনের নেই বাঁধা, দূর্ঘটনার আশঙ্কা অসুস্হ বিএনপি নেতা রফিকুল আলম মজনুকে দেখতে হাসপাতালে আমিনুল হক ৫ বছর যাবত ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনে লুটপাট করছেন গণপূর্তের নিবাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা! মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক এর লোপাট কাহিনী!
দুদক এবং বিভাগীয় তদন্ত দাবী:

মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক এর লোপাট কাহিনী!

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। নিরাপদ পানি সরবরাহের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ণের দায়িত্ব অর্পন করে ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। পরবর্তীতে ১৯৪৫ সালে এর সাথে যুক্ত করা হয় স্যানিটেশন সেবা প্রদানের দায়িত্ব। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের অব্যহিত পরে সরকার প্রথমেই ধ্বংসপ্রাপ্ত পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন পদ্ধতি গুলোর পুনর্বাসনের গুরুত্বারোপ এবং তৎপরবর্তীতে নতুন অবকাঠামো স্থাপন শুরু করে ডিপিএইচই’র মাধ্যমে। একই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ওয়াসার আওতাধীন এলাকা ব্যতীত (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা ) সমগ্রদেশের নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যাবস্থা নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এ অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত। জনসাধারনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে। জনগণের নিকট নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌছানোর লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন কভারেজের দিক দিয়ে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। পল্লী এলাকার বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ পানির উৎস (টিউবওয়েল) ও স্যানিটারী লেট্রিন স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান দায়িত্ব। তাছাড়া অত্র অধিদপ্তর পল¬ী পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মানোত্তোর রক্ষণাবেক্ষণে ইউনিয়ন পরিষদকে ডঅঞঝঅঘ কমিটির মাধ্যমে কারিগরী সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্য পরিচর্যা জোরদারকরণ এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে। দ্রত নগরায়নের ফলে পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন চহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ চাহিদা পুরণে অত্র দপ্তর পৌরসভা সমূহের পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মাণ সহ কারিগরী সহায়তার আওতায় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে সহায়তা করছে। এছাড়া বন্যা , সাইক্লোন, মহামারী ইত্যাদির কারনে সৃষ্ট জরুরী পরিস্থিতিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সচল রাখার লক্ষ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেটে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। কিন্ত্র এই গওরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু দুর্নীতিবাজ ও অসত প্রকৌশলীর অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সরকার কাংখিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছেন। কাজ না করেই অথবা দায়সারা গোছের কাজ করে ঠিকাদারদের সাথে উন্নয়ন বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা লোপাট করা হচ্ছে। এতকরে সরকারের কাংখিত লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না।

