মাগুরা সংবাদদাতা : একের পর এক আপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ায় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নেপচুন বিশ্বাস দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। একই সংগঠনের নেতা কর্মী, স্থানীয় অসহায় নারী, এমনকি পুলিশের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ রয়েছে এ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। কিন্তু এসব অভিযোগের কোনটিরই উপযুক্ত বিচার না হওয়ায় সে এখন এলাকার কাউকেই তোয়াক্কা করছে না।
জানা গেছে, প্রতি বছর শ্রীপুর উপজেলার কুপুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বৈশাখী মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু এবার আয়োজিত মেলায় কাদিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নেপচুন বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে জুয়ার বোর্ড বসানো হয়।
এমন সংবাদে এএসআই শরিফুলের নেতৃত্বে নাকোল ফাঁড়ি পুলিশের একটি দল গত বুধবার সন্ধ্যায় স্কুল মাঠ থেকে জুয়ার বোর্ড তুলতে যায় । এ সময় ছাত্রলীগ নেতা নেপচুনের নেতৃত্বে স্থানীয় ৮-১০ জন যুবক পুলিশের ওপর হামলা চালায় । এতে লাঠির আঘাতে পুলিশ কর্মকর্তা শরিফুলের হাতের মাংস উঠে যায় ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় সেখানে অবস্থান করছিলেন একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ। সে পুলিশকে জুয়ার বোর্ডের খবর জানিয়েছে সন্দেহে নেপচুন ধারালো ড্যাগার দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে তার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছোট ভাই সোহেল রানাকেও কুপিয়ে জখম করে। ঘটনার পর আহত দুই ভাইকে দ্বারিয়াপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে,বর্তমান তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল মাহমুদ বলেন, নেপচুনের নেতৃত্বে সোহাগ, মননু, সুরুজসহ অন্তত ১০ জন আমার ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করে । এ সময় বাধা দেয়ায় তারা আমার বাবা দুই নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন ও ছোট ভাইয়ের ওপরও হামলা করে। ছোট ভাই সোহেল রানাকে কুপিয়ে জখম করেছে আর লাঠির আঘাতে বাবার হাতের একটি আঙুল ভেঙে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নেপচুন কে আটক করে কিন্তু পরের দিন তাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু নেপচুন প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এলাকাবাসী আরও জানান গত বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী এক দরিদ্র বৃদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করেছিল ছাত্রলীগ নেতা নেপচুন বিশ্বাস এবং তার ভাই মন্নু । ফাতেমা বেগম (৫৫) নামের ওই নারী জানান- জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য তার উপর অত্যাচার করেছিলো নেপচুন এবং মন্নু। পরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। এসব ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে ছাত্রলীগ নেতা নেপচুন বিশ্বাস কে কয়েকবার ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।