ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নওগাঁয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরণ ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রির অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অর্থপাচার বন্ধ হওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে: গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক মাগুরা তেঘরিয়া মৌজার ভূমিদস্যু বর্গাচাষী শরিফুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য সময়ে সংষ্কারের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই- গোলাম পরওয়ার গাজীপুরে বাংলাদেশ ইয়ুথ ইউনিটি এর উদ্যোগে কম্বল বিতরণ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল একে অপরের শত্রু ভাবাপন্ন- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে বাংলাদেশ ইয়ুথ ইউনিটি এর উদ্যোগে কম্বল বিতরণ একটা গ্রহণযোগ্য সময়ে সংষ্কারের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই: মিয়া গোলাম পরোয়ার দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে আ.লীগ: মির্জা ফখরুল

মাগুরা তেঘরিয়া মৌজার ভূমিদস্যু বর্গাচাষী শরিফুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের তেঘরিয়া মৌজায় দীর্ঘ ৫৪ বছরের ভোগদখলীয় ৩৬ শতক জমিতে পূর্বের বর্গাচাষীকে বাদ দিয়ে, বর্গাচাষী শরিফুল বিশ্বাস চাষ করার প্রক্রিয়ার ফন্দি ফিকিরবাজ করে জমির প্রকৃত মালিক লিটু বিশ্বাসের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত জমিতে এলাকাবাসীর মাতুব্বর গণ ও জমির প্রকৃত মালিক লিটু বিশ্বাসের সাথে গিয়ে দেখা যায় শরিফুল বিশ্বাস সেখানে বসবাস শুরু করেছে।

মোকাম মাগুরার সদর সরকারি জজ আদালত দেওয়ানী ৮০৭/২০২৩  মামলায় বাদী ওয়া বিশ্বাস ও বিবাদী আব্দুল গনি বিশ্বাস। তেঘরিয়া মৌজার এলাকাধীন সাবেক ১২৮ হাল ১০১ নং তেঘরিয়া মৌজা জমির এস এ খং ১৩ এবং আর এস খং ৭১ সাবেক দাগ ১০২২, হাল দাগ ৯৪৩ জমির পরিমাণ ৩৬ শতক। দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশের ১/২ নিয়ম এবং ১৫১ ধারার বিধান মতে ১১ নং বিবাদী পক্ষের প্রার্থনায় লিটু বিশ্বাসের পক্ষে আদালত জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে রায় দেয়। আর এস খতিয়ান নং ৭১ মৌজা তেঘরিয়া বেরইল গ্রামের তাপু বিশ্বাসের পুত্র আব্দুল জব্বার বিশ্বাস ৯৪৩ দাগের ৩৬ শতক জমির মালিক। এস এ খতিয়ান নং ১৩৭ আব্দুল হামেদ মোল্লার পুত্র আব্দুল জলিল, আব্দুল জব্বার, ছোরমান, বড়ু বিবি পিং- সেখ তাকু।

গত ১৪ মার্চ ২০১৭ সালের ৩৬ শতক জমির দলিলের নকলে দেখা যায় থানা মাগুরার মৌজা তেঘরিয়া গ্রামে ৩৩৩ নং দাগে আর ৪ দাগে জমি ৬৫ শতক গ্রহীতা আব্দুল জব্বার বিশ্বাস পিং- মৃত মোহাম্মদ তাপু বিশ্বাস সাং- বেরইল, থানা- মাগুরা, জেলা- যশোহর। দলিলে দেখা যায় গত ২৮ জানুয়ারি ১৯৭০ সালে নাবালক সরাফত বিশ্বাস ও সরিফুল বিশ্বাস, নাবালক আমুরা ও জোবেদা পক্ষে অভিভাবক জ্যৈষ্ঠ সহদর ভ্রাতা ও স্বয়ং আব্দুল ওহাব বিশ্বাস পিং- আব্দুল হামিদ বিশ্বাস, জোহরা খাতুন, সাবজান নেছা বিবি, মুজিরন নেছা সর্ব সাং – বেরইল। দলিলে উল্লেখ ছিলো ১২৮ নং মৌজা তেঘরিয়া আমাদের নানা প্রকারের দায়ের জন্য টাকার বিশেষ আবশ্যক তিনশত টাকার বিনিময়ে জমি বিক্রি করে আব্দুল ওহাব বিশ্বাস, জোহরা খাতুন, সাবজান নেছা বিবি ও মুজিরন নেছা।

