ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুর মহানগর যুবদলের আয়োজনে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক ভোটার বাড়াতে ঐক্যের বিকল্প নেই ——-কাজী সালিমুল হক কামাল ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলীকে ছেড়ে দিলেন যুবদলের নেতা মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি টুটুল সাধারণ সম্পাদক মাসুদ ত্রিশালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতার মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা, হামলায় আহত- ১৫ আসিয়ান সিটির দখল দারিত্বের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু সিরাজদিখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন ৮ম শ্রেনী পাশ ভুয়া চিকিৎসক চাঁন মিয়া সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সহযোগী অধ্যাপক গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মির্জা কাউসার আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। একটি মামলায় সহযোগী অধ্যাপক দেখিয়ে তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ডা. কাউসার আহমেদকে অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকজন একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকায় চিকিৎসক- শিক্ষার্থীসহ সব মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

তবে তাকে তুলে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর জানা গেছে, ডা. মির্জা কাউসারকে আনসার আল ইসলাম নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সিটিটিসির একটি দল তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা. আ ন ম নৌশাদ খান জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে ডা. মির্জা কাউসারকে তুলে নেওয়া হয়।

সূত্রমতে, গত এক বছর ধরে এ কোচিং সেন্টারটিরও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ডা. মির্জা কাউসার।

২৮ বছর বয়সি এ তরুণ চিকিৎসক আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তার বাড়ি জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডা. কাউসারের এক সহকর্মী বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস এসে থামে কোচিং সেন্টারের সামনে। গাড়ির আসনে ছিলেন পাঁচ ব্যক্তি। এদের মধ্যে দুজন পাঞ্জাবি ও টুপি পরা ছিলেন। বাকিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী লোক বলে মনে হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে তিনজন কোচিং সেন্টারের ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারা কিছুক্ষণ মির্জা কাউসারের সঙ্গে কথা বলে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যান।

এ সময় দেখা যায়, মির্জা কাউসার ভেতর থেকে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন দিতে বললে একজন তার হাত থেকে ফোনটি কেড়ে নেন। মাইক্রোবাসের ভেতরে বসে থাকা লোকজনের মধ্যে একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল বলেও দাবি করেন ডা. মির্জা কাউসারের ওই সহকর্মী।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মির্জা কাউসারের বাবা মির্জা আবদুল হাকিম রোববার রাতে জানান, কাউসার ঢাকায় সিটিটিসির হেফাজতে আছে বলে তাকে ফোন করে জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আ ন ম নৌশাদ খানও সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে কী কারণে সিটিটিসি তাকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে, এ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি।

তবে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি সূত্র জানায়, ডা. মির্জা কাউসারকে আনসার আল ইসলাম নামে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ইতোমধ্যে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মহানগর যুবদলের আয়োজনে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সহযোগী অধ্যাপক গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ১০:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মির্জা কাউসার আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। একটি মামলায় সহযোগী অধ্যাপক দেখিয়ে তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ডা. কাউসার আহমেদকে অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকজন একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকায় চিকিৎসক- শিক্ষার্থীসহ সব মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

তবে তাকে তুলে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর জানা গেছে, ডা. মির্জা কাউসারকে আনসার আল ইসলাম নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সিটিটিসির একটি দল তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা. আ ন ম নৌশাদ খান জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে ডা. মির্জা কাউসারকে তুলে নেওয়া হয়।

সূত্রমতে, গত এক বছর ধরে এ কোচিং সেন্টারটিরও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ডা. মির্জা কাউসার।

২৮ বছর বয়সি এ তরুণ চিকিৎসক আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তার বাড়ি জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডা. কাউসারের এক সহকর্মী বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস এসে থামে কোচিং সেন্টারের সামনে। গাড়ির আসনে ছিলেন পাঁচ ব্যক্তি। এদের মধ্যে দুজন পাঞ্জাবি ও টুপি পরা ছিলেন। বাকিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী লোক বলে মনে হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে তিনজন কোচিং সেন্টারের ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারা কিছুক্ষণ মির্জা কাউসারের সঙ্গে কথা বলে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যান।

এ সময় দেখা যায়, মির্জা কাউসার ভেতর থেকে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন দিতে বললে একজন তার হাত থেকে ফোনটি কেড়ে নেন। মাইক্রোবাসের ভেতরে বসে থাকা লোকজনের মধ্যে একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল বলেও দাবি করেন ডা. মির্জা কাউসারের ওই সহকর্মী।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মির্জা কাউসারের বাবা মির্জা আবদুল হাকিম রোববার রাতে জানান, কাউসার ঢাকায় সিটিটিসির হেফাজতে আছে বলে তাকে ফোন করে জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আ ন ম নৌশাদ খানও সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে কী কারণে সিটিটিসি তাকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে, এ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি।

তবে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি সূত্র জানায়, ডা. মির্জা কাউসারকে আনসার আল ইসলাম নামে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ইতোমধ্যে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।