ভোলার মনপুরায় ৫ নং কলাতলী ইউনিয়নে গনধর্ষণ মামলায় ০৩ আসামীকে গ্রেফতার করে মনপুরা থানা পুলিশ। গত ০২/০৯/২৫ ইং তারিখে কলাতলী ৮ নং ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীরের খাল নামক এলাকায় এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে ভুক্তভোগি সুরমা কোস্ট ফাউন্ডেশনের একজন ওয়ার্ড স্বাস্থ্য পরিদর্শক তিনি জানান আমার স্বামী চাকরির সুবাধে ঢাকায় থাকায় আমি আমার শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একা থাকি,অভিযুক্তরা রাত ০৯টায় প্রথমে আমার ফোনে কল দিয়ে বলে আমার নাম্বারে ৫০ টাকা এসেছে পরে আমি চেক করে দেখি টাকা আসেনি পরবর্তীতে তারা একাধিক কল দিলে আমি কেটে দেই। পরবর্তীতে রাত ১:৩০ মিনেটে সৌর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘরের বেড়ার রশি কেটে আমার ঘরে প্রবেশ করে এবং তিন বছরের শিশুর গলায় ছুরি ধরে আমার মুখ চেপে ধরে গণধর্ষণ করে, আমার সন্তানকে বাচানোর জন্য নিরুপায় হয়ে ডাক চিৎকার করতে পারিনি।বখাটেরা পালাক্রমে ধর্ষন করে এবং তাদেরকে চিনে ফেলি পরে আমি মনপুরা থানা একটি মামলা দায়ের করি,
০৪/০৯/২০২৫ ইং,মনপুরা থানায় ধর্ষণ মামলা নং-০৩, ৫ নং কলাতলী ইউনিয়নে সংঘটিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে,গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেনঃ
১/রুবেল (২৯), পিতা মৃত খোরশেদ আলম
২/ নাহিদ পাটোয়ারী (২৫), পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী
৩/সাব্বির হোসেন ওরফে জিহাদ (১৯), পিতা মোঃ সালাহ উদ্দিন সওদাগর
৫ নং কলাতলী ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের তিনজন স্থায়ী বাসিন্দা।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান কবির নেতৃত্বে কলাতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল অভিযান পরিচালনা করেন,এ অভিযানে আসামিদের সফলভাবে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।বাকি ১জনকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান কবির জানান, চার যুবক মিলে এক নারীকে গণধর্ষণ করে। থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার তিন আসামীকে অল্প সময়ের মধ্যে আটক করেছে। পলাতক অপর এক আসামীকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।খুব শিগ্রই অপর পলাতক আসামিকে আটক করতে পারব বলে আশা করছি।আমি নিজেই এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছি।