ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সকলের মাঝে এসডিজি বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে–স্পীকার উত্তরায় ৮০ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই ব্যবহারের উদ্যোগ ডিএমপির বিরতি শেষে এক জোড়া গান নিয়ে ফিরলেন আরিফ খান জমিজমা বিরোধে আহত-৩, ৭জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা: গ্রেফতার হয়নি কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা নির্বাচনে এমপি পুত্র ও জামাতার মনোনয়নপত্র জমা বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে–স্পীকার অপশক্তিকে বিতাড়িত করতে হলে ভালো মানুষকে ভোট দিন- কামাল হোসেন টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই’র বাকবিতন্ডা; ট্রেনের ভিতরে ভাংচুর সেনা সদস্য সহ আহত-৫ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ওয়ান ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে। বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাকে। এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দেন।

তখন চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে। আওয়ামী লীগসহ অন্য সহযোগী সংগঠন ও দেশবাসীর আন্দোলন, আপোসহীন মনোভাব এবং আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নেয়। শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেয়া না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে না বলেও ঘোষণা দেয়।

অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তি পেয়েই শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এরপর ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেয়া হয় তাকে। একই বছর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয় লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করা হয়।

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটের অধিকার সুনিশ্চিত করতে সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বন্ধুর বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এরমধ্যে অনেকবারই তার হত্যা চেষ্টাও করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা গণভবনে গিয়ে দলীয় সভানেত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ বাদ মাগরিব কলাবাগান মাঠে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছেন। ছাত্রলীগ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করবে।

অন্যদিকে যার যার জায়গা থেকে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে পরম করুণাময়ের কাছে দেশবাসীকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে হৃদয়ে দেশপ্রেমের বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানান তিনি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সকলের মাঝে এসডিজি বিষয়ক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে–স্পীকার

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ

আপডেট টাইম : ০৭:২২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ওয়ান ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে। বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে বন্দি রাখা হয় তাকে। এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দেন।

তখন চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে। আওয়ামী লীগসহ অন্য সহযোগী সংগঠন ও দেশবাসীর আন্দোলন, আপোসহীন মনোভাব এবং আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নেয়। শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেয়া না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে না বলেও ঘোষণা দেয়।

অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তি পেয়েই শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এরপর ২০০৮ সালের ৬ নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেয়া হয় তাকে। একই বছর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয় লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করা হয়।

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের ভোটের অধিকার সুনিশ্চিত করতে সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বন্ধুর বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এরমধ্যে অনেকবারই তার হত্যা চেষ্টাও করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা গণভবনে গিয়ে দলীয় সভানেত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ বাদ মাগরিব কলাবাগান মাঠে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছেন। ছাত্রলীগ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করবে।

অন্যদিকে যার যার জায়গা থেকে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে পরম করুণাময়ের কাছে দেশবাসীকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে হৃদয়ে দেশপ্রেমের বহ্নিশিখা প্রজ্বলিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে সহযোগিতা করার অনুরোধও জানান তিনি।