ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পার্লামেন্টের নারী স্পীকারদের সামিট বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম– স্পীকার ফায়ার সার্ভিসের সেই দুর্নীতিবাজ উপপরিচালক ওহিদুল আবার অধিদপ্তরে! নওগাঁয় নিউ মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এর কমাশিয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত সিরাজদিখানে চায়না দুয়ারী জাল বন্ধে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় ডা: লিজা নার্সিং ইন্সটিটিউটে নবীন বরন অনুষ্ঠিত নিশ্চিত হলো মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক প্রতিশ্রুতি অনেক, বাস্তবায়ন কম ভাইয়ের মৃত্যুতে বোনের এসএসসি পাসের আনন্দ মাটি

দুর্নীতির পুরস্কার,কম্পিউটার অপারেটর থেকে রাজউকের চীফ ইঞ্জিনিয়ার

সোহেল রানা :
বলা বাহুল্য শ্রী উজ্জ্বল মল্লিকের দুর্নীতির ক্ষমতার অপব্যাবহারের দৃষ্টান্ত চতুমুর্খী ধ্বংস যজ্ঞে নিপতিত রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প। সরকারি অর্থের হিসাব ছাড়া অপচয় ও অপব্যবহার। এক কথায় বলা যায় পূর্বাচল রাজ্যর আরেক রাজা শ্রী উজ্বল মল্লিক। উজ্বল মল্লিক প্রথমে রাজউকে যোগদান করেন মাষ্টার রুলে কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে। পরবর্তীতে কৌশল অবলম্বন করে প্রকল্প পরিচালক এবং বর্তমানে রাজউকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে বসে রাজত্ব কায়েম করছে সাবেক কম্পিউটার অপারেটর শ্রী উজ্বল মল্লিক। দুর্নীতির মহানায়ক রাজউকের পদবীধারক মহাত্মন উজ্বল মল্লিক ও তার সঙ্গীদের সঙ্ঘবদ্ধ দুর্নীতি পূর্ণ কুটকর্ম কাগজে লিখে সীমাবদ্ধ রাখার সুযোগ মনে হয় একবারেই নাই। সীমাহীন দৌরাত্ম্য উজ্বল মল্লিক চার পাঁচজন সিনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে ব্যাপক উৎকোচের বিনিময়ে পদোন্নতি নিয়েছেন।পদোন্নতি প্রদানের নিমিত্ত একটি রুলিং/ ডিরেকশন আনা সত্বেও রাজউক কতৃপক্ষ তদনুযায়ী কোন ব্যাবস্থাই নিচ্ছেন না। ভুক্তভোগীরা জানান রীতিমতো চমকপ্রদ কারণ শ্রী মল্লিক রীতিমতো দম্ভোত্তি করে প্রায় সকলের সামনে বলেন “সেই মন্ত্রী,সেই সচিব সবাই রয়েছে। আমি টাকা দিয়ে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হয়েছি। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন শ্রী উজ্বল মল্লিক একাধিক কর্মকর্তা কে হাসতে হাসতে বলে দুইকোটি টাকার একখানা গাড়ী আর কিছু ব্যাক্তিকে খুশী করতে যা অন্যন ৫ থেকে ৭কোটি খরচ হয়েছে এটা কিছুই না এখন রাজউকের মাথায় আমি। উল্লেখ্য নিবাহী প্রকৌশলী থেকে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদোন্নতি নেওয়ার সময়ে ও একই প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে ৪/৫ জনকে ডিঙ্গিয়ে পদোন্নতি নিয়েছিলেন শ্রী উজ্বল মল্লিক।ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদ পদবি বাগিয়ে নিয়ে পূর্বাচল প্রকল্পটির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে উজ্বল মল্লিক একাধিক সুত্রে জানা যায়। শ্রী উজ্বল মল্লিকের এতো টাকার উৎস কোথায় তা খুজতে রাজউকের একাধিক ব্যাক্তির কৌতূহল। একাধিক ব্যাক্তি প্রতিবেদকে জানান রাজউক পুর্বাচল প্রকল্পের একাধারে ‘প্রকল্প ব্যবস্থাপক,উপ- প্রকল্প পরিচালক, ও পরবর্তীতে প্রকল্প পরিচালক হয়েছিলেন।বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার পরেও পূর্বাচল প্রকল্পের পি, ডি শ্রী উজ্বল মল্লিক। এভাবেই পূর্বাচল প্রকল্পটির দীর্ঘ ১২ টা বছরে বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শ্রী উজ্বল মল্লিক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে সকল কাজের নজীরবিহীন দুর্নীতির কাব্য রচনা করেছেন সেই সকল প্রজেক্ট এর মধ্য উল্লেখযোগ্য,ঠিকাদারী কাজের টেন্ডার কারসাজি,১২শ কোটি টাকার কাজ ওয়েস্টার্ন নামীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া, ওয়াটার সাপ্লাই পিপিপি খাত থেকে ৬কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া, টেন্ডার ডকুমেন্ট ঘাপলা করে অযোগ্য ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া,১০০ শত কোটি টাকার কার্পেটিং কাজে ঘষা মাজা করে ১৭কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া,৩ কাঠার প্লট কে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮.৫০ কাঠায় পরিণত করা.ভুল নকশাই ৩৬ সেতু মুল সেতুর নকশা পরিবর্তন করে লূটে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা,পূর্বাচল প্রকল্পের সার্বিক ব্যত্যয়, বাস্তবায়নের শ্লথগতি ও দুর্নীতি নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নির্দেশে আই এম ডি প্ল্যানিং কমিশন ও দুদক এর একাধিক প্রতিনিধি দল অনুসন্ধান শুরু করলেও কোনটিই আলোর মুখ দেখেনি।গুঞ্জন রয়েছে যে কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে উজ্বল মল্লিক সকলকেই নিবৃত রেখেছে। কথায় আছে কানে পানি ঢুকলে আবার পানি দিয়েই পানি বের করতে হয় কারণ দুর্নীতির ঢাকনি যোগান দিতে আরো দুর্নীতি করেছে প্রধান প্রকৌশলী শ্রী উজ্বল মল্লিক । অনিয়ম দুর্নীতি সরকারি অর্থ আত্মসাত পুর্বাচল প্রকল্পের কাজের মান খারাপ সেতুর মুল নকশার পরিবর্তন সহ সকল দায়ভার থেকে যেন জাদু গুণেই নিষ্পাপ নিস্কলঙ্ক রয়েছেন ধনকুবে উজ্বল মল্লিক। রাজউকে কর্মরত একাধিক ব্যাক্তি প্রতিবেদক কে বলেন হাজার কোটি টাকা কামিয়ে উজ্বল মল্লিক লন্ডনে বাড়ি ক্রয় ভারতে কয়েকটি বাড়ি গুলশানে ২টি ফ্লাট এবং পূর্বাচল প্রকল্পের ৫ নং সেক্টরে লেক ভরাট করে ৫ কাঠার প্লটকে ৮ কাঠ বানিয়েছেন নিজের নামে এমনকি পূর্বাচল প্রকল্পের প্রেট্রল পাম্পের নকশা পরিবর্তন করে প্লট বানিয়ে আত্মসাত করেছেন উজ্বল মল্লিক তথ্য সুত্রে জানা যায়। সকল প্রকল্প থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকা বাগিয়েছেন বলে তথ্য সুত্রে জানা যায়।রাজউকের সকল কর্মকর্তার বিদেশ সফরের সমষ্টির চেয়েও অধিক সংখ্যক বার একাই সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এছাড়াও চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পর থেকে বেশীর ভাগই বিদেশে সময় কাটানোর ও অভিযোগ রয়েছে শ্রী উজ্বল মল্লিকের বিরুদ্ধে ।