ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা নির্বাচনে এমপি পুত্র ও জামাতার মনোনয়নপত্র জমা বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে–স্পীকার অপশক্তিকে বিতাড়িত করতে হলে ভালো মানুষকে ভোট দিন- কামাল হোসেন টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই’র বাকবিতন্ডা; ট্রেনের ভিতরে ভাংচুর সেনা সদস্য সহ আহত-৫ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠিত কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট

মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার গোলাম মোর্তজা ঘুষ ছাড়া স্পর্শ করেন না কোন দলিল!

মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা ঘুস ছাড়া কোন দলিল স্পর্শ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এর আগে গাইবান্ধায় থাকাকালে সীমাহীন অনিয়ম -দুর্নীতি করে আয়ের সাথে সংগতিহীন অর্থ সম্পদ অর্জন করায় দুদকে অভিযোগ দায়ের হয়। তখন তাকে মাগুরায় বদলী করা হয়। গত ০১/১২/২০২০ ইং তারিখে তিনি মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেন। তার নিজ জেলা যশোর। ০২/০৬/২০১৩ ইং তারিখে তিনি সাব রেজিস্ট্রার এর চাকুরীতে যোগদান করেন। মাত্র ৯ বছর তার চাকুরীর বয়স হলেও তিনি ঘুস -দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক বনেগেছেন। স্থানীয় দলিল লেখক ও ভুমি মালিকদের অভিযোগ থেকে জানাগেছে, সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেই কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারিদের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট গঠন করেন। পরবর্তীতে দলিল ও জমির ধরণ ভেদে ঘুসের রেট নির্ধারণ করে দেন। এ ছাড়া আন্ডারভ্যালু দলিলে তিনি তার দাবী মত ঘুস দিতে বাধ্য করেন। অভিযোগ মতে, বাংলাদেশের সব সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে আরএস চুড়ান্ত রেকর্ড এ দলিল রেজিষ্ট্রি হলেও মাগুরা সদর সাব রেজিষ্ট্রার সেটি মানছেন না । তিনি প্রতি দলিল ২০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে তবেই দলিল রেজিষ্ট্রি করেন। তিনি হাউজিং কোম্পানি ( ডেভলপার) ও জমির মালিক ( ল্যান্ড ডোনার) চুক্তিনামা রেজিস্ট্রেশনে পাওয়ার দলিলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে থাকেন। কোন ডেভলপার এই পরিমাণ ঘুস না দিলে তার পাওয়ার দলিল আটকে রাখেন। একাধিক সূত্র জানায়, মাগুরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিমাসে প্রায় ১ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এসব দলিলের একটি বড় অংশেরই শ্রেণী পরিবর্তন করে রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে। অনেক জমিতেই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করায় প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সে হিসেবে বছরে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ ধরনের দলিল তৈরীতে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সাব রেজিস্টারসহ এক শ্রেণীর দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে । এ প্রসংগে কথা বললে মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা সেলফোনে জানান, আমি যোগদান করার পর এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে এই অফিসে দলিল রেজিস্ট্রেশনে কোন ঘূস দিতে হয়না। তিনি দুদকের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, এমন কোন তদন্ত সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। ভুক্তভোগিরা এ বিষয়ে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ,নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগস

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা নির্বাচনে এমপি পুত্র ও জামাতার মনোনয়নপত্র জমা

মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার গোলাম মোর্তজা ঘুষ ছাড়া স্পর্শ করেন না কোন দলিল!

আপডেট টাইম : ০২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২

মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা ঘুস ছাড়া কোন দলিল স্পর্শ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এর আগে গাইবান্ধায় থাকাকালে সীমাহীন অনিয়ম -দুর্নীতি করে আয়ের সাথে সংগতিহীন অর্থ সম্পদ অর্জন করায় দুদকে অভিযোগ দায়ের হয়। তখন তাকে মাগুরায় বদলী করা হয়। গত ০১/১২/২০২০ ইং তারিখে তিনি মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেন। তার নিজ জেলা যশোর। ০২/০৬/২০১৩ ইং তারিখে তিনি সাব রেজিস্ট্রার এর চাকুরীতে যোগদান করেন। মাত্র ৯ বছর তার চাকুরীর বয়স হলেও তিনি ঘুস -দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক বনেগেছেন। স্থানীয় দলিল লেখক ও ভুমি মালিকদের অভিযোগ থেকে জানাগেছে, সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেই কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারিদের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট গঠন করেন। পরবর্তীতে দলিল ও জমির ধরণ ভেদে ঘুসের রেট নির্ধারণ করে দেন। এ ছাড়া আন্ডারভ্যালু দলিলে তিনি তার দাবী মত ঘুস দিতে বাধ্য করেন। অভিযোগ মতে, বাংলাদেশের সব সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে আরএস চুড়ান্ত রেকর্ড এ দলিল রেজিষ্ট্রি হলেও মাগুরা সদর সাব রেজিষ্ট্রার সেটি মানছেন না । তিনি প্রতি দলিল ২০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে তবেই দলিল রেজিষ্ট্রি করেন। তিনি হাউজিং কোম্পানি ( ডেভলপার) ও জমির মালিক ( ল্যান্ড ডোনার) চুক্তিনামা রেজিস্ট্রেশনে পাওয়ার দলিলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে থাকেন। কোন ডেভলপার এই পরিমাণ ঘুস না দিলে তার পাওয়ার দলিল আটকে রাখেন। একাধিক সূত্র জানায়, মাগুরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিমাসে প্রায় ১ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এসব দলিলের একটি বড় অংশেরই শ্রেণী পরিবর্তন করে রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে। অনেক জমিতেই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করায় প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সে হিসেবে বছরে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ ধরনের দলিল তৈরীতে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সাব রেজিস্টারসহ এক শ্রেণীর দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে । এ প্রসংগে কথা বললে মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা সেলফোনে জানান, আমি যোগদান করার পর এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে এই অফিসে দলিল রেজিস্ট্রেশনে কোন ঘূস দিতে হয়না। তিনি দুদকের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, এমন কোন তদন্ত সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। ভুক্তভোগিরা এ বিষয়ে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ,নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।