ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বন্ধ হচ্ছেনা মাগুরা মহম্মদপুরের অবৈধ বালু উত্তোলন মাগুরা শালিকায় যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে জখম মাগুরাতে পানিতে ডুবে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকায় ৬ অডিটরের বিভাগীয় শাস্তি দাবী ‘মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ষড়যন্ত্রমূলক প্রতিবেদন’ দাবি অভিযুক্তদের ডব্লিউসিএইচ ও’র ৩দিন ব্যাপী আলোক উৎসব মেলা যৌতুক ও নারীলোভী ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা কালিহাতীতে বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণ! থানায় অভিযোগল চিতলমারীতে সমবায় অধিদপ্তরে অর্থায়ণে ২৫ জন অংশগ্রহনকারীর ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

মাগুরায় অ্যাডভোকেট রাশেদ রতনসহ এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতারণা মামলার অভিযোগ!

মাগুরা জেলার অ্যাডভোকেট রাশেদ তারই নিজগ্রাম দারিয়াপুরের রতন(২৮), পিতা কুদ্দুস মুন্সি ও মোরশেদ (৩৭), পিতা আব্দুল আজিজ নামক এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতারণার মামলা দায়ের করার অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগে বলা হয়, রাশেদ একাধিক বছর ধরে একটি এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে জনশক্তি প্রেরণের কাজে যুক্ত ছিলেন।

জানা গেছে, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে রাশেদ নিজ গ্রামের ও আশপাশের জেলার মানুষদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন এবং ঢাকার একটি এজেন্সির মাধ্যমে পাঠাতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই এজেন্সি গা-ঢাকা দেয়, বন্ধ হয়ে যায় তাদের অফিস। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন রাশেদ এবং যারা তার মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য অর্থ দিয়েছিলেন তারাও।

এজেন্সি উধাও হয়ে যাওয়ার পর প্রবাস প্রত্যাশীদের চাপের মুখে পড়ে রাশেদ নিজের রক্ষা ও চাপ এড়ানোর কৌশল হিসেবে তারই গ্রামের রতন এবং পুলিশ সদস্য মোরশেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি স্থানীয়দের ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে পুলিশ সদস্য মোর্শেদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন, যদিও অধিকাংশই এতে রাজি হননি। পরবর্তীতে রাশেদ নিজেই মাগুরা জজ কোর্টে মোরশেদের নামে মামলা করেন।

মামলার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে তা মীমাংসার উদ্যোগ নেন মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর, হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান টিটব ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি। আলোচনার একপর্যায়ে রাশেদ স্বীকার করেন, মোরশেদ আমার ছোটবেলার বন্ধু আমি ওকে বলি আমার কিছু পাসপোর্ট ওই এজেন্সিতে আটকে আছে। বন্ধু তুমি ওইটা একটু ছাড়িয়ে দাও, তখন মোরশেদ বলে ঠিক আছে বন্ধু আমাদের গ্রামের ছেলেদের পাসপোর্ট তো আমি দেখবো, তাই সে এজেন্সির কাছ থেকে কয়েকটি পাসপোর্ট এনে দিয়েছিল। মূলত সে পুলিশ সদস্য মোরশেদকে ব্যবহার করে আদম ব্যবসা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল। তবে তার ধান্দাটি শেষ পর্যন্ত সফল হননি। পুলিশ সদস্য মোরশেদের দেওয়া লিখিত প্রমাণ বা রশিদ তিনি উপস্থাপন করতে পারেননি।

চেয়ারম্যান টিটব বলেন, আপনার যদি কোন তথ্য প্রমাণাদি না থাকে, তাহলে এ ধরনের মামলা আপনি একজন আইনজীবী হয়ে কীভাবে করেন? মিথ্যা মামলা করলে আপনার বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা হতে পারে।

এ ঘটনার পর রাশেদ কোন মন্তব্য না করে সভা থেকে উঠে চলে যান।

অনুসন্ধানে সরেজমিনে মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামে খোঁজ নিয়ে সাক্ষীদের মৌখিক ভাষ্য মতে তারা কেউই পুলিশ সদস্য মোরশেদ কে দোষ দিচ্ছে না। লেনদেনের সাথে কোন ভাবে মোকসেদ জড়িত নয়। অতঃপর এক সাংবাদিক ফোনে অ্যাডভোকেট রাশেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে বলেন, আমার কাছে রেকর্ডিং আছে যে আমি টাকা দিয়েছি। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো রেকর্ড বা তথ্য উপস্থাপন করেননি এবং সাক্ষাতে কথা বলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, এ মামলাটি উদ্দেশ্যমূলক ও হয়রানিমূলক, যা তদন্তের দাবি রাখে। মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ঘটনায় পুলিশ সদস্য মোরশেদ ও রতন উভয়ের মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বন্ধ হচ্ছেনা মাগুরা মহম্মদপুরের অবৈধ বালু উত্তোলন

মাগুরায় অ্যাডভোকেট রাশেদ রতনসহ এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতারণা মামলার অভিযোগ!

আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

মাগুরা জেলার অ্যাডভোকেট রাশেদ তারই নিজগ্রাম দারিয়াপুরের রতন(২৮), পিতা কুদ্দুস মুন্সি ও মোরশেদ (৩৭), পিতা আব্দুল আজিজ নামক এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতারণার মামলা দায়ের করার অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগে বলা হয়, রাশেদ একাধিক বছর ধরে একটি এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে জনশক্তি প্রেরণের কাজে যুক্ত ছিলেন।

জানা গেছে, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে রাশেদ নিজ গ্রামের ও আশপাশের জেলার মানুষদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন এবং ঢাকার একটি এজেন্সির মাধ্যমে পাঠাতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই এজেন্সি গা-ঢাকা দেয়, বন্ধ হয়ে যায় তাদের অফিস। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন রাশেদ এবং যারা তার মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য অর্থ দিয়েছিলেন তারাও।

এজেন্সি উধাও হয়ে যাওয়ার পর প্রবাস প্রত্যাশীদের চাপের মুখে পড়ে রাশেদ নিজের রক্ষা ও চাপ এড়ানোর কৌশল হিসেবে তারই গ্রামের রতন এবং পুলিশ সদস্য মোরশেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি স্থানীয়দের ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে পুলিশ সদস্য মোর্শেদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন, যদিও অধিকাংশই এতে রাজি হননি। পরবর্তীতে রাশেদ নিজেই মাগুরা জজ কোর্টে মোরশেদের নামে মামলা করেন।

মামলার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে তা মীমাংসার উদ্যোগ নেন মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর, হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান টিটব ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি। আলোচনার একপর্যায়ে রাশেদ স্বীকার করেন, মোরশেদ আমার ছোটবেলার বন্ধু আমি ওকে বলি আমার কিছু পাসপোর্ট ওই এজেন্সিতে আটকে আছে। বন্ধু তুমি ওইটা একটু ছাড়িয়ে দাও, তখন মোরশেদ বলে ঠিক আছে বন্ধু আমাদের গ্রামের ছেলেদের পাসপোর্ট তো আমি দেখবো, তাই সে এজেন্সির কাছ থেকে কয়েকটি পাসপোর্ট এনে দিয়েছিল। মূলত সে পুলিশ সদস্য মোরশেদকে ব্যবহার করে আদম ব্যবসা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল। তবে তার ধান্দাটি শেষ পর্যন্ত সফল হননি। পুলিশ সদস্য মোরশেদের দেওয়া লিখিত প্রমাণ বা রশিদ তিনি উপস্থাপন করতে পারেননি।

চেয়ারম্যান টিটব বলেন, আপনার যদি কোন তথ্য প্রমাণাদি না থাকে, তাহলে এ ধরনের মামলা আপনি একজন আইনজীবী হয়ে কীভাবে করেন? মিথ্যা মামলা করলে আপনার বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা হতে পারে।

এ ঘটনার পর রাশেদ কোন মন্তব্য না করে সভা থেকে উঠে চলে যান।

অনুসন্ধানে সরেজমিনে মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামে খোঁজ নিয়ে সাক্ষীদের মৌখিক ভাষ্য মতে তারা কেউই পুলিশ সদস্য মোরশেদ কে দোষ দিচ্ছে না। লেনদেনের সাথে কোন ভাবে মোকসেদ জড়িত নয়। অতঃপর এক সাংবাদিক ফোনে অ্যাডভোকেট রাশেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে বলেন, আমার কাছে রেকর্ডিং আছে যে আমি টাকা দিয়েছি। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো রেকর্ড বা তথ্য উপস্থাপন করেননি এবং সাক্ষাতে কথা বলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, এ মামলাটি উদ্দেশ্যমূলক ও হয়রানিমূলক, যা তদন্তের দাবি রাখে। মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ঘটনায় পুলিশ সদস্য মোরশেদ ও রতন উভয়ের মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।