ঢাকা ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে কিছু দল পিআর পদ্ধতি চাইছে: আমিনুল হক নতুন ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয়ে হাজির ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের চমকে দিলেন ইউএনও আড়পাড়া ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বাক্ষর জালিয়াতি  গভর্নিং বডি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ বিশেষ চুক্তিতে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে রেটকোট ফাঁস করেছেন পিডি মঞ্জুরুল হক! ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গে দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে মাসুদ রানা ও নান্নুর ভয়ংকর সিন্ডিকেট! ষড়যন্ত্রকারী যত চেষ্টাই করুক; সফল হবে না, জনগণের সরকারই আগামী নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত হবে – আমিনুল হক নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই ১৬ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করল বেবিচক মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৭ মাস বয়সী দুই যজম কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগ পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

মাগুরা মহম্মদপুরের চোর ইসমাইল বিয়ে করে বউ বিক্রি করলেন! (পর্ব-১)

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা জেলা মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের গোবরনাদা গ্রামের মৃত্য ইউনুচ মন্ডলের ছেলে ইসমাইল মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে রাজাপুর বাজারে সুদে টাকার ব্যবসা করে আসছিল। সেই সুবাদে রাজাপুর গ্রামের শরজিৎ বিশ্বাসের ছেলে সুজয় বিশ্বাস, ইসমাইলের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকায় প্রতি সাপ্তাহে ১ হাজার টাকা সুদে টাকা নেয়। ওই সুদের টাকা আদায়ের জন্য ইসমাইল মন্ডল সুজয় বিশ্বাসের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতে থাকে। একদিন সন্ধ্যায় সুজয় বিশ্বাস বাড়ী না থাকায় তার স্ত্রী সুমি বিশ্বাসের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় সুজয় বিশ্বাসের ঘরে গ্রামের লোকজন আটক করে, স্থানীয় লোকজন রাজাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে এ.এস.আই আজম এসে তাকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এবং স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সেটা মীমাংসা হয়। এর মাস খানেক পর রাতের আধারে ইসমাইল মন্ডল সুজয় বিশ্বাসের স্ত্রী সুমি বিশ্বাস ও তার শিশু বাচ্চাকে নিয়ে নোয়খালী পালিয়ে যায়। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে মাগুরা নোটারী পাবলিকের মাধ্যেমে বিবাহ করে তার নিজ বাড়ী গোবরনাদা নিয়ে আসে এবং সুমি বিশ্বাসের জীবন তাঁর হাতের মুঠোয় চলে আসে। সুজয় বিশ্বাস মাগুরা নারী শিশু আদালতে মামলা করে তার শিশু মেয়েকে ফেরত নেয়। সুমি বিশ্বাসের পুর্বের শ্বশুর স্বরজিত বিশ্বাস সুমি বিশ্বাসকে ২৪ শতক জমি দানপত্র করে। আর ইসমাইল সেই জমি সুমি বিশ্বাসের কাছ থেকে কবলা দলিল করে নেয়। এরপর সুমি বিশ্বাসের জীবনে নেমে আসে দুর্দশা। গত ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে ইসমাইলের প্রথম স্ত্রী সাবানা চিকিৎসার কথা বলে মাগুরা নিয়ে যায় এবং রাত ১২টায় সাবানা বাড়ীতে ফিরে এসে সবাইকে বলে সুমি হারিয়ে গেছে। কিন্তু এলাকাবাসি জানান সুমি বিশ্বাস ভারতে পাচারের শিকার হয়েছে। আর এসবের ব্যবস্থা করেন তাঁরই স্বামী ইসমাইল মন্ডল! এর আগেও ইসমাইল মন্ডল নারি ও শিশু পাচার কারিদের সাথে জড়িত ছিল। ইসমাইল মন্ডলের নামে মাগুরা নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল আদালতে নারী শিশু পাচারের একাধিক মামলা বিচার অধিনে রয়েছে। এলাকাবাসি আপরাধ জগতের স¤্রাট ও নারী পাচারকারীর বিরুদ্ধে প্রসাশনের আশুহস্ত ক্ষেপ কামনা করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে কিছু দল পিআর পদ্ধতি চাইছে: আমিনুল হক

মাগুরা মহম্মদপুরের চোর ইসমাইল বিয়ে করে বউ বিক্রি করলেন! (পর্ব-১)

আপডেট টাইম : ০৫:২২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা জেলা মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের গোবরনাদা গ্রামের মৃত্য ইউনুচ মন্ডলের ছেলে ইসমাইল মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে রাজাপুর বাজারে সুদে টাকার ব্যবসা করে আসছিল। সেই সুবাদে রাজাপুর গ্রামের শরজিৎ বিশ্বাসের ছেলে সুজয় বিশ্বাস, ইসমাইলের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকায় প্রতি সাপ্তাহে ১ হাজার টাকা সুদে টাকা নেয়। ওই সুদের টাকা আদায়ের জন্য ইসমাইল মন্ডল সুজয় বিশ্বাসের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতে থাকে। একদিন সন্ধ্যায় সুজয় বিশ্বাস বাড়ী না থাকায় তার স্ত্রী সুমি বিশ্বাসের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় সুজয় বিশ্বাসের ঘরে গ্রামের লোকজন আটক করে, স্থানীয় লোকজন রাজাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে এ.এস.আই আজম এসে তাকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এবং স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সেটা মীমাংসা হয়। এর মাস খানেক পর রাতের আধারে ইসমাইল মন্ডল সুজয় বিশ্বাসের স্ত্রী সুমি বিশ্বাস ও তার শিশু বাচ্চাকে নিয়ে নোয়খালী পালিয়ে যায়। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে মাগুরা নোটারী পাবলিকের মাধ্যেমে বিবাহ করে তার নিজ বাড়ী গোবরনাদা নিয়ে আসে এবং সুমি বিশ্বাসের জীবন তাঁর হাতের মুঠোয় চলে আসে। সুজয় বিশ্বাস মাগুরা নারী শিশু আদালতে মামলা করে তার শিশু মেয়েকে ফেরত নেয়। সুমি বিশ্বাসের পুর্বের শ্বশুর স্বরজিত বিশ্বাস সুমি বিশ্বাসকে ২৪ শতক জমি দানপত্র করে। আর ইসমাইল সেই জমি সুমি বিশ্বাসের কাছ থেকে কবলা দলিল করে নেয়। এরপর সুমি বিশ্বাসের জীবনে নেমে আসে দুর্দশা। গত ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে ইসমাইলের প্রথম স্ত্রী সাবানা চিকিৎসার কথা বলে মাগুরা নিয়ে যায় এবং রাত ১২টায় সাবানা বাড়ীতে ফিরে এসে সবাইকে বলে সুমি হারিয়ে গেছে। কিন্তু এলাকাবাসি জানান সুমি বিশ্বাস ভারতে পাচারের শিকার হয়েছে। আর এসবের ব্যবস্থা করেন তাঁরই স্বামী ইসমাইল মন্ডল! এর আগেও ইসমাইল মন্ডল নারি ও শিশু পাচার কারিদের সাথে জড়িত ছিল। ইসমাইল মন্ডলের নামে মাগুরা নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল আদালতে নারী শিশু পাচারের একাধিক মামলা বিচার অধিনে রয়েছে। এলাকাবাসি আপরাধ জগতের স¤্রাট ও নারী পাচারকারীর বিরুদ্ধে প্রসাশনের আশুহস্ত ক্ষেপ কামনা করেন।