জমি দখলকারী শরিফুল বিশ্বাস জানান আমার ভাই আব্দুল ওহাব বিশ্বাস হলো জলিল, জব্বার ও ছোরমান এদের চাচাতো ভাই আর ওরা হচ্ছে আপন ভাই করে সোবহান এই রেকর্ড করে দেয় এবং এক বোনের নামে ১৯৬২ সালে আমার পিতা কে ২৮ শতক জমি দেয় কিন্তু পাবে ৬৫ শতক জমি। আমি এই জায়গায় ৩ মাস বাড়ি  বানিয়েছি আর আমার কাছে আপাতত ১৯৬২ সালের একটা পরচা ছাড়া আর কোন কাগজ পত্র নেই। আমি তো আর মা-বাপের জারজ সন্তান নয়, তাই প্রকৃত সন্তান হিসেবে জমি দখল করে নিয়েছি।

জমির প্রকৃত মালিক লিটু বিশ্বাস জানান শরিফুল নামের একটা লোক এর বড় ভাই ওহাব বিশ্বাস ও মা অভিভাবক হয়ে ১৯৭০ সালে দলিল করে দেয় আমার পিতা জব্বার বিশ্বাসের কাছে। গত ২০২৩ সালে বর্গা চাষ নিয়ে ফসল নিয়ে শরিফুল জমি দখল করেছে। তখন সালিশ বিচার করা হয় গ্রামের নাহিদ, বাকী, মমিন, পলাশ তারা বলে দলিল ঠিক আছে। ধান কাটে উঠে যাওয়ার পর বসত করার জন্য ঘর করি এরপর শস্য বুনার পরের দিন তারা রাতের আঁধারে এখানে একটা ছাপড়া তুলে দখল করেছে ৩৬ শতক জমি। রাতের আঁধারে শরিফুল বিশ্বাস সহ তার দুই পুত্র রহমান ও ইমরান, লিটনের দুই পুত্র আলাউদ্দিন আলম একটা পলিথিন দিয়ে শোলার পাটকাঠি বেড়ার ঘর তুলেছে।

ইসলাম হোসেন জানান ১৯৭০ সালে জমি ক্রয় করে আমার নানা জব্বার বিশ্বাস হঠাৎ করে বর্গা চাষীর কাছ থেকে ছলচাতুরী করে ছাড়িয়ে নেয়ার পর শরিফুলরা বর্গা চাষ করতে এসে তারা জমি দখল করে নেয়। শরিফুলের বড় ভাই ওহাব বিশ্বাস মাগুরা কোর্টে মামলা করলে সেটা শরিফুলের বিপক্ষে যায়। এরপর লিটু বিশ্বাস ইনজেকশন জারি করেছে, তাহলে কিভাবে এই ভূমিদস্যু শরিফুল এখানে প্রবেশ করেছে। ভূমিদস্য লিটনের নির্দেশে ভূমি দস্যু শরিফুল বিশ্বাস, আব্দুল জব্বার বিশ্বাস অর্থ্যাৎ লিটু বিশ্বাসের জমিতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক দখল করেছে।

এলাকাবাসীর লোকজন জানায় দীর্ঘ ৫৪ বছরের ভোগ দখলীয় জমি নিয়ে লিটু বিশ্বাস ও শরিফুল বিশ্বাস কে নিয়ে মমিন, বাকি বিশ্বাস, নাহিদ, শুকুর আওয়াল, সম্রাট ইখতিয়ার সহ ৫০-৬০ জন শালিস করে। সালিশে লিটুর পক্ষে জমির দলিল ও পর্চা কাগজপত্র সঠিক প্রমাণ হয় এবং এলাকার লোকজন বলে সে জমির প্রকৃত মালিক। সরজমিনে উপস্থিত ছিলো ও বক্তব্য রাখে বেরইল ও তেঘরিয়া এলাকার প্রতিবেশী শওকত, জাহিদ হাসান লিটু, বাকি মোল্লা, শুকুর মোল্লা, আওয়াল মোল্লা, নাহিদ, লিয়াকত, আলমগীর মুন্সি, রাইসুল ও ইসলাম সহ প্রমুখ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরণ

