ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা পঞ্চগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ মা-ছেলে আটক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে

পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোটি টাকা ঘুস গ্রহন: বিআইডব্লিটিএর ৪ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রোস্তম মল্লিক :

পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোটি টাকার ওপরে ঘুস গ্রহনের দায়ে বিআইডব্লিউটিএর ৪ প্রকৌশলীর নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত ৪ প্রকৌশলী হলেন: ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদ উজ্জামান। তাদেরস্ত্রীসহ মোট ৮ জনের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদক সুত্রে জানাগেছে, প্রায় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৭। ধারা দ:বি: ১৬১/১৬৫(৪) সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২)। আসামীরা হলেন: ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী ফজিলা খাতুন, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আফরোজা খানম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শারমিন ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদ উজ্জামান ও তার স্ত্রী ফেরদৌস জাহান। দুদক সুত্র জানায়,বিআইডব্লিউটিএর আরিচা,রাজশাহী,গোদাগাড়ি,ভোলাহাট নদী বন্দর প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেসিক ড্রেজিং কোম্পানীর কাছ থেকে তারা নিজেরা এবং নিজেদের স্ত্রী ও শ^াশুড়ীর নামের ব্যাংক হিসাবে পেঅর্ডারের মাধ্যমে মোট ১ কোটি ২১ লক্ষ ৫ হাজার ১৩১ টাকা ঘুস গ্রহন করেন। এছাড়া দুদকের মামলার তথ্য গোপন করে ফরহাদুজ্জামান অতি: প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি নিয়েছেন। জহিরুল ইসলাম দুদকের মামলা তথ্য গোপন করে ২ দফা পদোন্নতি নিয়েছেন। আবু বকর সিদ্দিকও উপ সহকারী প্রকৌশলী হতে ২ দফা পদোন্নতি নিয়ে কর্মরত রয়েছেন। এরা বিআইডব্লিউটিএর পদোন্নতি কমিটিকে প্রায় কোটি টাকা নজরানা দিয়ে আলোচ্চ পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত ২০০৮ সালের জুন মাসের ৪ তারিখে বেসিক ড্রেজিং কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপক খান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এই মামলাটি দায়ের করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা

পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোটি টাকা ঘুস গ্রহন: বিআইডব্লিটিএর ৪ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট টাইম : ১২:১৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

রোস্তম মল্লিক :

পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোটি টাকার ওপরে ঘুস গ্রহনের দায়ে বিআইডব্লিউটিএর ৪ প্রকৌশলীর নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযুক্ত ৪ প্রকৌশলী হলেন: ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদ উজ্জামান। তাদেরস্ত্রীসহ মোট ৮ জনের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদক সুত্রে জানাগেছে, প্রায় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৭। ধারা দ:বি: ১৬১/১৬৫(৪) সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২)। আসামীরা হলেন: ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী ফজিলা খাতুন, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আফরোজা খানম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শারমিন ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদ উজ্জামান ও তার স্ত্রী ফেরদৌস জাহান। দুদক সুত্র জানায়,বিআইডব্লিউটিএর আরিচা,রাজশাহী,গোদাগাড়ি,ভোলাহাট নদী বন্দর প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেসিক ড্রেজিং কোম্পানীর কাছ থেকে তারা নিজেরা এবং নিজেদের স্ত্রী ও শ^াশুড়ীর নামের ব্যাংক হিসাবে পেঅর্ডারের মাধ্যমে মোট ১ কোটি ২১ লক্ষ ৫ হাজার ১৩১ টাকা ঘুস গ্রহন করেন। এছাড়া দুদকের মামলার তথ্য গোপন করে ফরহাদুজ্জামান অতি: প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি নিয়েছেন। জহিরুল ইসলাম দুদকের মামলা তথ্য গোপন করে ২ দফা পদোন্নতি নিয়েছেন। আবু বকর সিদ্দিকও উপ সহকারী প্রকৌশলী হতে ২ দফা পদোন্নতি নিয়ে কর্মরত রয়েছেন। এরা বিআইডব্লিউটিএর পদোন্নতি কমিটিকে প্রায় কোটি টাকা নজরানা দিয়ে আলোচ্চ পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত ২০০৮ সালের জুন মাসের ৪ তারিখে বেসিক ড্রেজিং কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপক খান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এই মামলাটি দায়ের করেন।