ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জমিজমা বিরোধে আহত-৩, ৭জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা: গ্রেফতার হয়নি কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা নির্বাচনে এমপি পুত্র ও জামাতার মনোনয়নপত্র জমা বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে–স্পীকার অপশক্তিকে বিতাড়িত করতে হলে ভালো মানুষকে ভোট দিন- কামাল হোসেন টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই’র বাকবিতন্ডা; ট্রেনের ভিতরে ভাংচুর সেনা সদস্য সহ আহত-৫ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠিত কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ

মাধবপুরের সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ!

সোহেল রানা, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে ঘুরে এসে
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়নের ক্ষমতাধর সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান এলাকাবাসির কাছে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এক আতঙ্কের নাম। রাজনীতির পালা বদলের সাথে সাথে নিজের মুখোশ বদলাতে ভুল করেননি বিএনপির এই দাপুটে নেতা সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। সুত্রে জানা যায় মাধবপুর উপজেলার বর্তমানে ১১নং বাঘা সুরা ইউনিয়নের ক্ষমতাধর চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ বিএনপির সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। আরও জানা যায় সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান ধান্দাঁবাজ আদম ব্যাবসায়ী এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। বিএনপির দলীয় পরিচয় গোপন রেখে সরকারি দলের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথেই এলাকাতে চালিয়ে যাচ্ছে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও মানব পাঁচার বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম। ভুক্তভোগী এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন এলাকার সহজ সরল লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু নেতার নাম ভাংগিয়ে জায়গা দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। যে এক বেলা খাবার খেতে পাইনি সে এখন কোটি টাকার মালিক। বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জুয়েল জানান আমার পিতা একজন আওয়ামী লীগের নেতা এবং পারিবারিক সুত্রে আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি কিন্তুু দুঃখের বিষয় হলো চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বিএনপির মনোনিত সাবেক চেয়ারম্যান ও ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র প্রাথী নিয়ে ইলেকশন করে এবং মাধবপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সে কি করে আওয়ামীলীগের দলীয় চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দেয় এবং বলে জায়গা কিনে ছিস আমার অনুমতি না নিয়ে এই সাহস তোকে কে দিয়েছে এই বলে সে আমার নিকট বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে ওই চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহমদ। এব্যাপারে আমি নিজে বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় লিখিত চাঁদাবাজির অভিযোগও করেছি। তবে যে জায়গা টি নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবেদক চেয়ারম্যান সাহব উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান শেখ হেলাল সাহেবের বেয়াই এর জায়গা আমি দেখা শুনা করি তার এই কথায় এলাকাবাসী বলে তাহলে কি ধরে নিব আমাদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এখন কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছেন? আগে কি বিএনপির নেতা ছিলেন জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন আমি কোন দিন বি এনপি করিনাই আমি আওয়ামী লীগ থেকে টিকিট নিয়ে চেয়ারম্যান, তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী এখলাছুর রহমান জানান সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন কিন্তুু আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্ম কান্ডে সহযোগিতা করেছে এখন সে আওয়ামী লীগ করে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহমদ। সুত্রে আরো জানা যায় চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের প্রকৃত দেশের বাড়ি নোয়াখালীতে। তার বাবা মাধববপুর একটি মসজিদের ইমামতি করতেন। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায় ছোটবেলা থেকেই সাহাব উদ্দিন এর সভাব চরিত্র ভালো ছিলনা এবং মসজিদের মাইক চুরির অপরাধে তার মাথার চুল কেটে দিয়ে ছিলো এলাকাবাসি ভাগ্যর নির্মম পরিহাষ এখন তিনি ওই মসজিদের সভপতি। চাঁদাবাজি ও মানব পাঁচার মামলায় র‌্যাব ও পুলিশের হাতে একাধিক বার আটকও হয়েছেন। সৈয়দ জুয়েল এর নিকট চাঁদা দাবী ও প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দেওয়াই মাধবপুর থানায় চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি তদন্ত আমিনুল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান জুয়েল বাদী হয়ে, চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির করছেন। তবে জুয়েল এর সাথে সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যানের একটি জায়গা নিয়ে ঝামেলা আছে, আমরা অতি জরুরী বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। রাজনীতি রাজ্যর জন্য আর নেতা সাধারণ মানুষের দেখভাল করার জন্য। নেতা যদি নিজের স্বার্থে ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য মুখোশ পাল্টিয়ে নিজের আখের গোছানোর চেষ্টা করে তাহলে সাধারণ জনগন ও রাষ্ট্র কি পাইতে পারে সুবিধা বাদি এই নেতার নিকট থেকে? চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এর কর্ম কান্ডে ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়ন বাসী আতঙ্কে দিন পার করেছ। কারণ অকারণে তার লাইসেন্স করা পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এলাকা বাসীর একটাই চাওয়া একজন জনপ্রতিনিধির এই সন্ত্রাসী আচরণ কর্ম র্কান্ড থেকে রেহাই পেতে চাই। চলবে……..।

ট্যাগস

জমিজমা বিরোধে আহত-৩, ৭জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা: গ্রেফতার হয়নি কেউ

মাধবপুরের সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ!

