পটুয়াখালী প্রতিনিধি-
পটুয়াখালীতে গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর-২৫) দিবাগত গভীর রাতে লোহালিয়া সেতুর নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তুহিন হাওলাদার (২৫) এর মরদেহ। এরপর বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে একই নদীর ধলু হাওলাদার বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে রেজাউল বয়াতি (২৮) নামে এক অটোরিকশার চালকের মরদেহ উদ্ধার করে রেজাউল বয়াতির লাশের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
রহস্য উদঘাটন পূর্বক পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ০৩-০৯-২০২৫ তারিখ পটুয়াখালী থানাধীন চর জৈনকাঠী মুন্সি বাড়ীর দক্ষিন পাশে ওয়াবদা রাস্তার ঢালে লোহালিয়া নদীর তীরে রেজাউল বয়াতির লাশ ভাসমান পাওয়া যায়। এ সংক্রান্তে পটুয়াখালী সদর থানার মামলা নং- ০৫, তারিখ-০৪-০৯-২০২৫, ধারা-৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলা তদন্তকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি ১। ফয়জুল গাজী (২৫), পিতা- হামেদ গাজী, সাং- ভুরিয়া, ওয়ার্ড নং-০১, ইউপি- ভুরিয়া, থানা ও জেলা- পটুয়াখালীকে আটক পূর্বক জিজ্ঞাসবাদে ধৃত আসামি মৃত মোঃ রেজাউল বয়াতিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লাশের পেট চাকু দ্বারা কেটে লাশ লোহালিয়া নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে।
আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালী থানাধীন শৌলা এলাকার সিকদার বাড়ী জামে মসজিদ এর কার্নিস হইতে আসামি নিজ হাতে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত একটি রক্তমাখা চাকু এবং রাস্তার পার্শ্বে পানির মধ্য হইতে চোরাই যাওয়া অটো গাড়ীর একটি ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়। যাহা আসামি ফয়জুল গাজী হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মতে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকার করে। হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানান।
মৃত রেজাউল বয়াতি সদর উপজেলার ভুরিয়া ইউনিয়নের নুরু বয়াতির ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত সোমবার সকালে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর তিনি ফেরেননি। সেদিন রাতেই স্থানীয় কাশিপুর রোড থেকে তার অটোরিকশা উদ্ধার করে পুলিশ। এর একদিন পর বুধবার সকালে লোহালিয়া নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।