ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত পাবনায় রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে মানববন্ধন পলাশে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.)’র জশনে জুলুস সিরাজদিখানে ঈদে মিলাদুন্নবী ও জসনে জুলুস পালিত শরীয়তপুরে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীর নদীতে পাওয়া রেজাউল বয়াতির লাশের রহস্য উদঘাটন বাউফলে সেই মাদ্রাসার তালা ভাঙ্গার ভিডিও ভাইরাল, তদন্ত সম্পন্ন, দ্রুত ব্যবস্থা তারেক রহমানের ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার কর্মসূচি জনমনে আশা জাগিয়েছে : কফিলউদ্দিন আহমেদ ভোলায় মনপুরা আলোচিত গণধর্ষণ মামলায় ৩ আসামি গ্রেফতার পঞ্চগড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর উৎপাদন, দুই কারখানাকে জরিমানা

পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব পাবনার হল রুমে সিরাতুন্নবী (সা:) উপলক্ষে ‘রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল রাসূল (সা)-এর সুস্থ জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।

​সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা আইনজীবী বার সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ খান (এহিয়া)। সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফুজ্জামান প্রামানিক।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক জীবন কথা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ড. ইদ্রিস আলম।
​বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলনবিল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের পাবনা জেলা সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ সাত্তার ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আনিসুর রহমান, ।

​প্রবন্ধে রাসূল (সা)-এর পানাহার পদ্ধতির ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। বক্তারা বলেন, রাসূল (সা) সবসময় সংযম ও অল্পে তুষ্টির নীতি অনুসরণ করতেন। তিনি কোনো খাবারের সমালোচনা করতেন না এবং যা সামনে আসতো তাতেই সন্তুষ্ট থাকতেন। খাওয়ার আগে ও পরে তিনি হাত ধুতেন এবং বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে আল্লাহর প্রশংসা করতেন।
​বক্তারা আরও জানান, রাসূল (সা) পেট পুরে খাওয়া পছন্দ করতেন না। তিনি বেশিরভাগ সময় তিন আঙ্গুল ব্যবহার করে অল্প পরিমাণ খাবার মুখে নিতেন এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খেতেন। হেলান দিয়ে বসে পানাহার করা থেকে বিরত থাকতেন। তরল খাবার তিনবার বিরতি দিয়ে পান করতেন।
​সেমিনারে আরও জানানো হয় যে, রাসূল (সা) নিজের পছন্দের পাশাপাশি অন্যদেরকেও দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতেন এবং খাওয়ার সময় নসীহতপূর্ণ কথা বলতেন। তিনি দুপুরের খাবারের পর কাইল্‌লাহ (সামান্য বিশ্রাম) করতেন এবং রাতের খাবার দ্রুত খেয়ে নিতেন।
​বক্তারা উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান, যেন আমরা সবাই রাসূল (সা)-এর এই সুন্নাহ অনুসরণ করে সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারি। পরিশেষে, সকলের সুস্বাস্থ্য এবং আল্লাহর ইবাদত করার তাওফীক কামনা করে সেমিনারটি শেষ হয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৮:১৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পেশাজীবী পরিষদ পাবনা পৌরসভার উদ্যোগে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব পাবনার হল রুমে সিরাতুন্নবী (সা:) উপলক্ষে ‘রাসূল (সা:) প্রদর্শিত পানাহার পদ্ধতি’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল রাসূল (সা)-এর সুস্থ জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।

​সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা আইনজীবী বার সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ খান (এহিয়া)। সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফুজ্জামান প্রামানিক।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক জীবন কথা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ড. ইদ্রিস আলম।
​বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলনবিল উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের পাবনা জেলা সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ সাত্তার ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আনিসুর রহমান, ।

​প্রবন্ধে রাসূল (সা)-এর পানাহার পদ্ধতির ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। বক্তারা বলেন, রাসূল (সা) সবসময় সংযম ও অল্পে তুষ্টির নীতি অনুসরণ করতেন। তিনি কোনো খাবারের সমালোচনা করতেন না এবং যা সামনে আসতো তাতেই সন্তুষ্ট থাকতেন। খাওয়ার আগে ও পরে তিনি হাত ধুতেন এবং বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে আল্লাহর প্রশংসা করতেন।
​বক্তারা আরও জানান, রাসূল (সা) পেট পুরে খাওয়া পছন্দ করতেন না। তিনি বেশিরভাগ সময় তিন আঙ্গুল ব্যবহার করে অল্প পরিমাণ খাবার মুখে নিতেন এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খেতেন। হেলান দিয়ে বসে পানাহার করা থেকে বিরত থাকতেন। তরল খাবার তিনবার বিরতি দিয়ে পান করতেন।
​সেমিনারে আরও জানানো হয় যে, রাসূল (সা) নিজের পছন্দের পাশাপাশি অন্যদেরকেও দাওয়াত দিয়ে খাওয়াতেন এবং খাওয়ার সময় নসীহতপূর্ণ কথা বলতেন। তিনি দুপুরের খাবারের পর কাইল্‌লাহ (সামান্য বিশ্রাম) করতেন এবং রাতের খাবার দ্রুত খেয়ে নিতেন।
​বক্তারা উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান, যেন আমরা সবাই রাসূল (সা)-এর এই সুন্নাহ অনুসরণ করে সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারি। পরিশেষে, সকলের সুস্বাস্থ্য এবং আল্লাহর ইবাদত করার তাওফীক কামনা করে সেমিনারটি শেষ হয়।