আপডেট টাইম : ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১

সোহেল রানা, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে ঘুরে এসে
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়নের ক্ষমতাধর সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান এলাকাবাসির কাছে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এক আতঙ্কের নাম। রাজনীতির পালা বদলের সাথে সাথে নিজের মুখোশ বদলাতে ভুল করেননি বিএনপির এই দাপুটে নেতা সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। সুত্রে জানা যায় মাধবপুর উপজেলার বর্তমানে ১১নং বাঘা সুরা ইউনিয়নের ক্ষমতাধর চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ বিএনপির সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। আরও জানা যায় সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান ধান্দাঁবাজ আদম ব্যাবসায়ী এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। বিএনপির দলীয় পরিচয় গোপন রেখে সরকারি দলের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথেই এলাকাতে চালিয়ে যাচ্ছে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও মানব পাঁচার বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম। ভুক্তভোগী এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন এলাকার সহজ সরল লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু নেতার নাম ভাংগিয়ে জায়গা দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। যে এক বেলা খাবার খেতে পাইনি সে এখন কোটি টাকার মালিক। বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জুয়েল জানান আমার পিতা একজন আওয়ামী লীগের নেতা এবং পারিবারিক সুত্রে আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি কিন্তুু দুঃখের বিষয় হলো চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বিএনপির মনোনিত সাবেক চেয়ারম্যান ও ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র প্রাথী নিয়ে ইলেকশন করে এবং মাধবপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সে কি করে আওয়ামীলীগের দলীয় চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দেয় এবং বলে জায়গা কিনে ছিস আমার অনুমতি না নিয়ে এই সাহস তোকে কে দিয়েছে এই বলে সে আমার নিকট বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে ওই চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহমদ। এব্যাপারে আমি নিজে বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় লিখিত চাঁদাবাজির অভিযোগও করেছি। তবে যে জায়গা টি নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবেদক চেয়ারম্যান সাহব উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান শেখ হেলাল সাহেবের বেয়াই এর জায়গা আমি দেখা শুনা করি তার এই কথায় এলাকাবাসী বলে তাহলে কি ধরে নিব আমাদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এখন কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছেন? আগে কি বিএনপির নেতা ছিলেন জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন আমি কোন দিন বি এনপি করিনাই আমি আওয়ামী লীগ থেকে টিকিট নিয়ে চেয়ারম্যান, তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী এখলাছুর রহমান জানান সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন কিন্তুু আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্ম কান্ডে সহযোগিতা করেছে এখন সে আওয়ামী লীগ করে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহমদ। সুত্রে আরো জানা যায় চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের প্রকৃত দেশের বাড়ি নোয়াখালীতে। তার বাবা মাধববপুর একটি মসজিদের ইমামতি করতেন। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায় ছোটবেলা থেকেই সাহাব উদ্দিন এর সভাব চরিত্র ভালো ছিলনা এবং মসজিদের মাইক চুরির অপরাধে তার মাথার চুল কেটে দিয়ে ছিলো এলাকাবাসি ভাগ্যর নির্মম পরিহাষ এখন তিনি ওই মসজিদের সভপতি। চাঁদাবাজি ও মানব পাঁচার মামলায় র‌্যাব ও পুলিশের হাতে একাধিক বার আটকও হয়েছেন। সৈয়দ জুয়েল এর নিকট চাঁদা দাবী ও প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দেওয়াই মাধবপুর থানায় চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি তদন্ত আমিনুল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান জুয়েল বাদী হয়ে, চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির করছেন। তবে জুয়েল এর সাথে সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যানের একটি জায়গা নিয়ে ঝামেলা আছে, আমরা অতি জরুরী বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। রাজনীতি রাজ্যর জন্য আর নেতা সাধারণ মানুষের দেখভাল করার জন্য। নেতা যদি নিজের স্বার্থে ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য মুখোশ পাল্টিয়ে নিজের আখের গোছানোর চেষ্টা করে তাহলে সাধারণ জনগন ও রাষ্ট্র কি পাইতে পারে সুবিধা বাদি এই নেতার নিকট থেকে? চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এর কর্ম কান্ডে ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়ন বাসী আতঙ্কে দিন পার করেছ। কারণ অকারণে তার লাইসেন্স করা পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এলাকা বাসীর একটাই চাওয়া একজন জনপ্রতিনিধির এই সন্ত্রাসী আচরণ কর্ম র্কান্ড থেকে রেহাই পেতে চাই। চলবে……..।