নাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি-
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্বামীর পরিবারের ৭ জনকে পিটিয়ে আহতকরার ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার কোলা ইউনিয়নের উত্তর নন্দনকোনা গ্রামে গত ২২শে এপ্রিল সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
মোঃ মনির হোসেনের পুত্র মো.শাহাদত হোসেন (৩০) সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে আছান শেখের ছেলে মোঃ হিরু (৪০), মানিক (৩৫) , কাঞ্চন শেখ (৩৮), ফয়েজ শেখের ছেলেমসিয়াম শেখ (২৬),, আলম (২৬), সেলিম (৪০), জনি (৩০)কে বিবাদী করে অভিযোগে বলে, গত ২২/০৪/২০২৪ তারিখ বিকাল বেলা আমার স্ত্রীর সাথে আমার পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য হয়। এরই জের ধরে উপরোক্ত সকল অভিযুক্তরা সন্ধ্যা অনুমানিক ০৬ টা ৪৫ মিমিটের সময় সিরাজদিখান থানার কোলা ইউনিয়নের অন্তর্গত নন্দনকোনা সাকিনস্থ আমার বসত বাড়ীতে এসে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন আমি তাদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে ১,২,৩,৪,৫,৬ ও ৭নং আসামীরা আমাকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। তখন আমার দাদী সলেমান বেগম (৭০) আগাইয়া আসিলে ১নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার দাদীর মাথায় আঘাত করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত ফাঁটা জখম করে। আমার মা সাহিদা বেগম আমাদেরকে উদ্ধার করিতে আগাইয়া আসিলে ২নং আসামী আমার মায়ের ডান চোঁখে আঘাত করিয়া রক্তাক্ত জখম করে। ১নং অভিযুক্ত আমার মেয়ে মারিয়া আক্তারের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করিয়া রক্তাক্ত ফাঁটা জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীগন আমাদেরকে খুন জখমের হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে আমি, আমার মা, আমার দাদী ও আমার মেয়ে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করি। আমার মায়ের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিডফোর্ড ঢাকায় রেফার্ড করেন।
বিবাদীদের সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কারী অফিসার এসআই মো: আব্দুল কাদের বলেন অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে যাই তদন্ত শেষে আমরা আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবো।