ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই’র বাকবিতন্ডা; ট্রেনের ভিতরে ভাংচুর সেনা সদস্য সহ আহত-৫ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠিত কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে–স্পীকার সিরাজদিখানে তীব্র তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করলেন জেলা পরিষদ সদস্য এমপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে ছাড় দেওয়া হবে না-হুমকি এমপি পুত্রের!

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সহযোগী অধ্যাপক গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মির্জা কাউসার আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। একটি মামলায় সহযোগী অধ্যাপক দেখিয়ে তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ডা. কাউসার আহমেদকে অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকজন একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকায় চিকিৎসক- শিক্ষার্থীসহ সব মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

তবে তাকে তুলে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর জানা গেছে, ডা. মির্জা কাউসারকে আনসার আল ইসলাম নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সিটিটিসির একটি দল তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা. আ ন ম নৌশাদ খান জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে ডা. মির্জা কাউসারকে তুলে নেওয়া হয়।

সূত্রমতে, গত এক বছর ধরে এ কোচিং সেন্টারটিরও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ডা. মির্জা কাউসার।

২৮ বছর বয়সি এ তরুণ চিকিৎসক আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তার বাড়ি জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডা. কাউসারের এক সহকর্মী বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস এসে থামে কোচিং সেন্টারের সামনে। গাড়ির আসনে ছিলেন পাঁচ ব্যক্তি। এদের মধ্যে দুজন পাঞ্জাবি ও টুপি পরা ছিলেন। বাকিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী লোক বলে মনে হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে তিনজন কোচিং সেন্টারের ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারা কিছুক্ষণ মির্জা কাউসারের সঙ্গে কথা বলে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যান।

এ সময় দেখা যায়, মির্জা কাউসার ভেতর থেকে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন দিতে বললে একজন তার হাত থেকে ফোনটি কেড়ে নেন। মাইক্রোবাসের ভেতরে বসে থাকা লোকজনের মধ্যে একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল বলেও দাবি করেন ডা. মির্জা কাউসারের ওই সহকর্মী।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মির্জা কাউসারের বাবা মির্জা আবদুল হাকিম রোববার রাতে জানান, কাউসার ঢাকায় সিটিটিসির হেফাজতে আছে বলে তাকে ফোন করে জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আ ন ম নৌশাদ খানও সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে কী কারণে সিটিটিসি তাকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে, এ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি।

তবে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি সূত্র জানায়, ডা. মির্জা কাউসারকে আনসার আল ইসলাম নামে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ইতোমধ্যে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।

টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই’র বাকবিতন্ডা; ট্রেনের ভিতরে ভাংচুর সেনা সদস্য সহ আহত-৫

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সহযোগী অধ্যাপক গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ১০:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মির্জা কাউসার আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। একটি মামলায় সহযোগী অধ্যাপক দেখিয়ে তাকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ডা. কাউসার আহমেদকে অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকজন একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকায় চিকিৎসক- শিক্ষার্থীসহ সব মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

তবে তাকে তুলে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর জানা গেছে, ডা. মির্জা কাউসারকে আনসার আল ইসলাম নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সিটিটিসির একটি দল তাকে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা. আ ন ম নৌশাদ খান জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে ডা. মির্জা কাউসারকে তুলে নেওয়া হয়।

সূত্রমতে, গত এক বছর ধরে এ কোচিং সেন্টারটিরও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ডা. মির্জা কাউসার।

২৮ বছর বয়সি এ তরুণ চিকিৎসক আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক। তার বাড়ি জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডা. কাউসারের এক সহকর্মী বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস এসে থামে কোচিং সেন্টারের সামনে। গাড়ির আসনে ছিলেন পাঁচ ব্যক্তি। এদের মধ্যে দুজন পাঞ্জাবি ও টুপি পরা ছিলেন। বাকিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী লোক বলে মনে হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে তিনজন কোচিং সেন্টারের ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারা কিছুক্ষণ মির্জা কাউসারের সঙ্গে কথা বলে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যান।

এ সময় দেখা যায়, মির্জা কাউসার ভেতর থেকে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন দিতে বললে একজন তার হাত থেকে ফোনটি কেড়ে নেন। মাইক্রোবাসের ভেতরে বসে থাকা লোকজনের মধ্যে একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল বলেও দাবি করেন ডা. মির্জা কাউসারের ওই সহকর্মী।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মির্জা কাউসারের বাবা মির্জা আবদুল হাকিম রোববার রাতে জানান, কাউসার ঢাকায় সিটিটিসির হেফাজতে আছে বলে তাকে ফোন করে জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আ ন ম নৌশাদ খানও সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে কী কারণে সিটিটিসি তাকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে, এ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি।

তবে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি সূত্র জানায়, ডা. মির্জা কাউসারকে আনসার আল ইসলাম নামে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ইতোমধ্যে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।