ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিরাজদিখানে চায়না দুয়ারী জাল বন্ধে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় ডা: লিজা নার্সিং ইন্সটিটিউটে নবীন বরন অনুষ্ঠিত নিশ্চিত হলো মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক প্রতিশ্রুতি অনেক, বাস্তবায়ন কম ভাইয়ের মৃত্যুতে বোনের এসএসসি পাসের আনন্দ মাটি পুলিশ সুপার (এসপি)পদোন্নতি পেলেন আদর্শবান পুলিশ অফিসার আশ্রাফুজ্জামান ৬০ কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার পুলিশের চাকরি দিতে ১৪ লাখ টাকা ঘুষ, ২ কনস্টেবল বরখাস্ত সার্টিফিকেট জালিয়াতিতে অভিযুক্ত সাংবাদিকরা ডিবির মুখোমুখি হতে পারেন: হারুন

ফের যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি

অনলাইন ডেস্ক:

কমেডিয়ান থেকে রাষ্ট্রনেতা হয়েছেন তিনি। ‘বিনাযুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’ হুঙ্কারে রুখে দিয়েছেন প্রবল প্রতাপশালী রুশ সেনাকে। এবার ফের যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেলেন সেই ভলোদিমির জেলেনস্কি। সদ্য রুশ সেনার হাতছাড়া খেরসনে ফৌজিদের মনোবল বাড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

জানা গিয়েছে, সোমবার দখলমুক্ত খেরসনে যান জেলেনস্কি। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জেলেনস্কির এই সফরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে। ভিডিওয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা যায়, “(খেরসন) যাওয়া জরুরি ছিল।” যুদ্ধক্ষেত্রে বিপদ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সেনারা প্রতিদিন এমন বিপদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকরাও একই পরিস্থিতিতে কাজ করছেন। তাই আমি মনে করি, আমার এখানে এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলা এবং তাদের মনোবল বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে।” রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা এগিয়ে চলেছি। তবে শান্তির জন্য এখনও আমরা তৈরি।”

শুরুর দিক থেকেই খেরসন অঞ্চলে আধিপত্য বজায় রেখেছিল রুশ সেনা। প্রায় ন’মাস কেটে যাওয়ার পরে প্রবল প্রত্যাঘাতের সেখান থেকে ফৌজ সরিয়েছে রাশিয়া। গত শুক্রবারেই খেরসন অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার কথা জানায় ইউক্রেনীয় সেনা। এদিকে, পুতিন বাহিনী বিদায় নেওয়ার পরে খুশিতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জাতীয় সংগীত বাজিয়ে কার্যত উৎসবে মেতেছেন হাজার হাজার ইউক্রেনবাসী। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই গণভোটের মাধ্যমে খেরসনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন পুতিন। কিন্তু শহরটি দখল করে রাখতে পারেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।

এদিকে, যুদ্ধের আঘাত সহ্য করতে গিয়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে খেরসন। প্রায় ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাওয়া শহরকে ফের গড়ে তুলতে হিমশিম খেতে হবে প্রশাসনকে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। মৃত্যুপুরী খেরসনে বর্তমানে পানীয় জল, ওষুধ, খাবারের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান কার্যত নেই বললেই চলে। এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে যাবতীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ সেনা, এমনটাই দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ক্রমাগত যুদ্ধের মাঝে কীভাবে ফের এই শহরকে গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে জেলেনস্কি প্রশাসনকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজদিখানে চায়না দুয়ারী জাল বন্ধে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযান

ফের যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি

আপডেট টাইম : ০৭:৩৪:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

অনলাইন ডেস্ক:

কমেডিয়ান থেকে রাষ্ট্রনেতা হয়েছেন তিনি। ‘বিনাযুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’ হুঙ্কারে রুখে দিয়েছেন প্রবল প্রতাপশালী রুশ সেনাকে। এবার ফের যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে গেলেন সেই ভলোদিমির জেলেনস্কি। সদ্য রুশ সেনার হাতছাড়া খেরসনে ফৌজিদের মনোবল বাড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

জানা গিয়েছে, সোমবার দখলমুক্ত খেরসনে যান জেলেনস্কি। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জেলেনস্কির এই সফরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে। ভিডিওয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা যায়, “(খেরসন) যাওয়া জরুরি ছিল।” যুদ্ধক্ষেত্রে বিপদ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সেনারা প্রতিদিন এমন বিপদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকরাও একই পরিস্থিতিতে কাজ করছেন। তাই আমি মনে করি, আমার এখানে এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলা এবং তাদের মনোবল বৃদ্ধি করার প্রয়োজন রয়েছে।” রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা এগিয়ে চলেছি। তবে শান্তির জন্য এখনও আমরা তৈরি।”

শুরুর দিক থেকেই খেরসন অঞ্চলে আধিপত্য বজায় রেখেছিল রুশ সেনা। প্রায় ন’মাস কেটে যাওয়ার পরে প্রবল প্রত্যাঘাতের সেখান থেকে ফৌজ সরিয়েছে রাশিয়া। গত শুক্রবারেই খেরসন অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার কথা জানায় ইউক্রেনীয় সেনা। এদিকে, পুতিন বাহিনী বিদায় নেওয়ার পরে খুশিতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জাতীয় সংগীত বাজিয়ে কার্যত উৎসবে মেতেছেন হাজার হাজার ইউক্রেনবাসী। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই গণভোটের মাধ্যমে খেরসনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন পুতিন। কিন্তু শহরটি দখল করে রাখতে পারেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।

এদিকে, যুদ্ধের আঘাত সহ্য করতে গিয়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে খেরসন। প্রায় ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাওয়া শহরকে ফের গড়ে তুলতে হিমশিম খেতে হবে প্রশাসনকে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। মৃত্যুপুরী খেরসনে বর্তমানে পানীয় জল, ওষুধ, খাবারের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান কার্যত নেই বললেই চলে। এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে যাবতীয় পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ সেনা, এমনটাই দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ক্রমাগত যুদ্ধের মাঝে কীভাবে ফের এই শহরকে গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে জেলেনস্কি প্রশাসনকে।