ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
IOM এর সহযোগিতায় আরও অনিয়মিত ১৪৩ জন বাংলাদেশী ফেরত এসেছে লিবিয়া থেকে বিসিকে সরকারী নীতিমালা ভংগের মহোতসব: পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবীর অপসারণ দাবী! গাজীপুর আদালতে সরকারি কৌঁসুলী নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ জয়পুরহাটে ব্যাবসায়ী কৃষ্ণ বসাকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে হয়রানির অভিযোগ IOM এর সহযোগিতায় আরও অনিয়মিত ১৪৩ জন বাংলাদেশী ফেরত এলো লিবিয়া থেকে গাজীপুরে ৫৪ তম গণপ্রকৌশল দিবস পালন ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে প্রান্তিক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেয়া হবে- নাহিদ ইসলাম গাজীপুরে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে যুবদলের র‌্যালি কোটালীপাড়ায় পাখি শিকারের অপরাধে কারাদণ্ড আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রামে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভারত কোনভাবেই ৫ আগস্টের আন্দোলন মানতে পারছে না- অধ্যাপক আবদুল হাই

রেজাউল মোল্লা, গাজীপুর থেকে-
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক কবি আবদুল হাই শিকদার বলেছেন, ভারত কোনভাবেই আমাদের ৫ আগস্টের আন্দোলন মানতে পারছে না। শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর কোন রাস্ট্র যায়গা দেয়নি ফ্যাসিস্টকে ফ্যাসিস্ট জায়গা দিয়েছে। ভারতের কাছে আমাদের সবচেয়ে বড় পরাজয় হলো ক্যালচারাল পরাজয়। ৭ নভেম্বর কখনো ভুলা যায়না, ইতিহাস হতে মুছে ফেলা যায়না। ৭ নভেম্বরের সঙ্গে জুলাই বিপ্লবের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। চেতনার দিক থেকে মিল রয়েছে। দুইটি দিনই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্ত হয়েছে।
তিনি শনিবার বিকালে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখা কর্তৃক ‘৭ নভেম্বর দেশপ্রেমের সকল চেতনার উৎস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল অসম্পূর্ণ স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দেওয়া, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে প্রতিরোধ করে একটি স্বনির্ভর, আধুনিক, সমৃদ্ধ, , শক্তিশালী, সুখী, আত্মমর্যাদা সম্পন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। শেখ মুজিবের শাসনামলে ২৭ হাজার লোককে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভিন্নমত অবলম্বনের কারণে হত্যা করা হয়েছিল। যার একটারও বিচার হয়নি। ১৯৭৪ সালে দূর্ভিক্ষে ১৫ লাখ লোক না খেয়ে মারা গেছে আওয়ামী লুন্ঠনকারীদের জন্য।
সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম, বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহকারি মহাসচিব বাছির জামাল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো: আবু আশরাফ খান, জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব) সদস্য সচিব এ.বি.এম. রুহুল আমীন আকন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস.এম মাসুদ রানা আতাউর, এগ্রিকালচার’স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) সভাপতি কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান মুকুল, গাজীপুর ‘ল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুজ্জামান বিএনপি নেতা আহমদ আলী রুশদী, ড. সিরাজুল ইসলাম, আশরাফ হোসেন টুলু, সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, ভিপি জয়নাল আবেদীন তালুকদার, সৈয়দ হাসান সোহেল প্রমুখ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

IOM এর সহযোগিতায় আরও অনিয়মিত ১৪৩ জন বাংলাদেশী ফেরত এসেছে লিবিয়া থেকে

ভারত কোনভাবেই ৫ আগস্টের আন্দোলন মানতে পারছে না- অধ্যাপক আবদুল হাই

আপডেট টাইম : ০৩:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

রেজাউল মোল্লা, গাজীপুর থেকে-
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক কবি আবদুল হাই শিকদার বলেছেন, ভারত কোনভাবেই আমাদের ৫ আগস্টের আন্দোলন মানতে পারছে না। শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর কোন রাস্ট্র যায়গা দেয়নি ফ্যাসিস্টকে ফ্যাসিস্ট জায়গা দিয়েছে। ভারতের কাছে আমাদের সবচেয়ে বড় পরাজয় হলো ক্যালচারাল পরাজয়। ৭ নভেম্বর কখনো ভুলা যায়না, ইতিহাস হতে মুছে ফেলা যায়না। ৭ নভেম্বরের সঙ্গে জুলাই বিপ্লবের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। চেতনার দিক থেকে মিল রয়েছে। দুইটি দিনই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্ত হয়েছে।
তিনি শনিবার বিকালে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখা কর্তৃক ‘৭ নভেম্বর দেশপ্রেমের সকল চেতনার উৎস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল অসম্পূর্ণ স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দেওয়া, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে প্রতিরোধ করে একটি স্বনির্ভর, আধুনিক, সমৃদ্ধ, , শক্তিশালী, সুখী, আত্মমর্যাদা সম্পন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলা। শেখ মুজিবের শাসনামলে ২৭ হাজার লোককে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভিন্নমত অবলম্বনের কারণে হত্যা করা হয়েছিল। যার একটারও বিচার হয়নি। ১৯৭৪ সালে দূর্ভিক্ষে ১৫ লাখ লোক না খেয়ে মারা গেছে আওয়ামী লুন্ঠনকারীদের জন্য।
সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম, বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহকারি মহাসচিব বাছির জামাল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো: আবু আশরাফ খান, জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব) সদস্য সচিব এ.বি.এম. রুহুল আমীন আকন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস.এম মাসুদ রানা আতাউর, এগ্রিকালচার’স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) সভাপতি কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান মুকুল, গাজীপুর ‘ল কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সহিদুজ্জামান বিএনপি নেতা আহমদ আলী রুশদী, ড. সিরাজুল ইসলাম, আশরাফ হোসেন টুলু, সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, ভিপি জয়নাল আবেদীন তালুকদার, সৈয়দ হাসান সোহেল প্রমুখ।