এমন একজন দুর্নীতবাজ প্রকৌশলী হলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে পদন্নোতি পেয়ে ৫ বছর মাগুরা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব পালনকারী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক। আওয়ামী আমলে মাগুরার গডফাদার এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের মেঝভাই সাচ্চুর মাধ্যমে ভুয়া বিল ভাউচারে লোপাট করেছেন কোটি কোটি টাকা। ৫ আগষ্ট ২০২৪ ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারি শাসনামলের পতন হলেও সরকারী সেবামূলক অনেক প্রতিষ্ঠানেই এখনোই বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা। এমনই একজন আওয়ামী সুবিধাবাদী কর্মকর্তা মাগুরা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশল আবু বকর সিদ্দিক। তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদপত্রে অনেক রিপোর্ট প্রকাশ হলেও তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা। এমন কি মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল াবভাগে দায়িত্বের ৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও তাকে বিধি মোতাবেক অন্য জেলায় বদলী করা হয়নি।
তার সম্পর্কে খোজখবর নিতে গিয়ে ডজনখানেক অভিযোগ পাওয়াগেছে। এক. তিনি পাশ^বর্তী বিভিন্ন জেলা ধেকে ঠিকাদারী লাইসেন্স সংগ্রহ করে লাইসেন্স মালিকদের সিল স্বাক্ষর জাল করে নিজেই ঠিকাদারী ব্যবসা করেন। ২. তিনি স্টোরের পুরাতন মালামাল চুরি হয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেন নি। ৩. তিনি সাংবাদিকরা মৌখিকভাবে তথ্য চাইলে দেন না। বলেন তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। ৪, তিনি ঠিকাদারদের কার্যাদেশ প্রদান ও তাদের ওয়ার্কিং কাজের বিল পরিশোধে নানা প্রকার তালবাহানা করেন। ৫% ঘুস না দিলে তিনি কোন চেকে স্বাক্ষর করেন না। ৫. তিনি নিজ অফিসের কর্মচারিদের দিয়ে ঠিকাদারী ব্যবসা করান। ৬. তিনি উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে সুপারভিশন করেন না। ৭. তিনি তার নিজ এলাকার একটি ঠিকাদার সিন্ডিকেট গঠন করে গোটা ৫ বছর দুহাতে সরকারী অর্থ লোপাট করে আসছেন। ৮. তিনি একজন সহকারী প্রকৌশলী হলেও আওয়ামী লীগ আমলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলে মাগুরা জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্বে আসীন হন। ৯. গত ৫ বছর মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দ’ুহাতে টাকা লুটে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। ১০. সম্প্রতি ২৪ কোটি টাকার কাজ টেন্ডার কারসাজি করে আওয়ামীমনা ঠিকাদারদের প্রদান করেছেন। মনে প্রাণে তিনি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রান ডোনার এবং শুভাকাংখী। ১১. তিনি মাগুরা জেলার ৪ টি উপজেলায় প্রাইমারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপটিউবয়েল স্থাপনে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। সিডিউল মোতাবেক কোন কাজই করেন নি। কার্যাদেপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের কাজ ক্রয় করে নিয়ে সাব টেন্ডার হিসাবে নিজ অফিসের কর্মচারিদের মাধ্যমে করাচ্ছেন এবং বিল তুলে ভাগ করে নিচ্ছেন। ১২. বিগত আওয়ামী শাসনামলে তিনি মাগুরার সাবেক এমপি মাফিয়াডন সাইফুজ্জামান শিখরের বাড়ীতে নিয়মিত হাজিরা দিতেন। এবং তার মেঝভাই সাচ্চুর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সমস্ত কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করতেন। এ ছাড়া ভুয়া বিল ভাউচারে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। ১৩. তিনি ঢাকা এবং রাজশাহীতে প্রচুর সম্পদ নামে-বেনামে ক্রয় করেছেন। এসব সম্পদ ক্রয়ে তিনি আয়কর বিভাগকে সমুদয় তথ্য প্রদান করেন নি। গত ৫ বছরের ওয়ার্ক ফাইলগুলো দুদকের মাধ্যমে নীরক্ষিা করলেই তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা লোপাটের প্রমাণ মিলবে বলে দাবী করেছেন মাগুরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা।
উল্লেখিত অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করার জন্য এবং তাকে মাগুরা থেকে বদলী করার জন্য দাবী তুলেছেন সচেতন মাগুরাবাসী। এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এসব মিথ্যা-অপপ্রচার এবং আমার চাকুরীর ক্ষতি করার চেষ্টা। আমি সততার সাথেই দায়িত্ব পালন করছি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

উপদেষ্টার নির্দেশনা ছাড়া পিএস’রা দূর্নীতি করে নাই – আমিনুল হক

দুদক এবং বিভাগীয় তদন্ত দাবী:

মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক এর লোপাট কাহিনী!

আপডেট টাইম : ১০:১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। নিরাপদ পানি সরবরাহের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ণের দায়িত্ব অর্পন করে ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। পরবর্তীতে ১৯৪৫ সালে এর সাথে যুক্ত করা হয় স্যানিটেশন সেবা প্রদানের দায়িত্ব। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের অব্যহিত পরে সরকার প্রথমেই ধ্বংসপ্রাপ্ত পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন পদ্ধতি গুলোর পুনর্বাসনের গুরুত্বারোপ এবং তৎপরবর্তীতে নতুন অবকাঠামো স্থাপন শুরু করে ডিপিএইচই’র মাধ্যমে। একই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ওয়াসার আওতাধীন এলাকা ব্যতীত (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা ) সমগ্রদেশের নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যাবস্থা নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এ অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত। জনসাধারনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে। জনগণের নিকট নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌছানোর লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন কভারেজের দিক দিয়ে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। পল্লী এলাকার বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ পানির উৎস (টিউবওয়েল) ও স্যানিটারী লেট্রিন স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান দায়িত্ব। তাছাড়া অত্র অধিদপ্তর পল¬ী পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মানোত্তোর রক্ষণাবেক্ষণে ইউনিয়ন পরিষদকে ডঅঞঝঅঘ কমিটির মাধ্যমে কারিগরী সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্য পরিচর্যা জোরদারকরণ এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে। দ্রত নগরায়নের ফলে পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন চহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ চাহিদা পুরণে অত্র দপ্তর পৌরসভা সমূহের পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মাণ সহ কারিগরী সহায়তার আওতায় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে সহায়তা করছে। এছাড়া বন্যা , সাইক্লোন, মহামারী ইত্যাদির কারনে সৃষ্ট জরুরী পরিস্থিতিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সচল রাখার লক্ষ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেটে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। কিন্ত্র এই গওরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু দুর্নীতিবাজ ও অসত প্রকৌশলীর অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সরকার কাংখিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছেন। কাজ না করেই অথবা দায়সারা গোছের কাজ করে ঠিকাদারদের সাথে উন্নয়ন বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা লোপাট করা হচ্ছে। এতকরে সরকারের কাংখিত লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না।

