অনলাইন ডেস্ক:
রাশিয়ায় ফিরল ‘স্তালিন জমানা’! দশ বা তার বেশি সন্তানের জন্মদাত্রী নারীদের ‘মাদার হিরোইন’ খেতাবে সম্মানিত করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অতীতে স্তালিনের নির্দেশে সোভিয়েত ইউনিয়নে এহেন সম্মানের বন্দোবস্ত হয়েছিল। সোভিয়েতের পতনের তিন দশক পরে ফের রাশিয়ায় প্রত্যাবর্তন ‘মাদার হিরোইন’-এর।
কোভিড অতিমারীর পরেই ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে রাশিয়া। মূলত এই দুটি কারণেই সেদেশের জনসংখ্যা ব্যাপক ভাবে কমে গিয়েছে। দেশকে জনবহুল করে তুলতেই নয়া দাওয়াই পুতিনের। গত আগস্টেই এই সংক্রান্ত ঘোষণা করে রুশ সরকার। জানিয়ে দেয়, খেতাব দেওয়ার পাশাপাশি নগদ পুরস্কারও পাবেন দশ বা দশের বেশি সন্তানের জননীরা।
জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই খেতাব তাঁদেরই দেওয়া হবে, যাঁরা রাশিয়ার নাগরিক। এবং অন্তত দশটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। দশম সন্তানের এক বছর বয়স হওয়ার পরেই এককালীন টাকা দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে। তবে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত, প্রত্যেকটি সন্তানকে সুস্থ এবং জীবিত থাকতে হবে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে এক মিলিয়ন রুবল দেওয়া হবে রুশ সরকারের পক্ষ থেকে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় তেরো লক্ষ টাকা।
পুতিনের মতে, যেসব মানুষের পরিবার খুব বড়, তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। জেনি আরও জানিয়েছেন, ১৯৯০ সালের পর থেকেই রাশিয়ার জনসংখ্যার বৃদ্ধি সেভাবে হচ্ছে না। তাই রুশ সরকার মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে যেন দেশের জনসংখ্যা বাড়ানো যায়। রুশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্পের ফলে রুশ মহিলারা উৎসাহ পাবেন। অধিক সংখ্যায় সন্তানের জন্ম দিয়ে দেশের প্রতি অবদান রাখবেন তাঁরা।”
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মাত্র ১ মিলিয়ন রুবল তথা তেরো লক্ষ টাকা দিয়ে কি দশটি সন্তানকে প্রতিপালন করা সম্ভব? এমনিতেই যুদ্ধের ফলে রুশ অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারপরে এতগুলি সন্তানের ভরণপোষণ কীভাবে সম্ভব? তাছাড়াও শারীরিকভাবে একজন মহিলার পক্ষে কি সম্ভব এতগুলি সন্তানের জন্ম দেওয়া? বিতর্ক সত্ত্বেও পদক্ষেপ পুতিনের।