মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল যেন দুর্নীতির এক মহাসাগর। এই সাগরের তলদেশ খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর।
যতই অনুসন্ধান করা যাচ্ছে ততোই দুর্নীতির তথ্য বের হয়ে আসছে।
অনুসন্ধানকালে জানাগেছে, এই হাসপাতালে যেদিন থেকে তত্বাবধায়ক হিসাবে ডাঃ মোহসিন উদ্দিন ফকির যোগদান করেছেন সেদিন থেকেই দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট হয়েগেছে।
ইতিপুর্বে তার ৭ পর্ব দুর্নীতির তথ্য সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে। এবার অষ্টম পর্বে পাওয়া গেছে আরো চমকপ্রদ তথ্য।
সুত্রমতে, মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ধুপি কাজ, পথ্য ও স্টেশনারী পণ্য সাপ্লায় কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তির মেয়াদ জুন ২০২৫ তারিখে শেষ হয়ে গেছে।
বিধি মোতাবেক তিনি নতুন করে টেন্ডার আহবান না করে গত ৫ মাস যাবত তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধভাবে সেবা গ্রহন করছেন। এটি একটি গুরুত্বর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ইচ্ছাকৃত গাফিলতি।
শোনা যায়, তিনি সেবা চলমান রাখা মেয়াদোত্তীর্ন ঐ তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নিয়ে নতুন করে টেন্ডার আহবান থেকে বিরত রয়েছেন।
ফলে অবৈধভাবে তারা আজঅব্দি সেবা সরবরাহ করে যাচ্ছেন।
এটি একটি সুস্পষ্ট দুর্নীতি হলেও শীর্ষ স্বাস্থ্য প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এতে মনে হচ্ছে দুর্নীতিবাজদের হাত অনেক লম্বা।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের পদক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মাগুরবাসী।
মাগুরা প্রতিনিধি : 












