হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কেজি ওজনের ২৮টি স্বর্ণের বারসহ এম মাসুদ ইমাম নামে এক যাত্রীকে আটক করেছে বিমানবন্দর কাস্টমস হাউজ। আটক মাসুদ দুবাই থেকে ছেড়ে আসা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের (ইকেএস৮৪) যাত্রী ছিলেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারহানা বেগম এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এতে বলা হয়, মাসুদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে স্বর্ণ চোরাচালানের কাজে সম্পৃক্ত থাকতে পারে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার দেহ তল্লাশি করে একটি চামড়ার মানিব্যাগ পাওয়া যায়। পরে ওই মানিব্যাগের ভেতরে একটি বড় আকারের স্বর্ণের কয়েন পাওয়া যায়, যা মাসুদ নিজের বলে স্বীকার করেন। এছাড়াও তল্লাশিতে একাধিক স্বর্ণের বারসহ তার কাছ থেকে আরও ২টি মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোট উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন তিন হাজার চারশত আটানব্বই গ্রাম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। স্বর্ণের বারগুলো কাস্টম হাউস শুল্ক গুদামে জমা দেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩ কেজি ৮১০ গ্রাম স্বর্ণসহ এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছিল।
জানা গেছে, ওমানের মাসকাট থেকে ঢাকায় আগত ওমান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে তিনটায় অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে সতর্ক অবস্থান নেন।
উড়োজাহাজটি অবতরণ করার পর পরই সন্দেহভাজন যাত্রী হাফিজ হাসানের পরিচয় চিহ্নিত করা হয়। এ সময় তল্লাশি করে তার সামনের সিটের ব্যাক পকেটে সাদা স্কচ টেপে মোড়ানো ৩২টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেহ তল্লাশি করে আরো ৯৮ গ্রাম স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য তিন কোটি উনত্রিশ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, অনেকদিন যাবত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালানিরা রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে দেশের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের প্রতিরোধ করতে সচেতন আছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।