ঢাকার প্রগতি স্মরণি সড়কের যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন নারী সাংবাদিক তাহমিনা সুলতানা।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক নম্বর আসামি করে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে গত ১৯ মে তিনি এ মামলাটি দাখিল করেন।
এ মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুর রহমান সহ আওয়ামী লীগের ৩৩ জন সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ সহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮৮ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩শ’ থেকে ৪শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে এ মামলার ১০৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে যশোরের শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: মেহেদি হাসানের (২৭) বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার বাদি তাহমিনা সুলতানা অভিযোগ করেন, মামলা করার পর আসামি মেহেদি হাসান তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে তাকে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতেও দেখা যাচ্ছে। তিনি এসব আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে ন্যায়বিচারের দাবি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট সকালে ওই নারী সাংবাদিক যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বসুন্ধরা গেইট সংলগ্ন এলাকায় ক্যামেরা ও ব্যক্তিগত মোবাইল নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন।
এসময় শীর্ষ আসামিদের নির্দেশে ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির উপর পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা হাতে কাটা রাইফেল, শর্টগান, বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, রামদা, চাইনিজ, কুড়াল, তলোয়ার, ছুরি, চাকু, লোহার রড, হকিষ্টিক, বাঁশের লাঠি, ইটের টুকরা ও ছোট পাথর সহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ও মরণাস্ত্র সহকারে আক্রমন করে।
আসামীদের এলোপাথারী গুলিতে বাদীর হাতে, কোমড়ে, পেটে, পিঠে ও মাথায় সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়। আক্রমণকারীরা তার পড়নের কাপড় চোপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানী করে ও রামদা দিয়ে বাম হাতের কুনুইতে কুপিয়ে জখম করে। এরপর হামলাকারীরা তার হাতে থাকা ক্যানন ডিএসএলআর ক্যামেরা, স্মার্ট ফোন ও বাটন মোবাইল ফোন ছিনিয়া নেয়।
এরপর আহতাবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেন্টু চন্দ্র সেন ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত ইতোমধ্যে অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর করেন। এখনো মামলার অনেক আসামি গ্রেফতার হয়নি। উল্টো তারা বাদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তিনি অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানান।
শিরোনাম :
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ নারী সাংবাদিককে মামলা তুলে নিতে হুমকির অভিযোগ
-
খবর বাংলাদেশ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০১:০১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
- ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