ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের দুই উপপরিদর্শককে (এসআই) তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন। এই দুই এসআই হলেন তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস। তারা শাহ আলী থানায় কর্মরত ছিলেন।
আজ বুধবার আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কার্যালয়ের উপপরিদশক (এসআই) জালালউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জালালউদ্দিন বলেন, ‘দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গতকাল মঙ্গলবার রিমান্ডে নেওয়া হয়।’
এর আগে গত সোমবার শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের আদালতে হাজির করে মামলার কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই আলতাফ জামান ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া সরকারি কর্মচারী পরিচয় দিয়ে অপহরণ, ছিনতাই, আটক ও মারধরের অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বাদী শাহাদাৎ সরদার শেরে বাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগে শাহাদাৎ উল্লেখ করেন, তার কাছ থেকে ব্যবহৃত সীম দুটি খুলে মোবাইল ফোন রেখে দেয়, যাহার মূল্য-১৫,৯৯৯/- টাকা, এবং পকেটে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। মানিব্যাগে থাকা ডিবিবিএল ব্যাংকের এটিএম কার্ড এর পিনকোড চায় দিতে অস্বীকৃত জানালে তখন এসআই তুহিন কাজী ও এসআই মশিউর রহমান তাপস সাথে থাকা সোর্স, শাহাদৎ সরদারকে এলোপাথাড়ী ভাবে কিল, ঘুসি মারতে থাকে এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দেয় তখন জীবন রক্ষার্থে তাদেরকে এটিএম কার্ডের পিনকোড বলে দেয়। বিবাদীরা এটিএম বুথে গিয়ে কার্ড এর ব্যালেন্স চেক করে টাকার পরিমান জেনে নেয়। এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস সাহাদৎ সরদারের ফোনে ন্যাক্সাস পে এ্যাপ ইনস্টল করে ন্যাক্সাস পে এর মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের ১৫০২৪৯৯৫৪৩০০১ নম্বর এ্যাকাউন্ট থেকে পর্যায়ক্রমে ৩লাখ ১০, ৩লাখ ১০, ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০ টাকা, মোট ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩০ টাকা স্থানান্তর করে নেয়। সর্বমোট ৯ লাখ ১৯ হাজার ৩০ টাকা ছিনতায় করে। ৯ ডিসেম্বর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অভিযুক্ত দুই এসআই নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তার গতিরোধ করেন। এরপর নগদ টাকা এবং কার্ড থেকে জোরপূর্বক টাকা লুট করেন।