ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
৭ লাখ টাকার বিনিময়ে কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলীকে ছেড়ে দিলেন যুবদলের নেতা মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি টুটুল সাধারণ সম্পাদক মাসুদ ত্রিশালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতার মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা, হামলায় আহত- ১৫ আসিয়ান সিটির দখল দারিত্বের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু সিরাজদিখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন ৮ম শ্রেনী পাশ ভুয়া চিকিৎসক চাঁন মিয়া সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

ত্রিশালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতার মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা, হামলায় আহত- ১৫

ত্রিশাল প্রতিনিধি :

চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশাল বড় মসজিদে মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করেছেন বিএনপি নেতা আতাউর রহমান শামীম ও জামায়াত ইসলামী ত্রিশাল শাখার আমির এনামুল হক মাস্টার ও তাদের সহযোগিরা এমন অভিেেযাগ পাওয়া গেছে। ২৮ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ ত্রিশালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসী তালহা, দীপক, নুর মোহাম্মদ সহ প্রায় ৩০-৪০ জন ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন বিএনপি নেতা শামীম ও জামায়াত নেতা এনামুল হক মাষ্টার। তালহা, দীপক মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের রুমের তালা ভাংতে গেলে মাদ্রাসার কর্মকর্তা ফজলুল হক বাঁধা দেন৷ তখন তাকে বিএনপি নেতা শামীমের ছোট ভাই তারেক তাকে উপর্যুপরি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মোবাইল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন৷ মাদ্রাসার তালা ভাংগা হলে শামীম সেখান থেকে সরে পড়েন। চিহ্নিত সন্ত্রাসী তালহা, দীপক, বিপ্লব, মনির এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদ্রাসায় অবস্থান করছেন। তারা বারবার মাদ্রাসার মুহতামিম ও অন্যান্য স্টাফদের হুমকি দিচ্ছেন মাদ্রাসা ত্যাগ করার জন্য। তালহা,দীপক, বিপ্লব, বিগত স্বৈরাচার সরকারের এমপি আনিসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ দেখা যায় নি। মাদ্রাসার অভ্যন্তরে থাকা ছাত্ররা আতংকিত হয়ে আছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা শামীম, ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও ময়মনসিংহ-৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা: মাহবুবুর রহমান লিটন এর অনুসারী। মাদ্রাসা দখলের নেপথ্যে কাজ করেছে জামায়াত ইসলামী ত্রিশাল শাখার আমি এনামুল হক মাস্টার। এ ব্যাপারে ডা: মাহবুবুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। বিএনপি নেতা শামীম ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের নাম করে হুমকি প্রদান করেন। এতে করে সাধারণ মুসুল্লিরা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ বিএনপি-জামায়াত নেতাদের এ ধরনের আচরণ ত্রিশালবাসীকে বিস্মিত করেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

৭ লাখ টাকার বিনিময়ে কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলীকে ছেড়ে দিলেন যুবদলের নেতা

ত্রিশালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতার মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা, হামলায় আহত- ১৫

আপডেট টাইম : ১০:১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ত্রিশাল প্রতিনিধি :

চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশাল বড় মসজিদে মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করেছেন বিএনপি নেতা আতাউর রহমান শামীম ও জামায়াত ইসলামী ত্রিশাল শাখার আমির এনামুল হক মাস্টার ও তাদের সহযোগিরা এমন অভিেেযাগ পাওয়া গেছে। ২৮ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ ত্রিশালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসী তালহা, দীপক, নুর মোহাম্মদ সহ প্রায় ৩০-৪০ জন ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন বিএনপি নেতা শামীম ও জামায়াত নেতা এনামুল হক মাষ্টার। তালহা, দীপক মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের রুমের তালা ভাংতে গেলে মাদ্রাসার কর্মকর্তা ফজলুল হক বাঁধা দেন৷ তখন তাকে বিএনপি নেতা শামীমের ছোট ভাই তারেক তাকে উপর্যুপরি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মোবাইল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন৷ মাদ্রাসার তালা ভাংগা হলে শামীম সেখান থেকে সরে পড়েন। চিহ্নিত সন্ত্রাসী তালহা, দীপক, বিপ্লব, মনির এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদ্রাসায় অবস্থান করছেন। তারা বারবার মাদ্রাসার মুহতামিম ও অন্যান্য স্টাফদের হুমকি দিচ্ছেন মাদ্রাসা ত্যাগ করার জন্য। তালহা,দীপক, বিপ্লব, বিগত স্বৈরাচার সরকারের এমপি আনিসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ দেখা যায় নি। মাদ্রাসার অভ্যন্তরে থাকা ছাত্ররা আতংকিত হয়ে আছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা শামীম, ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও ময়মনসিংহ-৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা: মাহবুবুর রহমান লিটন এর অনুসারী। মাদ্রাসা দখলের নেপথ্যে কাজ করেছে জামায়াত ইসলামী ত্রিশাল শাখার আমি এনামুল হক মাস্টার। এ ব্যাপারে ডা: মাহবুবুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। বিএনপি নেতা শামীম ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের নাম করে হুমকি প্রদান করেন। এতে করে সাধারণ মুসুল্লিরা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ বিএনপি-জামায়াত নেতাদের এ ধরনের আচরণ ত্রিশালবাসীকে বিস্মিত করেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।