ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত ৫ জন পঞ্চগড়ে শহীদ সাগরের নামে সড়কের নামকরণ সান্তাহারে প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পরিবেশদূষণ রোধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা, ১০৬ টি ইটভাটা বন্ধ শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন কারামুক্ত বিএনপি নেতা বাবর পুরনো মামলার নথি তুলতে যেতে হবেনা দিনাজপুর, মিলবে পঞ্চগড়ে বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় হামলা ও লুটপাটের শিকার সাংবাদিক সিরাজদিখানে আওয়ামী দোসর মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন পাঁচটি সাংবাদিক সংগঠনের সমন্বয়ে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি

সিরাজদিখানে আওয়ামী দোসর মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি-

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আওয়ামীলীগের দোসর ছাত্র- জনতার আন্দোলনে বিরোধিতাকারী মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, চিত্রকোট ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ মান্নান।

বুধবার দুপুরে সিরাজদিখান প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজ মাহমুদ মান্নান বলেন, এই মোক্তার হোসেন চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালী গ্রামের মৃত আয়নাল খানের ছেলে। সে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, জালিয়াত চক্রের হোতা। গত ১৬ বছরে নানা অপকর্ম করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার বাবা ছিলো চোর, তাদের বাড়ি ছিলো রাজানগর, চুরির দায়ে এলাকা ছাড়া হয়ে চিত্রকোট এসে বাড়ি করেন তার বাবা।
এই মোক্তার গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিরোধিতা করেছেন। ছাত্রদের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে নানা ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। সে কারণে ছাত্র ও এলকাবাসী মানববন্ধন করেছিলো। এছাড়াও মোক্তারের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়, এলাকার ভুক্তভোগীরা একাধিক মামলা করেছে। বিভিন্ন পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সে সময় তার ক্ষমতা থাকায় কোন প্রতিকার পায় নাই অসহায় ভুক্তভোগীরা।
সে একটি প্রাইভেট ব্যাংকের কেরানি থেকে আজ শত কোটি টাকার মালিক। ব্যাংকে টাকা নিয়ে আত্মসাদ ও দুর্নীতির দায়ে চাকুরীচ্যুত হয়েছিলেন। পরে সিরাজদিখানে দলিল লিখকের কাজ করতেন। আজ সে শত কোটি টাকার মালিক, ঢাকা ও গ্রামে বেশ কটি আলিসান বাড়ি, চলার জন্য একাধিক গাড়ি, মার্বেল টাইলস ফ্যাক্টরী, এগ্রো কোম্পানী, দেশি-বিদেশি গরু, গারল, দুম্বার খামারের মালিক হয়েছেন।
সরকারি সম্পত্তি জালিয়াতি, হিন্দু সম্পত্তি দখল, ভূমিদস্যুতায় গোলাগুলি করে নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলো।
৫ আগস্টের পর সে ইন্ডিয়া পালিয়ে যায়। দুই-আড়াই মাস ইন্ডিয়া অবস্থান করেন। এরপর দেশে ফিরে এসে ঢাকায় অবস্থান করে। বর্তমানে বিএনপির কয়েজন নেতা ও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে সখ্যতা করে সিরাজদিখানে অবস্থান করে ফ্যাসিবাদি হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে।

৬ আগষ্ট স্থানীয় ছাত্র জনতা তার বাড়িতে ভাঙচুর করে। সেই ভাঙচুরের একটি মামলা করে এখন এই মোক্তার এলাকার নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছে। আমাকেও সেই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাই। সেই সাথে তার নানা অপকর্ম, অবৈধ টাকার উৎস, জমি জালিয়াতি, ছাত্র জনতার বিরোধিতা কারী এখন আবার আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি প্রশাসনসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানচ্ছি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত ৫ জন

সিরাজদিখানে আওয়ামী দোসর মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ১০:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি-

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আওয়ামীলীগের দোসর ছাত্র- জনতার আন্দোলনে বিরোধিতাকারী মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, চিত্রকোট ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ মান্নান।

বুধবার দুপুরে সিরাজদিখান প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজ মাহমুদ মান্নান বলেন, এই মোক্তার হোসেন চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালী গ্রামের মৃত আয়নাল খানের ছেলে। সে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, জালিয়াত চক্রের হোতা। গত ১৬ বছরে নানা অপকর্ম করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার বাবা ছিলো চোর, তাদের বাড়ি ছিলো রাজানগর, চুরির দায়ে এলাকা ছাড়া হয়ে চিত্রকোট এসে বাড়ি করেন তার বাবা।
এই মোক্তার গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিরোধিতা করেছেন। ছাত্রদের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে নানা ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। সে কারণে ছাত্র ও এলকাবাসী মানববন্ধন করেছিলো। এছাড়াও মোক্তারের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়, এলাকার ভুক্তভোগীরা একাধিক মামলা করেছে। বিভিন্ন পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সে সময় তার ক্ষমতা থাকায় কোন প্রতিকার পায় নাই অসহায় ভুক্তভোগীরা।
সে একটি প্রাইভেট ব্যাংকের কেরানি থেকে আজ শত কোটি টাকার মালিক। ব্যাংকে টাকা নিয়ে আত্মসাদ ও দুর্নীতির দায়ে চাকুরীচ্যুত হয়েছিলেন। পরে সিরাজদিখানে দলিল লিখকের কাজ করতেন। আজ সে শত কোটি টাকার মালিক, ঢাকা ও গ্রামে বেশ কটি আলিসান বাড়ি, চলার জন্য একাধিক গাড়ি, মার্বেল টাইলস ফ্যাক্টরী, এগ্রো কোম্পানী, দেশি-বিদেশি গরু, গারল, দুম্বার খামারের মালিক হয়েছেন।
সরকারি সম্পত্তি জালিয়াতি, হিন্দু সম্পত্তি দখল, ভূমিদস্যুতায় গোলাগুলি করে নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলো।
৫ আগস্টের পর সে ইন্ডিয়া পালিয়ে যায়। দুই-আড়াই মাস ইন্ডিয়া অবস্থান করেন। এরপর দেশে ফিরে এসে ঢাকায় অবস্থান করে। বর্তমানে বিএনপির কয়েজন নেতা ও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে সখ্যতা করে সিরাজদিখানে অবস্থান করে ফ্যাসিবাদি হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে।

৬ আগষ্ট স্থানীয় ছাত্র জনতা তার বাড়িতে ভাঙচুর করে। সেই ভাঙচুরের একটি মামলা করে এখন এই মোক্তার এলাকার নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছে। আমাকেও সেই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাই। সেই সাথে তার নানা অপকর্ম, অবৈধ টাকার উৎস, জমি জালিয়াতি, ছাত্র জনতার বিরোধিতা কারী এখন আবার আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি প্রশাসনসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানচ্ছি।