হাসানুজ্জামান সুমন
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মোল্যা (সোনা মিয়া)তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস,দুর্নীতি,অনিয়ম,দখল ও মাদক ব্যবসাসহ নানান অভিযোগ উঠেছে গতকাল বুধবার(২১.০৯২০২২) ৮জন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন।
গত ১২.০৮.২০২০ সোনামিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্ৰকাশিত হয় সেগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো:-
মিজানুর রহমান মোল্লা ওরফে সোনা মিয়া,পিত- আবুল হোসেন মোল্লা ওরফে আবু মিয়া, গ্রাম-কদমী, উপজেলা-বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুর।
সোনা মিয়ার দাদা লাল মিয়া ৭১ এ পিস কমিটির লোক ছিল। বাবা আবু মিয়া রূপাপাত ইউনিয়নের ৫ বছর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিল, মৃত্যুর পূর্বে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। নিজে বিএনপি নেতা, মাদক কারবারি, পুলিশের সোর্স, পুলিশের দালাল, ছোট বয়সে ছ্যাচড়া চোর এবং চুরি করে এলাকা থেকে পলায়ন,ঢাকার গুলশানে গেষ্ট হাউজে বয় হিসেবে চাকুরি নিয়ে গেষ্টদের মাদক/নারী সরবরাহকারী । অবৈধ টাকার মালিক,তার কোন বৈধ ব্যবসা নেই, টাকার জোরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপকারী,ওর পাতানো বাপ বরকত(বরকত-রুবেল), জোর করে রূপাপাত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের প্রার্থী এড উজ্জ্বলকে সভাপতি প্রার্থী পদের নমিনেশন ফর্ম উইড্রো করায়ে নিজে ফাঁকা মাঠে সভাপতি হওয়াসহ নানাবিধ অপকর্মের হোতা, দুদকের মামলার আসামি ।
গত ০২.০৮.২০ বীর মুক্তিযোদ্ধার পুকুর লিজ না দেয়ায় ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অশীতিপর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মিয়ার উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আব্দুল মান্নান মিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি মিজানুর রহমান সোনা মোল্যা ও তার ভাই মুরাদ মোল্যা, রাকিব, আহম্মদ ও নুরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেছেন। ঢাকাটাইমস: ১০ আগস্ট ২০২০বোয়ালমারীতে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়।
দুদককে পাত্তা দিচ্ছে না তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী সোনা মিয়া শিরোনামে-১১.০৭.২০১৮ বিডিনিউজে প্রকাশিত হয় সেটি তুলে ধরা হলো:ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ঢাকা, ফরিদপুর ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বিক্রির মাধ্যমে অল্প কয়েক বছরেই এই সম্পদের পাহাড় গড়েন। দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মিজান মাদক কারবারি করে কয়েক বছরের ব্যবধানে প্রায় দেড়শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। আমরা আরো অনুসন্ধান করছি। মাদক কারবারির সঙ্গে যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তিই থাকুক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।মাদকের এই নিউজটি আরো অনেক দৈনিক জাতীয়, সাপ্তাহিক ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এছাড়াও এলাকাবাসী জানান,তার বিরুদ্ধে হত্যা,চাঁদাবাজি,জমি দখল, ইয়াবা ব্যবসার মূল হোতা এই সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে দুদকেরসহ অনেক মামলা রয়েছে।
গতকাল মেম্বারগন যে অভিযোগ করেছেন,তাদের সাথে খারাপ আচরণ মেম্বারদের পরিবার জড়িয়ে গালিগালাজ বিভিন্ন সময়ে পরিষদের ভিতর মারধর সহ বিভিন্ন ভাগ বন্টন নিয়ে ও মতবিরোধ দীর্ঘদিন ধরে টানটান উত্তেজনা চলছে বলে এলাকাবাসী জানায়। তাদের যে প্রত্যাশা নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছে,সে তার দূর্নীতি-অনিয়ম ক্ষমতার দাপটে সবকিছু বিলীন করে দিচ্ছে। আমরা ন্যূনতম সেবা টুকু পরিষদ থেকে পারছিনা। এমনকি পরিষদে যে কম্পিউটার ছিল সেটা তার নির্দেশে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন করতে ইচ্ছা মতন টাকা নেয় চেয়ারম্যান।ভগান্তির শেষ নেই কোন মিটিং এর তোয়াক্কা করে না,তার ইচ্ছা অনুযায়ী অফিস আসে যাই। এলাকাবাসীর দাবি এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান কে অপসারণ করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান সোনা মিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল নাম্বারটা বন্ধ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোশারেফ হোসেন বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার অফিসে এসেছিল,এটাও তারা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি চিঠি দিয়েছে এখনো অফিশিয়াল ভাবে আমার কাছে চিঠির কপি আসে নাই।যেহেতু আমাকে অনুলিপি দিয়েছে আমি চেষ্টা করব যেভাবে পরিস্থিতি শান্ত থাকে। আমরা যেহেতু সরকারি কর্মকর্তা সাধারণ জনগণের সেবার জন্য কাজ করছি। কোনরকম অনিয়ম বা দুর্নীতি রোধে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন,চেয়ারম্যান বাদ দিয়া বা অব্যাহতি দেয়া আমাদের ক্ষমতার বাইরে।সেটি আদালতের বিষয় আদালতের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা পালন করতে বাধ্য।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়াম্যান এম এম মোশারেফ হোসেন মুশা মিয়া বলেন,আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি আমার কাছে এসেছিল মেম্বারগণ।যেহেতু তারা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে যার কারণে বিষয়টি আমার দেখার তেমন সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা,উপ-পরিচালক-স্থানীয় সরকার ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে জানান, শুনেছি গতকাল রুপাপাত ইউনিয়ন থেকে মেম্বারগন জেলা প্রশাসক বরাবর একটা আবেদন করেছে,এখনো আমার হাতে পায়নি আমরা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব আইন অনুযায়ী।