এম জাফরান হারুন :
পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তথা বাউফলে বেশ কয়েকদিন ধরেই তীব্র গরমের তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ জন। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
অনেকদিন বৃষ্টি না থাকার কারণে দিনে দিনে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। আর এতে করে সবেচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন টিনের ঘরে বসবাস করা মানুষ জন সহ দোকানদার, ঠেলাগাড়িচালক, অটোরিকশাচালক, ভ্যান-সিএনজিচালক ও খেটেখাওয়া মানুষগুলো।
সোমবার (১৫ এপ্রিল ) সকাল ১১ ঘটিকায় সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কালাইয়া বাজার, বিলবিলাস বাজার ও বাউফল শহরের বাজার এলাকায় প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষেরা।
প্রচণ্ড তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে নানা ধরনের ঠাণ্ডা শরবত বা পানি অথবা টিউবওয়েলের ঠান্ডা পানিই ভরসা এখন খেটে খাওয়া মানুষদের ও অন্যান্য মানুষদের। পাশা পাশি ডাব ও আখের রসও চলছে বেশ।
স্থানীয় অটোভ্যানচালক চালক মো: জাফর জানান, মোরা খেটে খাওয়া মানুষ, চাকা চললে খেতে পারি, না চললে না, প্রচণ্ড গরমে যাত্রী টানতে পারছি না। রোদে বারবার তৃষ্ণা পাচ্ছে। তাই শরীলটারে শান্তি দিতে কখনো টিউবওয়েলের একটু ঠান্ডা পানি আবার মাঝে মধ্যে দুই এক গ্লাস শরবত খাই।
এছাড়াও অটোরিকশা চালক ও মোটরসাইকেল চালকরা বলেন, মাথার ওপর যে রোদ, সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। প্রচন্ড তাপমাত্রায় কষ্ট হচ্ছে। একটুতেই ঘামে ভিজে গোসল হয়ে যাচ্ছি। যে কারণে শরীরে পানির চাহিদাও হয় প্রচুর। পিপাসা পায় খুব। তাই একটু শান্তির জন্য বাতাসকে উপভোগ করি এবং পাশাপাশি ফ্যানের বাতাসে একটু পরানটা জুরাই। তবে গরম আসলেই বিদ্যুৎ যায় আর আসে, তখন খুব বিরক্ত লাগে।
এদিকে তীব্র গরমে বাড়ছে নানা রকমের রোগ। বিশেষজ্ঞরা প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পরামর্শ দিলেও কর্মজীবী লোকজন পিপাসা মেটাতে বাধ্য হয়ে ফুটপাতের শরবত, পানি পান করছেন। এতে করে পানিবাহিত অন্যান্য রোগও ছড়াচ্ছে দিন দিন।
পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল ও বাউফল হাসপাতালে খবর নিয়ে জানা যায় এবং মেডিকেল অফিসাররা বলেন, তীব্র তাপদাহে বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। এ অবস্থায় বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই। শিশুদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এবং তাদেরকে ফলমূল শাকসবজি বেশি করে খাওয়াতে হবে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী তথা উপজেলাতে আজ সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আবার ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের একটু কম বেশি। এমন পরিস্থিতি আরও এক সপ্তাহ চলবে।