মাগুরা তেঘরিয়া মৌজার ভূমিদস্যু বর্গাচাষী শরিফুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৮:২২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের তেঘরিয়া মৌজায় দীর্ঘ ৫৪ বছরের ভোগদখলীয় ৩৬ শতক জমিতে পূর্বের বর্গাচাষীকে বাদ দিয়ে, বর্গাচাষী শরিফুল বিশ্বাস চাষ করার প্রক্রিয়ার ফন্দি ফিকিরবাজ করে জমির প্রকৃত মালিক লিটু বিশ্বাসের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত জমিতে এলাকাবাসীর মাতুব্বর গণ ও জমির প্রকৃত মালিক লিটু বিশ্বাসের সাথে গিয়ে দেখা যায় শরিফুল বিশ্বাস সেখানে বসবাস শুরু করেছে।

মোকাম মাগুরার সদর সরকারি জজ আদালত দেওয়ানী ৮০৭/২০২৩  মামলায় বাদী ওয়া বিশ্বাস ও বিবাদী আব্দুল গনি বিশ্বাস। তেঘরিয়া মৌজার এলাকাধীন সাবেক ১২৮ হাল ১০১ নং তেঘরিয়া মৌজা জমির এস এ খং ১৩ এবং আর এস খং ৭১ সাবেক দাগ ১০২২, হাল দাগ ৯৪৩ জমির পরিমাণ ৩৬ শতক। দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশের ১/২ নিয়ম এবং ১৫১ ধারার বিধান মতে ১১ নং বিবাদী পক্ষের প্রার্থনায় লিটু বিশ্বাসের পক্ষে আদালত জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে রায় দেয়। আর এস খতিয়ান নং ৭১ মৌজা তেঘরিয়া বেরইল গ্রামের তাপু বিশ্বাসের পুত্র আব্দুল জব্বার বিশ্বাস ৯৪৩ দাগের ৩৬ শতক জমির মালিক। এস এ খতিয়ান নং ১৩৭ আব্দুল হামেদ মোল্লার পুত্র আব্দুল জলিল, আব্দুল জব্বার, ছোরমান, বড়ু বিবি পিং- সেখ তাকু।

গত ১৪ মার্চ ২০১৭ সালের ৩৬ শতক জমির দলিলের নকলে দেখা যায় থানা মাগুরার মৌজা তেঘরিয়া গ্রামে ৩৩৩ নং দাগে আর ৪ দাগে জমি ৬৫ শতক গ্রহীতা আব্দুল জব্বার বিশ্বাস পিং- মৃত মোহাম্মদ তাপু বিশ্বাস সাং- বেরইল, থানা- মাগুরা, জেলা- যশোহর। দলিলে দেখা যায় গত ২৮ জানুয়ারি ১৯৭০ সালে নাবালক সরাফত বিশ্বাস ও সরিফুল বিশ্বাস, নাবালক আমুরা ও জোবেদা পক্ষে অভিভাবক জ্যৈষ্ঠ সহদর ভ্রাতা ও স্বয়ং আব্দুল ওহাব বিশ্বাস পিং- আব্দুল হামিদ বিশ্বাস, জোহরা খাতুন, সাবজান নেছা বিবি, মুজিরন নেছা সর্ব সাং – বেরইল। দলিলে উল্লেখ ছিলো ১২৮ নং মৌজা তেঘরিয়া আমাদের নানা প্রকারের দায়ের জন্য টাকার বিশেষ আবশ্যক তিনশত টাকার বিনিময়ে জমি বিক্রি করে আব্দুল ওহাব বিশ্বাস, জোহরা খাতুন, সাবজান নেছা বিবি ও মুজিরন নেছা।

