যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণ প্রকল্পে ২৯৭ কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রকল্পে মূল ভূমিকা পালন করেছেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের ঘনিষ্ঠ এম এ আখের (পরিচালক প্রশাসন) ও যুব কাউন্সিলের সভাপতি মাসুদ আলম।
এম এ আখের, যিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন, এখনো এক সমন্বয়কের নাম ব্যবহার করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সহযোগী মাসুদ আলম ছিলেন ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তদন্ত চলছে।
সূত্রমতে, এম এ আখের ও মাসুদ আলমের মধ্যে রয়েছে গভীর ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক। তারা যৌথভাবে ২৯৭ কোটি টাকার ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের কাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রকল্পের দরপত্রটি মাসুদ আলমের প্রতিষ্ঠান ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড-এর অনুকূলে সাজানো হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল এম এ আখেরের হাতে।
এম এ আখেরের বিরুদ্ধে রয়েছে অর্থপাচার, ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার ও ডিজিটাল প্রতারণার একাধিক অভিযোগ। অন্যদিকে মাসুদ আলমের টেন্ডার যোগ্যতা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছিল। তবুও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকেই তার প্রতিষ্ঠান এই বিশাল প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়ে আসছে, এবং শেখ হাসিনার পতনের পর বর্তমান জুলাই চেতনার সরকারের আমলেও সেই প্রতিষ্ঠানই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
অভ্যন্তরীণ সূত্রের দাবি, এম এ আখেরের অনুমতি ছাড়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কোনো সিদ্ধান্তই কার্যকর হয় না। তার প্রভাব ও মাসুদ আলমের ঘনিষ্ঠতার জোরে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধান শুরু হলে এই সিন্ডিকেটের বহু অজানা দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিস্তারিত নিউজ এ আসতেছে…..