ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে ফরিদপুরে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা, জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নিহত খালেদা জিয়া যে কোনো সময়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যেতে পারেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ঘুষের টাকা স্যারেরা খায়!

সোহেল রানা
ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট টাকা ছাড়া হয় না এই অভিযোগ নতুন কিছু না। সেই সাথে মেডিকেল রিপোর্ট ও মিলে টাকার বিনময়ে তথ্য অনুসন্ধানে এমনটাই জানান ভুক্তভোগী পুলিশ ও সাধারণ জনগণ। তবে একাধিক সুত্রে জানা গেছে বর্তমানে ৩ কর্মচারীর দখলে রয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল ভাবেই করে যাচ্ছেন এই অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিতে অফিস সহকারী রবিউল এর নিকট থেকে একবছর ও লেগে যায়। এমসি রিপোর্ট টাকার বিনিময়ে শাওনের কাছে মিলে তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে অনেক সময় কোর্টের অনুমতি থাকা সত্বেও টাকা না দিলে এমসি রিপোর্ট দেই নাই।আর একজন হলো মোস্তফা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ওর্য়াড বয়। এই অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবেদক কে দেখে নেওয়ার ও হুমকি দেন । অফিস সহকারী পদে থাকলেও বড় কর্মকর্তা দের আদেশের বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই এমনটাই জানান রবিউল ও শাওন। বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে এরা তিন জন। অফিস সহকারী রবিউল প্রতিবেদক কে বলেন ভাই যে টাকা আমি রাখি তা আমার হজম করার ক্ষমতা নেই যে ডাক্তার পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট তৈরী করে তাকে দিতে হয় আর সবাই নেই আমি একা না অনেক নারী সদস্যরা ওজড়িত আমি ১০০ টাকা পাই। আপনি ডাক্তার স্যারদের সাথে কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অনিয়ম অভিযোগ দেখার কেউ যেন নেই। পুলিশ সদস্য থেকেই শুরু করে সাধারণ জনগণের একই অভিযোগ। তাহলে কি ধরে নিতে হবে অফিস সহকারিদের ক্ষমতার কাছে সবাই অসহায় কারণ ঘুসের টাকা জনসম্মুখে নিলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় কেউ নেই নাকি শস্যের মধ্যেই ভুত। একাধিক সুত্রে জানা যায় কিছু অসাধু ডাক্তার ওকর্মকতা জড়িত রয়েছে তাই এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোন সুফল আসেনা। কারণ এরা তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী উপর আলার হুকুমেই চলতে হয়। আর যাদের হুকুমে এই অবৈধ কার্যকলাপ বা অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা সবাই ধরা ছোয়ায় বাহিরেই থেকে যায়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক ব্যাক্তি জানান এখানে কর্মকর্তার চাইতেও কর্মচারিদের ক্ষমতা বেশী তাই অভিযোগ অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা বিষয়টি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কতৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিবে এবং সেবা নিতে আশা সকলের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কে এই শরীফ জহির?

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ঘুষের টাকা স্যারেরা খায়!

আপডেট টাইম : ০২:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ মার্চ ২০২২

সোহেল রানা
ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট টাকা ছাড়া হয় না এই অভিযোগ নতুন কিছু না। সেই সাথে মেডিকেল রিপোর্ট ও মিলে টাকার বিনময়ে তথ্য অনুসন্ধানে এমনটাই জানান ভুক্তভোগী পুলিশ ও সাধারণ জনগণ। তবে একাধিক সুত্রে জানা গেছে বর্তমানে ৩ কর্মচারীর দখলে রয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল ভাবেই করে যাচ্ছেন এই অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিতে অফিস সহকারী রবিউল এর নিকট থেকে একবছর ও লেগে যায়। এমসি রিপোর্ট টাকার বিনিময়ে শাওনের কাছে মিলে তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে অনেক সময় কোর্টের অনুমতি থাকা সত্বেও টাকা না দিলে এমসি রিপোর্ট দেই নাই।আর একজন হলো মোস্তফা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ওর্য়াড বয়। এই অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবেদক কে দেখে নেওয়ার ও হুমকি দেন । অফিস সহকারী পদে থাকলেও বড় কর্মকর্তা দের আদেশের বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই এমনটাই জানান রবিউল ও শাওন। বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে এরা তিন জন। অফিস সহকারী রবিউল প্রতিবেদক কে বলেন ভাই যে টাকা আমি রাখি তা আমার হজম করার ক্ষমতা নেই যে ডাক্তার পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট তৈরী করে তাকে দিতে হয় আর সবাই নেই আমি একা না অনেক নারী সদস্যরা ওজড়িত আমি ১০০ টাকা পাই। আপনি ডাক্তার স্যারদের সাথে কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অনিয়ম অভিযোগ দেখার কেউ যেন নেই। পুলিশ সদস্য থেকেই শুরু করে সাধারণ জনগণের একই অভিযোগ। তাহলে কি ধরে নিতে হবে অফিস সহকারিদের ক্ষমতার কাছে সবাই অসহায় কারণ ঘুসের টাকা জনসম্মুখে নিলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় কেউ নেই নাকি শস্যের মধ্যেই ভুত। একাধিক সুত্রে জানা যায় কিছু অসাধু ডাক্তার ওকর্মকতা জড়িত রয়েছে তাই এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও কোন সুফল আসেনা। কারণ এরা তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী উপর আলার হুকুমেই চলতে হয়। আর যাদের হুকুমে এই অবৈধ কার্যকলাপ বা অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা সবাই ধরা ছোয়ায় বাহিরেই থেকে যায়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক ব্যাক্তি জানান এখানে কর্মকর্তার চাইতেও কর্মচারিদের ক্ষমতা বেশী তাই অভিযোগ অনিয়ম দুর্নীতি দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা বিষয়টি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কতৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিবে এবং সেবা নিতে আশা সকলের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে।