বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবুদ্দিন আজমকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এ সময় তার স্ত্রী সঙ্গে থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জি এম সাহাবুদ্দিন গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার বিনাপানি গার্লস স্কুল রোডের বাসিন্দা।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ দুপুরে জি এম সাহাবুদ্দিন তার পরিবার নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনের ডেস্কে পাসপোর্ট জমা দেন। তার পাসপোর্টে স্টপ লিস্ট থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ এবং ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় দুটি পৃথক মামলা থাকায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেন। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় একাধিক মামলাসহ সেনা সদস্যদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা রয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সী জানান, আগে থেকে ইমিগ্রেশনে খবর ছিল গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাবউদ্দিন আজম বেনাপোল দিয়ে ভারতে যেতে পারে। সেই মোতাবেক বহির্গমন বিভাগের সকল অফিসারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। পরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশে করে বহির্গমন ডেস্কে পাসপোর্টে সিল মারার জন্য ডেস্কে পাসপোর্ট জমা দিলে অনলাইনে তার স্টপ লিস্ট থাকায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, ‘ইমিগ্রেশনে আটক আওয়ামী লীগ নেতাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যেহেতু গোপালগঞ্জ ও ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তাই তাকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’