নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুই বছর মেয়াদি কমিটির নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ছিল শুরু থেকেই। সেই বিতর্ক নতুন মোড় নিয়েছে। বাতিল হতে পারে সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের পদ। এ ছাড়া মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদটিও বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভোট কেনার অভিযোগে দুজনের পদ বাতিলের আবেদন করেছিলেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হয়ে গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের কাছে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা এসেছে।
এই নির্বাচনে জায়েদ খান ভোট কিনেছেন বলে দাবি তার সঙ্গে ১৩ ভোটে হেরে যাওয়া নিপুণের। এ ছাড়া বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সবাই জায়েদের পক্ষে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তার।
এদিকে ৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা। আর সেদিনই নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে জয়ী চুন্নুর বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবেন এ নির্বাচনের আপিল বোর্ড। এ বিষয়ে এবারের শিল্পী সমিতি নির্বাচনে আপিল বোর্ডের প্রধান পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘আগামী শনিবার এ বিষয়ে আমাদের মিটিং। সেখানে আমরা অভিযোগকারী এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকে ডাকব। তাদের দুই পক্ষের কথা শুনে আলোচনা করে তার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত দেব।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের অর্ডারটা এভাবে এসেছে, আপনারা ব্যাপারটাকে আমলে নিয়ে আলোচনা করে তাদের উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এবং আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হবে।’
সোহান আরও জানান, আপিল বোর্ডের বাকি দুই সদস্যের মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন জেমী এখন দেশের বাইরে। ফলে অপর সদস্য মোহাম্মদ হোসেন তার সঙ্গে মিটিংয়ে যোগ দেবেন। এছাড়া থাকবেন নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্য। তবে প্রধান কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুণকে ১৭ সংগঠন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় তাকে এই মিটিংয়ে ডাকা হবে না।