ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা নির্বাচনে এমপি পুত্র ও জামাতার মনোনয়নপত্র জমা বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে–স্পীকার অপশক্তিকে বিতাড়িত করতে হলে ভালো মানুষকে ভোট দিন- কামাল হোসেন টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই’র বাকবিতন্ডা; ট্রেনের ভিতরে ভাংচুর সেনা সদস্য সহ আহত-৫ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠিত কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ঘুষের টাকা স্যারেরা খায়!

সোহেল রানা
ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট টাকা ছাড়া হয় না এই অভিযোগ নতুন কিছু না। সেই সাথে মেডিকেল রিপোর্ট ও মিলে টাকার বিনময়ে তথ্য অনুসন্ধানে এমনটাই জানান ভুক্তভোগী পুলিশ ও সাধারণ জনগণ। তবে একাধিক সুত্রে জানা গেছে বর্তমানে ৩ কর্মচারীর দখলে রয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল ভাবেই করে যাচ্ছেন এই অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিতে অফিস সহকারী রবিউল এর নিকট থেকে একবছর ও লেগে যায়। এমসি রিপোর্ট টাকার বিনিময়ে শাওনের কাছে মিলে তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে অনেক সময় কোর্টের অনুমতি থাকা সত্বেও টাকা না দিলে এমসি রিপোর্ট দেই নাই।আর একজন হলো মোস্তফা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ওর্য়াড বয়। এই অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবেদক কে দেখে নেওয়ার ও হুমকি দেন । অফিস সহকারী পদে থাকলেও বড় কর্মকর্তা দের আদেশের বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই এমনটাই জানান রবিউল ও শাওন। বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে এরা তিন জন। অফিস সহকারী রবিউল প্রতিবেদক কে বলেন ভাই যে টাকা আমি রাখি তা আমার হজম করার ক্ষমতা নেই যে ডাক্তার পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট তৈরী করে তাকে দিতে হয় আর সবাই নেই আমি একা না অনেক নারী সদস্যরা ওজড়িত আমি ১০০ টাকা পাই। আপনি ডাক্তার স্যারদের সাথে কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অনিয়ম অভিযোগ দেখার কেউ যেন নেই। পুলিশ সদস্য থেকেই শুরু করে সাধারণ জনগণের একই অভিযোগ। তাহলে কি ধরে নিতে হবে অফিস সহকারিদের ক্ষমতার কাছে সবাই অসহায় কারণ ঘুসের টাকা জনসম্মুখে নিলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় কেউ নেই নাকি শস্যের মধ্যেই ভুত। একাধিক সুত্রে জানা যায় কিছু অসাধু ডাক্তার ওকর্মকতা জড়িত রয়েছে তাই এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোন সুফল আসেনা। কারণ এরা তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী উপর আলার হুকুমেই চলতে হয়। আর যাদের হুকুমে এই অবৈধ কার্যকলাপ বা অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা সবাই ধরা ছোয়ায় বাহিরেই থেকে যায়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক ব্যাক্তি জানান এখানে কর্মকর্তার চাইতেও কর্মচারিদের ক্ষমতা বেশী তাই অভিযোগ অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা বিষয়টি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কতৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিবে এবং সেবা নিতে আশা সকলের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে।

ট্যাগস

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা নির্বাচনে এমপি পুত্র ও জামাতার মনোনয়নপত্র জমা

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ঘুষের টাকা স্যারেরা খায়!

আপডেট টাইম : ০২:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

সোহেল রানা
ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট টাকা ছাড়া হয় না এই অভিযোগ নতুন কিছু না। সেই সাথে মেডিকেল রিপোর্ট ও মিলে টাকার বিনময়ে তথ্য অনুসন্ধানে এমনটাই জানান ভুক্তভোগী পুলিশ ও সাধারণ জনগণ। তবে একাধিক সুত্রে জানা গেছে বর্তমানে ৩ কর্মচারীর দখলে রয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল ভাবেই করে যাচ্ছেন এই অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিতে অফিস সহকারী রবিউল এর নিকট থেকে একবছর ও লেগে যায়। এমসি রিপোর্ট টাকার বিনিময়ে শাওনের কাছে মিলে তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে অনেক সময় কোর্টের অনুমতি থাকা সত্বেও টাকা না দিলে এমসি রিপোর্ট দেই নাই।আর একজন হলো মোস্তফা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ওর্য়াড বয়। এই অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবেদক কে দেখে নেওয়ার ও হুমকি দেন । অফিস সহকারী পদে থাকলেও বড় কর্মকর্তা দের আদেশের বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই এমনটাই জানান রবিউল ও শাওন। বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে এরা তিন জন। অফিস সহকারী রবিউল প্রতিবেদক কে বলেন ভাই যে টাকা আমি রাখি তা আমার হজম করার ক্ষমতা নেই যে ডাক্তার পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট তৈরী করে তাকে দিতে হয় আর সবাই নেই আমি একা না অনেক নারী সদস্যরা ওজড়িত আমি ১০০ টাকা পাই। আপনি ডাক্তার স্যারদের সাথে কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অনিয়ম অভিযোগ দেখার কেউ যেন নেই। পুলিশ সদস্য থেকেই শুরু করে সাধারণ জনগণের একই অভিযোগ। তাহলে কি ধরে নিতে হবে অফিস সহকারিদের ক্ষমতার কাছে সবাই অসহায় কারণ ঘুসের টাকা জনসম্মুখে নিলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় কেউ নেই নাকি শস্যের মধ্যেই ভুত। একাধিক সুত্রে জানা যায় কিছু অসাধু ডাক্তার ওকর্মকতা জড়িত রয়েছে তাই এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোন সুফল আসেনা। কারণ এরা তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী উপর আলার হুকুমেই চলতে হয়। আর যাদের হুকুমে এই অবৈধ কার্যকলাপ বা অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা সবাই ধরা ছোয়ায় বাহিরেই থেকে যায়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক ব্যাক্তি জানান এখানে কর্মকর্তার চাইতেও কর্মচারিদের ক্ষমতা বেশী তাই অভিযোগ অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা বিষয়টি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কতৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিবে এবং সেবা নিতে আশা সকলের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে।