বিশেষ প্রতিনিধি
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ১১নং হাসানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অফিসে লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন ওই পরিষদের নির্বাচিত সাত জন মেম্বার, যার মধ্যে একজন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ও রয়েছেন। লিখিত অভিযোগে জানান, অতি-দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচীর উপকারভোগীদের নিকট হইতে উৎকোচ আদায় করেন এবং ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে অতি-দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচীর তিন কর্মদিবস কর্মবিরতি রাখিয়া উপকারভোগীদের নিকট হইতে তিন কর্মদিবসের মজুরীর অর্থ ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আত্মসাৎ করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব আদায়কৃত অর্থ ব্যাংক-এ জমা রাখার নিয়ম থাকিলেও উক্ত চেয়ারম্যান নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজে খরচ করেন। অথচ মেম্বারদের কোন ভাতা প্রদান করেননি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করিয়া জনগনের নিকট হইতে যে কোন সনদ বা প্রত্যয়নের জন্য রশিদ বিহীন অর্থ আদায় করিয়া আত্মসাৎ করছেন।
চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক, ত্রৈমাসিক বা ষাস্নাসিক কোন সভা পরিচালনা করেন না। এমনকি যে কোন প্রকল্প নিজের মতো গ্রহণ করিয়া বাস্তবায়ন করেন।
ভিজিডি কর্মসূচীর তালিকা প্রনয়নের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নিয়মনীতি অনুসরণ না করিয়া নিজের মতে নিজস্ব লোকজনের নামে কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করেন। ১৬২ টি কার্ডের মধ্যে সদস্যদের জন্য সদস্য প্রতি মাত্র দুই টি কার্ড প্রদানের জন্য সচিবকে মোবাইল ফোনে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আরো জানানো হয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জন্য ৪০ টি কার্ড, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার জন্য ২০ টি কার্ড রাখতে হবে।
ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত মহিলা উদ্যোক্তা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা অবস্থায় তাহার স্থলে চেয়ারম্যানের আত্মীয়াকে নিয়োগ প্রদান করিয়ে থাকেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের গোপন ওয়েব সাইটটি বাইরে প্রকাশ হইয়া গোপনীয়তা প্রকাশ হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ মিটিং ছাড়াই বিতরণ করেন। ফলে সিংহভাগ সার ও বীজ আত্মসাৎ করা হইয়াছে।
চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামান সপ্তাহে মাত্র দুই দিন অফিস করেন। ফলে জনগণ চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে।
দুঃখের বিষয় যে, পরিষদের জরুরি কোন কাজে হাজির হইলে বা তাহার সাথে আলাপ করিতে সর্বনিম্ন এক ঘন্টা সময় লাগে। যদি অনুমতি না হয় বা না দেয় তাহলে সাক্ষাৎ করা যাবে না। সর্ব সময় ঘরের দরজা দিয়ে তার নিজস্ব কিছু লোকের সাথে পরিষদের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য আলাপে ব্যস্ত থাকেন।
এলজিএসপি, এলজিআরডি, টিআর,কাবিখা,কাবিটা এর বরাদ্দের সিংহভাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নামে রাখিয়া ভাগ করেন।
১১নং হাসনপুর ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায় আরো চঞ্চল্যকর তথ্য, নাম প্রকাশ করা সত্ত্বে একজন বলেন, সরকারি দলের চেয়ারম্যান হওয়ায় তৌহিদুজ্জামান কাউকে মানুষ বলে গণ্য করে না,সব সময় তার ভেতর উগ্রতা কাজ করে, যে কোনো বিষয়ে স্থানীয় এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে চলে, এলাকার মানুষ তার ভয়ে ভীত, শঙ্কিত থাকে। এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, তার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে, তৌহিদুজ্জামান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়।
১১নং হাসানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, ফোন বন্ধ থাকায় তার সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।
(চেয়ারম্যান তোহিদুজ্জামান তৌহিদের আরো দুর্নীতির খবর জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে)
শিরোনাম :
কেশবপুরের ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ!
- খবর বাংলাদেশ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০৮:৩১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২
- ১০২৬ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