ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহীদ পরিবারগুলো রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাবে, স্বৈরাচারমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই বিএনপির অঙ্গীকার- আমিনুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ নারী সাংবাদিককে মামলা তুলে নিতে হুমকির অভিযোগ হিউম্যানিটি অব বাংলাদেশের মেডিকেল ক্যাম্পে আমিনুল হক: “অসহায় মানুষের পাশে থাকতে হবে সামাজিক উদ্যোগেই” গণতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি, কিন্তু এখনও পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি: আমিনুল হক নওগাঁয় শফিউল বারির পঞ্চম শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে খেলাধুলা ছড়িয়ে দিতে চায় বিএনপি- আমিনুল হক ২৮ শে জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস পালিত হয়েছে মহম্মদপুরে ক্লাবের জায়গায় এখন গরুর গোয়াল! দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজি করলে ছাড় নয়: আমিনুল হক বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

শহীদ পরিবারগুলো রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাবে, স্বৈরাচারমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই বিএনপির অঙ্গীকার- আমিনুল হক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, “২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না। যদি বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়, তাহলে এই শহীদ পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান করা হবে।”

আজ শনিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি ) তে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারবর্গকে সম্মাননায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় আমাদের বলেন—জনগণের পাশে থাকতে, তাদের সঙ্গে থাকতেই রাজনীতি করতে হবে। শহীদদের আত্মত্যাগকে আমরা জাতির ইতিহাসে অমর করে রাখব। তারা আমাদের প্রেরণা।”

‌১৩ দিন রিমান্ড, তবু পিছু হটিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আমিনুল হক বলেন, “১৯ জুলাই আমরা গ্রেফতার হই, ১৩ দিন রিমান্ড শেষে ৩ আগস্ট জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু রিমান্ডে থেকেও আমরা আন্দোলন ছাড়িনি। অন্যদিকে, যারা একই সময়ে কোটা আন্দোলন করছিল, তারা স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে আপস করে ফেলে।”

তিনি বলেন, “তাদের এখনকার অবস্থান সবার জানা। স্বৈরাচার পতনের সুফল তারা শুধু নিজেদের পকেট ভরার কাজে লাগাচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”

নতুন মুখোশে পুরোনো অপশক্তি অভিযোগ করে তিনি বলেন, “নতুন দলের নামে আলবদর বাহিনী আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা শহীদদের রক্তের দাগ ভুলে গিয়ে আবারও ক্ষমতার মোহে বিভোর। কিন্তু জনগণ এখন সচেতন, তারা আর বিভ্রান্ত হবে না।”

নির্বাচনকে ঠেকাতে সংস্কারের নামে চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, “শুধুমাত্র নির্বাচন পেছানোর জন্য একটি মহল সংস্কারের কথা বলে নতুন করে নাটক সাজাচ্ছে। অথচ আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেটাই বাস্তবায়নের পথ।”

স্বৈরাচার এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছি ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরি নয়। গণতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি, এখন শুধু প্রয়োজন জনগণের রায়ের মাধ্যমে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের। আমরা চাই স্বৈরাচারী সরকারের অবৈধ মন্ত্রী-এমপিদের বিচারের মুখোমুখি করতে।”

তারেক রহমান পাশে আছেন, থাকবেন
উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৭ বছরে যারা শহীদ হয়েছেন, বিশেষ করে ২৪ সালের শহীদ পরিবারগুলো—তাদের পাশে তারেক রহমান আছেন, ছিলেন এবং থাকবেন। কেউ যেন এই পরিবারগুলোকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে,” বলেন আমিনুল হক।

তিনি আরও বলেন, “শহীদের পরিবারের একজন যেভাবে বেদনা বোঝেন, তা অন্য কেউ বুঝবে না। তাই এই আত্মত্যাগের মূল্য দিতে হবে—নির্বাচন, বিচার ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে।”

ট্যাগস

শহীদ পরিবারগুলো রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাবে, স্বৈরাচারমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই বিএনপির অঙ্গীকার- আমিনুল হক

শহীদ পরিবারগুলো রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পাবে, স্বৈরাচারমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই বিএনপির অঙ্গীকার- আমিনুল হক

আপডেট টাইম : ০১:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, “২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না। যদি বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়, তাহলে এই শহীদ পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান করা হবে।”

আজ শনিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি ) তে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারবর্গকে সম্মাননায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় আমাদের বলেন—জনগণের পাশে থাকতে, তাদের সঙ্গে থাকতেই রাজনীতি করতে হবে। শহীদদের আত্মত্যাগকে আমরা জাতির ইতিহাসে অমর করে রাখব। তারা আমাদের প্রেরণা।”

‌১৩ দিন রিমান্ড, তবু পিছু হটিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আমিনুল হক বলেন, “১৯ জুলাই আমরা গ্রেফতার হই, ১৩ দিন রিমান্ড শেষে ৩ আগস্ট জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু রিমান্ডে থেকেও আমরা আন্দোলন ছাড়িনি। অন্যদিকে, যারা একই সময়ে কোটা আন্দোলন করছিল, তারা স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে আপস করে ফেলে।”

তিনি বলেন, “তাদের এখনকার অবস্থান সবার জানা। স্বৈরাচার পতনের সুফল তারা শুধু নিজেদের পকেট ভরার কাজে লাগাচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”

নতুন মুখোশে পুরোনো অপশক্তি অভিযোগ করে তিনি বলেন, “নতুন দলের নামে আলবদর বাহিনী আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা শহীদদের রক্তের দাগ ভুলে গিয়ে আবারও ক্ষমতার মোহে বিভোর। কিন্তু জনগণ এখন সচেতন, তারা আর বিভ্রান্ত হবে না।”

নির্বাচনকে ঠেকাতে সংস্কারের নামে চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, “শুধুমাত্র নির্বাচন পেছানোর জন্য একটি মহল সংস্কারের কথা বলে নতুন করে নাটক সাজাচ্ছে। অথচ আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেটাই বাস্তবায়নের পথ।”

স্বৈরাচার এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছি ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরি নয়। গণতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি, এখন শুধু প্রয়োজন জনগণের রায়ের মাধ্যমে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের। আমরা চাই স্বৈরাচারী সরকারের অবৈধ মন্ত্রী-এমপিদের বিচারের মুখোমুখি করতে।”

তারেক রহমান পাশে আছেন, থাকবেন
উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৭ বছরে যারা শহীদ হয়েছেন, বিশেষ করে ২৪ সালের শহীদ পরিবারগুলো—তাদের পাশে তারেক রহমান আছেন, ছিলেন এবং থাকবেন। কেউ যেন এই পরিবারগুলোকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে,” বলেন আমিনুল হক।

তিনি আরও বলেন, “শহীদের পরিবারের একজন যেভাবে বেদনা বোঝেন, তা অন্য কেউ বুঝবে না। তাই এই আত্মত্যাগের মূল্য দিতে হবে—নির্বাচন, বিচার ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে।”