ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পার্লামেন্টের নারী স্পীকারদের সামিট বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম– স্পীকার ফায়ার সার্ভিসের সেই দুর্নীতিবাজ উপপরিচালক ওহিদুল আবার অধিদপ্তরে! নওগাঁয় নিউ মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এর কমাশিয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত সিরাজদিখানে চায়না দুয়ারী জাল বন্ধে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় ডা: লিজা নার্সিং ইন্সটিটিউটে নবীন বরন অনুষ্ঠিত নিশ্চিত হলো মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক প্রতিশ্রুতি অনেক, বাস্তবায়ন কম ভাইয়ের মৃত্যুতে বোনের এসএসসি পাসের আনন্দ মাটি

মামলা তুলে না নেওয়ায় মন্দিরে ঢুকে বাদীর ওপর হামলা!

স্টাফ রিপোর্টার :

২০১৭ সালে দায়েরকৃত একটি সিআর মামলা তুলে না নেওয়ায় আসামীরা মন্দিরে ঢুকে বাদীকে প্রান নাশের চেষ্টা চালিয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ডিএমপির শাহবাগ থানায় সাধারণ ডাইরী দায়ের করেছেন হামলার শিকার সঞ্জীব কুমার দাস। ডাইরী নং ২০২৫ তারিখ:৩০/১২/২০২২ ইং। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০/১২/২০২২ ইং তারিখ দুপুর ২ টার সময়।
বাদীর লিখিত অভিযোগ ও মৌখিক আলাপে জানাগেছে, বাদী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএর) একজন কর্মচারি ও সাবেক সিবিএ নেতা। ২০১৭ সালে এই সংস্থার কতিপয় কর্মচারি তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে । চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা তার অফিসে হামলা চালিয়ে শারীরক নির্যাতন করেন এবং টাকা পয়সা,মানি ব্যাক,ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও স¦র্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। ফলে সঞ্জীব কুমার দাস বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ১৫৯৭/২০১৭। ধারা-৩২৩/৩২৫/৩৮৯/৩৮০/৩৮৫/১০৯ বা: দ: বি: আইন।
এই মামলায় যাদের আসামী করা হয় তারা হরেন: বিআইডব্লিউটিএর সিবিএ নেতা মো: আবুল হোসেন. মো: রফিকুল ইসলাম, মো: নাজমুল কবীর, পান্না বিশ^াস, মো: আক্তার হোসেন ও মো: আলী হোসেন ।
মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় বাদীকে মামলা তুলে নেবার জন্য নানা মাধ্যমে চাপ দিয়ে আসছিলেন আসামীরা। কিন্তু বাদী মামলা তুলে না নেওয়ায় তারা বাদীকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছিলেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ দুপুর ২ টার সময় বাদী সঞ্জীব কুমার দাস পরিবারসহ রমণা মন্দিরে ধর্মীয় উপসনায় গেলে আসামী পান্না বিশ^াস ও তার ৫/৬ জন বেআইনী অস্ত্রধারী সহযোগি মন্দিরের ভেতরেই বাদীর ওপর হামলা চালিয়ে জখম করেন। এবং এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিলে পরিণতি ভয়াভহ হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যান। ততক্ষনাত বাদীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে বর্হিবিভাগে প্রাথমিক চিকিতসা দেওয়া হয়েছে। বাদী এখন নিজ বাসায় বিশ্রামে আছেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডাইরী দায়ের করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এসআই মো: রাজু মুন্সীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এসআই রাজু মুন্সী জানান, তিনি তদন্তের কাজ শুরু করেছেন।
মন্দিরের মত পবিত্র স্থানে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,আইজিপি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন বাদী সঞ্জীব কুমার দাস।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়

মামলা তুলে না নেওয়ায় মন্দিরে ঢুকে বাদীর ওপর হামলা!

আপডেট টাইম : ০৪:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার :

২০১৭ সালে দায়েরকৃত একটি সিআর মামলা তুলে না নেওয়ায় আসামীরা মন্দিরে ঢুকে বাদীকে প্রান নাশের চেষ্টা চালিয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়াগেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ডিএমপির শাহবাগ থানায় সাধারণ ডাইরী দায়ের করেছেন হামলার শিকার সঞ্জীব কুমার দাস। ডাইরী নং ২০২৫ তারিখ:৩০/১২/২০২২ ইং। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০/১২/২০২২ ইং তারিখ দুপুর ২ টার সময়।
বাদীর লিখিত অভিযোগ ও মৌখিক আলাপে জানাগেছে, বাদী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএর) একজন কর্মচারি ও সাবেক সিবিএ নেতা। ২০১৭ সালে এই সংস্থার কতিপয় কর্মচারি তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে । চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা তার অফিসে হামলা চালিয়ে শারীরক নির্যাতন করেন এবং টাকা পয়সা,মানি ব্যাক,ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও স¦র্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। ফলে সঞ্জীব কুমার দাস বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর চীফ মেট্রোপলিটন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর ১৫৯৭/২০১৭। ধারা-৩২৩/৩২৫/৩৮৯/৩৮০/৩৮৫/১০৯ বা: দ: বি: আইন।
এই মামলায় যাদের আসামী করা হয় তারা হরেন: বিআইডব্লিউটিএর সিবিএ নেতা মো: আবুল হোসেন. মো: রফিকুল ইসলাম, মো: নাজমুল কবীর, পান্না বিশ^াস, মো: আক্তার হোসেন ও মো: আলী হোসেন ।
মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় বাদীকে মামলা তুলে নেবার জন্য নানা মাধ্যমে চাপ দিয়ে আসছিলেন আসামীরা। কিন্তু বাদী মামলা তুলে না নেওয়ায় তারা বাদীকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছিলেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ দুপুর ২ টার সময় বাদী সঞ্জীব কুমার দাস পরিবারসহ রমণা মন্দিরে ধর্মীয় উপসনায় গেলে আসামী পান্না বিশ^াস ও তার ৫/৬ জন বেআইনী অস্ত্রধারী সহযোগি মন্দিরের ভেতরেই বাদীর ওপর হামলা চালিয়ে জখম করেন। এবং এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিলে পরিণতি ভয়াভহ হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যান। ততক্ষনাত বাদীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে বর্হিবিভাগে প্রাথমিক চিকিতসা দেওয়া হয়েছে। বাদী এখন নিজ বাসায় বিশ্রামে আছেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডাইরী দায়ের করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এসআই মো: রাজু মুন্সীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এসআই রাজু মুন্সী জানান, তিনি তদন্তের কাজ শুরু করেছেন।
মন্দিরের মত পবিত্র স্থানে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,আইজিপি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন বাদী সঞ্জীব কুমার দাস।