এমন একজন দুর্নীতবাজ প্রকৌশলী হলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে পদন্নোতি পেয়ে ৫ বছর মাগুরা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব পালনকারী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক। আওয়ামী আমলে মাগুরার গডফাদার এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের মেঝভাই সাচ্চুর মাধ্যমে ভুয়া বিল ভাউচারে লোপাট করেছেন কোটি কোটি টাকা। ৫ আগষ্ট ২০২৪ ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারি শাসনামলের পতন হলেও সরকারী সেবামূলক অনেক প্রতিষ্ঠানেই এখনোই বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন আওয়ামী সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা। এমনই একজন আওয়ামী সুবিধাবাদী কর্মকর্তা মাগুরা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশল আবু বকর সিদ্দিক। তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদপত্রে অনেক রিপোর্ট প্রকাশ হলেও তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা। এমন কি মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল াবভাগে দায়িত্বের ৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও তাকে বিধি মোতাবেক অন্য জেলায় বদলী করা হয়নি।
তার সম্পর্কে খোজখবর নিতে গিয়ে ডজনখানেক অভিযোগ পাওয়াগেছে। এক. তিনি পাশ^বর্তী বিভিন্ন জেলা ধেকে ঠিকাদারী লাইসেন্স সংগ্রহ করে লাইসেন্স মালিকদের সিল স্বাক্ষর জাল করে নিজেই ঠিকাদারী ব্যবসা করেন। ২. তিনি স্টোরের পুরাতন মালামাল চুরি হয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেন নি। ৩. তিনি সাংবাদিকরা মৌখিকভাবে তথ্য চাইলে দেন না। বলেন তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। ৪, তিনি ঠিকাদারদের কার্যাদেশ প্রদান ও তাদের ওয়ার্কিং কাজের বিল পরিশোধে নানা প্রকার তালবাহানা করেন। ৫% ঘুস না দিলে তিনি কোন চেকে স্বাক্ষর করেন না। ৫. তিনি নিজ অফিসের কর্মচারিদের দিয়ে ঠিকাদারী ব্যবসা করান। ৬. তিনি উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে সুপারভিশন করেন না। ৭. তিনি তার নিজ এলাকার একটি ঠিকাদার সিন্ডিকেট গঠন করে গোটা ৫ বছর দুহাতে সরকারী অর্থ লোপাট করে আসছেন। ৮. তিনি একজন সহকারী প্রকৌশলী হলেও আওয়ামী লীগ আমলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলে মাগুরা জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্বে আসীন হন। ৯. গত ৫ বছর মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দ’ুহাতে টাকা লুটে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। ১০. সম্প্রতি ২৪ কোটি টাকার কাজ টেন্ডার কারসাজি করে আওয়ামীমনা ঠিকাদারদের প্রদান করেছেন। মনে প্রাণে তিনি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রান ডোনার এবং শুভাকাংখী। ১১. তিনি মাগুরা জেলার ৪ টি উপজেলায় প্রাইমারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপটিউবয়েল স্থাপনে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। সিডিউল মোতাবেক কোন কাজই করেন নি। কার্যাদেপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের কাজ ক্রয় করে নিয়ে সাব টেন্ডার হিসাবে নিজ অফিসের কর্মচারিদের মাধ্যমে করাচ্ছেন এবং বিল তুলে ভাগ করে নিচ্ছেন। ১২. বিগত আওয়ামী শাসনামলে তিনি মাগুরার সাবেক এমপি মাফিয়াডন সাইফুজ্জামান শিখরের বাড়ীতে নিয়মিত হাজিরা দিতেন। এবং তার মেঝভাই সাচ্চুর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সমস্ত কাজে ঠিকাদার নিয়োগ করতেন। এ ছাড়া ভুয়া বিল ভাউচারে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। ১৩. তিনি ঢাকা এবং রাজশাহীতে প্রচুর সম্পদ নামে-বেনামে ক্রয় করেছেন। এসব সম্পদ ক্রয়ে তিনি আয়কর বিভাগকে সমুদয় তথ্য প্রদান করেন নি। গত ৫ বছরের ওয়ার্ক ফাইলগুলো দুদকের মাধ্যমে নীরক্ষিা করলেই তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা লোপাটের প্রমাণ মিলবে বলে দাবী করেছেন মাগুরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা।
উল্লেখিত অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করার জন্য এবং তাকে মাগুরা থেকে বদলী করার জন্য দাবী তুলেছেন সচেতন মাগুরাবাসী। এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এসব মিথ্যা-অপপ্রচার এবং আমার চাকুরীর ক্ষতি করার চেষ্টা। আমি সততার সাথেই দায়িত্ব পালন করছি।