জমি দখলকারী শরিফুল বিশ্বাস জানান আমার ভাই আব্দুল ওহাব বিশ্বাস হলো জলিল, জব্বার ও ছোরমান এদের চাচাতো ভাই আর ওরা হচ্ছে আপন ভাই করে সোবহান এই রেকর্ড করে দেয় এবং এক বোনের নামে ১৯৬২ সালে আমার পিতা কে ২৮ শতক জমি দেয় কিন্তু পাবে ৬৫ শতক জমি। আমি এই জায়গায় ৩ মাস বাড়ি  বানিয়েছি আর আমার কাছে আপাতত ১৯৬২ সালের একটা পরচা ছাড়া আর কোন কাগজ পত্র নেই। আমি তো আর মা-বাপের জারজ সন্তান নয়, তাই প্রকৃত সন্তান হিসেবে জমি দখল করে নিয়েছি।

জমির প্রকৃত মালিক লিটু বিশ্বাস জানান শরিফুল নামের একটা লোক এর বড় ভাই ওহাব বিশ্বাস ও মা অভিভাবক হয়ে ১৯৭০ সালে দলিল করে দেয় আমার পিতা জব্বার বিশ্বাসের কাছে। গত ২০২৩ সালে বর্গা চাষ নিয়ে ফসল নিয়ে শরিফুল জমি দখল করেছে। তখন সালিশ বিচার করা হয় গ্রামের নাহিদ, বাকী, মমিন, পলাশ তারা বলে দলিল ঠিক আছে। ধান কাটে উঠে যাওয়ার পর বসত করার জন্য ঘর করি এরপর শস্য বুনার পরের দিন তারা রাতের আঁধারে এখানে একটা ছাপড়া তুলে দখল করেছে ৩৬ শতক জমি। রাতের আঁধারে শরিফুল বিশ্বাস সহ তার দুই পুত্র রহমান ও ইমরান, লিটনের দুই পুত্র আলাউদ্দিন আলম একটা পলিথিন দিয়ে শোলার পাটকাঠি বেড়ার ঘর তুলেছে।

ইসলাম হোসেন জানান ১৯৭০ সালে জমি ক্রয় করে আমার নানা জব্বার বিশ্বাস হঠাৎ করে বর্গা চাষীর কাছ থেকে ছলচাতুরী করে ছাড়িয়ে নেয়ার পর শরিফুলরা বর্গা চাষ করতে এসে তারা জমি দখল করে নেয়। শরিফুলের বড় ভাই ওহাব বিশ্বাস মাগুরা কোর্টে মামলা করলে সেটা শরিফুলের বিপক্ষে যায়। এরপর লিটু বিশ্বাস ইনজেকশন জারি করেছে, তাহলে কিভাবে এই ভূমিদস্যু শরিফুল এখানে প্রবেশ করেছে। ভূমিদস্য লিটনের নির্দেশে ভূমি দস্যু শরিফুল বিশ্বাস, আব্দুল জব্বার বিশ্বাস অর্থ্যাৎ লিটু বিশ্বাসের জমিতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক দখল করেছে।

এলাকাবাসীর লোকজন জানায় দীর্ঘ ৫৪ বছরের ভোগ দখলীয় জমি নিয়ে লিটু বিশ্বাস ও শরিফুল বিশ্বাস কে নিয়ে মমিন, বাকি বিশ্বাস, নাহিদ, শুকুর আওয়াল, সম্রাট ইখতিয়ার সহ ৫০-৬০ জন শালিস করে। সালিশে লিটুর পক্ষে জমির দলিল ও পর্চা কাগজপত্র সঠিক প্রমাণ হয় এবং এলাকার লোকজন বলে সে জমির প্রকৃত মালিক। সরজমিনে উপস্থিত ছিলো ও বক্তব্য রাখে বেরইল ও তেঘরিয়া এলাকার প্রতিবেশী শওকত, জাহিদ হাসান লিটু, বাকি মোল্লা, শুকুর মোল্লা, আওয়াল মোল্লা, নাহিদ, লিয়াকত, আলমগীর মুন্সি, রাইসুল ও ইসলাম সহ প্রমুখ।