ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে–স্পীকার সিরাজদিখানে তীব্র তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করলেন জেলা পরিষদ সদস্য এমপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে ছাড় দেওয়া হবে না-হুমকি এমপি পুত্রের! নাজমা রহিমের দোয়া মাহফিলে স্পীকারের অংশগ্রহণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত সিরাজদিখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাহিদের গণসংযোগ

চিলমারীতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য দেয়নি কৃষি কর্মকর্তা

হাবিবুর রহমান:

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তথ্য অধিকার ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে গেলে ও আবেদনকারীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম। এদিকে কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাশকে বিষয়টি জানালে তিনি তেমন ভাবে কোন উত্তর না দিয়ে, দায় সারা ভাবে কথা বলেছেন। সোমবার সকালে এবং দুপুরে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি এস এম রাফি ও ফয়সাল হক তথ্য অধিকারে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার এর তালিকা চেয়ে আবেদন করতে গেলে দায়িত্বরত স্টাফ ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম আবেদন টি গ্রহন না করে সাংবাদিকদের ফিরয়ে দিয়েছেন। এতে করে চিলমারীতে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এ বলা হয়েছে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করণের নিমিত্ত বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন। যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সাংবাদিক রাফি বলেন, ১ম দফায় আবেদন নিয়ে গেলে দায়িত্বরত স্টাফ আমাকে বলেন আবেদন জমা দিয়ে যেতে পারেন। তবে রিসিভ করে নেয়া যাবে না বলে তিনি জানান। অপর দিকে সাংবাদিক ফয়সাল হক জানান, তারা আবেদন রেখে যেতে বলেছেন। সেই সাথে এটাও জানিয়েছেন যে উপরের কর্মকর্তার (কৃষি অফিসার) নিষেধ থাকায় আবেদন গ্রহন করেন নি। এ দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে, চিলমারী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ মমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সনের ২০ নম্বর আইনে বলা আছে, যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সুতরাং তথ্য অধিকারে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। কিন্তু তারা আবেদন গ্রহন করেন না কেন, সেটা আমার বোধ গম্য হচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাশের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আবেদনটি রেখে যেতে বললেও রিসিভ কপি দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি বাইরে আছেন বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা

চিলমারীতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য দেয়নি কৃষি কর্মকর্তা

আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

হাবিবুর রহমান:

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে তথ্য অধিকার ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে গেলে ও আবেদনকারীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম। এদিকে কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাশকে বিষয়টি জানালে তিনি তেমন ভাবে কোন উত্তর না দিয়ে, দায় সারা ভাবে কথা বলেছেন। সোমবার সকালে এবং দুপুরে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি এস এম রাফি ও ফয়সাল হক তথ্য অধিকারে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার এর তালিকা চেয়ে আবেদন করতে গেলে দায়িত্বরত স্টাফ ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম আবেদন টি গ্রহন না করে সাংবাদিকদের ফিরয়ে দিয়েছেন। এতে করে চিলমারীতে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এ বলা হয়েছে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করণের নিমিত্ত বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন। যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সাংবাদিক রাফি বলেন, ১ম দফায় আবেদন নিয়ে গেলে দায়িত্বরত স্টাফ আমাকে বলেন আবেদন জমা দিয়ে যেতে পারেন। তবে রিসিভ করে নেয়া যাবে না বলে তিনি জানান। অপর দিকে সাংবাদিক ফয়সাল হক জানান, তারা আবেদন রেখে যেতে বলেছেন। সেই সাথে এটাও জানিয়েছেন যে উপরের কর্মকর্তার (কৃষি অফিসার) নিষেধ থাকায় আবেদন গ্রহন করেন নি। এ দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে, চিলমারী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ মমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ সনের ২০ নম্বর আইনে বলা আছে, যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সুতরাং তথ্য অধিকারে যে কেউ আবেদন করতে পারেন। কিন্তু তারা আবেদন গ্রহন করেন না কেন, সেটা আমার বোধ গম্য হচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাশের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আবেদনটি রেখে যেতে বললেও রিসিভ কপি দেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি বাইরে আছেন বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দিয়েছেন।