নাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ-
মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় রশুনিয়া গ্রামে ওয়াজ শুনতে গিয়ে নিখোঁজ ৬ বছরের শিশু। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ২৫ তারিখে রশুনিয়া নূরানীয়া মাহামোদীয়া মাদ্রাসায় ১২ তম ওয়াজ মহফিলে ওয়াজ শুনতে খালার সাথে বিকেলে বের হয় নিখোঁজ শিশু ফাতেমা আক্তার। সেখানে থাকবে বলে বায়না ধরলে খালা অএ মাদরাসায় পড়ুয়া ফাতেমার বড় ভাই ইসমাইল এর কাছে রেখে আসে। শিশুটির বড় ভাই ইসমাইল মাদরাসায় ওয়াজের কাজে ব্যাস্ত থাকায় শিশু ফাতেমা রাস্তায় ঘোরাফেরা করে। শিশুটির মা মেয়ের খোঁজ করতে মাদ্রাসায় গেলে অত্র ওয়াজে ফাতেমা কে খুজে পাওয়া যায়না। খোঁজাখুজির এক পযার্য়ে নিখোঁজ ফাতিমার পরিবার জানতে পারে একজন আইসক্রিম বিক্রেতার কাছে ছিলো বেশ কিছু সময়। এমতাবস্থায় আইসক্রিম বিক্রেতা উত্তর তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা সাব্বির কে জিজ্ঞাসা করে স্থানীয় জনসাধারণ। আইসক্রিম বিক্রেতা সাব্বির এর জবাব সন্দেহ জনক হওয়ায় তাকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উপস্থিত জনতা। এসময় গণপিটুনির হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশকে ফোন দেয় আইসক্রিম বিক্রেতার ছোট ভাই সাজিদ। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সাব্বির কে উদ্ধার করে। পুলিশ হেফাজতে থানায় নিয়ে যায় সাব্বির কে। এ বিষয়ে নিখোঁজ ফাতেমার চাচা এরশাদ মাওলানা বলেন আমরা শুনতে পেরে মাদ্রাসায় গিয়ে এসব ঘটনা শুনি। আমরা আমাদের যানা মতে সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করেও তাকে পাই নাই। শুনছি আইসক্রিম ওয়ালার সাথে ছিলো ফাতেমা। ওকে বিনামূল্যে আইসক্রিম ও খাইয়েছে। নিখোঁজের পিছনে আইসক্রিমওয়ালা জড়িত থাকতে পারে এমনটাই বলছে উপস্থিত জনতা। আমি আমার ভাতিজীর সন্ধান চাই। আমরা নিখোঁজের ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিবো । ঘটনার বিষয়ে আটককৃত সাব্বির এর পিতা উত্তর তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ খান বলেন আমার ছেলে ওয়াজে আইসক্রিম বিক্রি করছিলো খবর পেয়ে গিয়ে দেখি সাব্বির কে সবাই মারধর করছে। তাদের হাত থেকে বাঁচাতে আমরা পুলিশকে ফোন দেই এবং তারা সাব্বির কে থানায় নিয়ে যায়। আমার ছেলে সাব্বির নির্দোষ ও কোন দোষ করে নাই। এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)এ এন এম ইমরান খান জানান শিশু নিখোঁজের ব্যাপারে আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শিশুটি কে উদ্ধারে কাজ করছি। উক্ত ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে ।