মোঃ ইব্রাহিম শেখ খাগড়াছড়ি :
হাইকোর্টের নির্দেশে পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, রামগড় ও গুইমারা উপজেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ছয় ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এসময় এসব ইটভাটার সব কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করাসহ চিমনি ও চুল্লি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) পৃথক অভিযানে রামগড়ের জনতা ব্রিকস ও মেঘনা ব্রিকস-২, মাটিরাঙ্গার এসআরটি ব্রিকস ও গুইমারার মদিনা ব্রিকস ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। একইসময় মাটিরাঙ্গার হাতিয়াপাড়া এলাকায় এসআরটি ব্রিকস ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজ তৃলা দেব। অভিযানকালে হাইকোর্টের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করায় এসআরটি ইটভাটার সব কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করাসহ চিমনি ও চুল্লি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া গুইমারা বাইল্যাছড়ি এলাকায় অবৈধভাবে পরিচালিত মদিনা ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তুষার আহমেদ। অভিযান কালে ইটভাটাটির চিমনি ও চুল্লি ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি বুলডোজার দ্বারা ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ তৃলা দেব ও রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় ইটভাটার সব কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। নির্দেশনা উপেক্ষা করে আবার ইটভাটা চালুর চেষ্টা করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) মহালছড়ির দুটি ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এসময় এসব ইটভাটার সব কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের সব অবৈধ ইটভাটা ছয় সপ্তাহের মধ্যে ধ্বংস করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।