সেসময় লন্ডন কানাডা প্রবাসী তার আত্মীয় স্বজনদের কাছে অবৈধ অর্থ পাচার করেছেন উজ্বল মল্লিক। একাধিক ব্যাক্তি আরো বলেন প্রতিবাদ করবার সকল মুখেই আতঙ্কের তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে উজ্বল মল্লিক ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা। নিতান্ত নিরুপায় হয়েই যেন রাজউক এর সর্বোচ্চ প্রশাসন এ বিষয়ে সব জেনেও নিবিকার ভুমিকায় রয়েছে। বিচার চাওয়া অথবা করবার সাধ্যটুকুও যেন রাজউকের কারো নেই। অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে পদে বসে শ্রী উজ্বল মল্লিক রাজউক প্রকৌশলীদের মধ্েয গ্রূপিং এবং নিজ প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণাধীন মাস্তান বাহিনী বানিয়ে সিনিয়র প্রকৌশলীদের হেনস্থা ও সিদ্ধহস্ত করেছেন বলে প্রকৌশলীদের মুখে শোনা যায়।সুত্রে জানা যায় বিএনপি সরকারের আমলে মন্ত্রী নোমান এর হাত ধরে চাকুরীর সুত্রপাত সেই উজ্বল মল্লিক এখন সিনিয়র প্রকৌশলীদের জামায়াত বিএনপির লোক বলে গালমন্দ করেন। কারণ ইঞ্জিনিয়ার মশার্রফ হোসেন এখন তো মন্ত্রী নেই তাই উজ্বল মল্লিক ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগ বনে গেছেন । বিএনপির ছত্রছায়ায় নিয়োগ অনৈতিক সুবিধা পুষ্ট উজ্বল মল্লিক ঠিক সময়ে খোলস পাল্টে চিটাগাং এর জন্মপরিচয় ব্যাবহার করে অদ্যবধি আওয়ামীলীগ এর নেতৃত্বকে বিভ্রান্ত করছে এমটাই জানান একাধিক ব্যাক্তি। ক্ষমতার অপব্যবহার শিখতে উজ্বল মল্লিকের মতো এক্সপার্ট মেলা দুস্কর।সাধারণ জনগণ ও সরকারের অর্থ প্রতারণা করে নিতে একটু ও বাঁধবেনা। উজ্বল মল্লিক এর বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তথ্য অনুসন্ধানের জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যাস্থ আছে বলে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন।পরবর্তীতে রাজউক ভবনে সরেজমিনে গিয়ে যোগাযোগ এর চেষ্টা করে ও দেখা করা সম্ভব হয়নি। এবং উজ্বল মল্লিক এর ব্যাবহিত সরকারি মোবাইল নাম্বার টি ও বন্ধ পাওয়া যায়।উল্লেখ্য উজ্বল মল্লিকের সকল অভিযোগ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন এর তিন সদস্য টিমের অনুসন্ধান – তদন্ত চলমান রয়েছে বলে তথ্য সুত্রে জানা গেছে। এছাড়াও রাজউকের পক্ষ থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্য প্রশাসন শাখাকে অব্যহিত করার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে তদন্তের মাধ্যমে উজ্বল মল্লিকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ হতে পারে। সুশীল সমাজ ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের একটাই প্রত্যাশা আইনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের বিচার করা দরকার । ভবিষ্যতে যেন আর কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশের ও সাধারণ জনগণের সম্পদ আত্নসাত করে নিজের আখের গোছাতে না পারে। বিস্তারিত আগামী পর্বে

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়

দুর্নীতির পুরস্কার,কম্পিউটার অপারেটর থেকে রাজউকের চীফ ইঞ্জিনিয়ার

আপডেট টাইম : ০১:৫২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

সোহেল রানা :
বলা বাহুল্য শ্রী উজ্জ্বল মল্লিকের দুর্নীতির ক্ষমতার অপব্যাবহারের দৃষ্টান্ত চতুমুর্খী ধ্বংস যজ্ঞে নিপতিত রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প। সরকারি অর্থের হিসাব ছাড়া অপচয় ও অপব্যবহার। এক কথায় বলা যায় পূর্বাচল রাজ্যর আরেক রাজা শ্রী উজ্বল মল্লিক। উজ্বল মল্লিক প্রথমে রাজউকে যোগদান করেন মাষ্টার রুলে কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে। পরবর্তীতে কৌশল অবলম্বন করে প্রকল্প পরিচালক এবং বর্তমানে রাজউকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে বসে রাজত্ব কায়েম করছে সাবেক কম্পিউটার অপারেটর শ্রী উজ্বল মল্লিক। দুর্নীতির মহানায়ক রাজউকের পদবীধারক মহাত্মন উজ্বল মল্লিক ও তার সঙ্গীদের সঙ্ঘবদ্ধ দুর্নীতি পূর্ণ কুটকর্ম কাগজে লিখে সীমাবদ্ধ রাখার সুযোগ মনে হয় একবারেই নাই। সীমাহীন দৌরাত্ম্য উজ্বল মল্লিক চার পাঁচজন সিনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে ব্যাপক উৎকোচের বিনিময়ে পদোন্নতি নিয়েছেন।পদোন্নতি প্রদানের নিমিত্ত একটি রুলিং/ ডিরেকশন আনা সত্বেও রাজউক কতৃপক্ষ তদনুযায়ী কোন ব্যাবস্থাই নিচ্ছেন না। ভুক্তভোগীরা জানান রীতিমতো চমকপ্রদ কারণ শ্রী মল্লিক রীতিমতো দম্ভোত্তি করে প্রায় সকলের সামনে বলেন “সেই মন্ত্রী,সেই সচিব সবাই রয়েছে। আমি টাকা দিয়ে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হয়েছি। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন শ্রী উজ্বল মল্লিক একাধিক কর্মকর্তা কে হাসতে হাসতে বলে দুইকোটি টাকার একখানা গাড়ী আর কিছু ব্যাক্তিকে খুশী করতে যা অন্যন ৫ থেকে ৭কোটি খরচ হয়েছে এটা কিছুই না এখন রাজউকের মাথায় আমি। উল্লেখ্য নিবাহী প্রকৌশলী থেকে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদোন্নতি নেওয়ার সময়ে ও একই প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে ৪/৫ জনকে ডিঙ্গিয়ে পদোন্নতি নিয়েছিলেন শ্রী উজ্বল মল্লিক।ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদ পদবি বাগিয়ে নিয়ে পূর্বাচল প্রকল্পটির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে উজ্বল মল্লিক একাধিক সুত্রে জানা যায়। শ্রী উজ্বল মল্লিকের এতো টাকার উৎস কোথায় তা খুজতে রাজউকের একাধিক ব্যাক্তির কৌতূহল। একাধিক ব্যাক্তি প্রতিবেদকে জানান রাজউক পুর্বাচল প্রকল্পের একাধারে ‘প্রকল্প ব্যবস্থাপক,উপ- প্রকল্প পরিচালক, ও পরবর্তীতে প্রকল্প পরিচালক হয়েছিলেন।বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলী হওয়ার পরেও পূর্বাচল প্রকল্পের পি, ডি শ্রী উজ্বল মল্লিক। এভাবেই পূর্বাচল প্রকল্পটির দীর্ঘ ১২ টা বছরে বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শ্রী উজ্বল মল্লিক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে সকল কাজের নজীরবিহীন দুর্নীতির কাব্য রচনা করেছেন সেই সকল প্রজেক্ট এর মধ্য উল্লেখযোগ্য,ঠিকাদারী কাজের টেন্ডার কারসাজি,১২শ কোটি টাকার কাজ ওয়েস্টার্ন নামীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া, ওয়াটার সাপ্লাই পিপিপি খাত থেকে ৬কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া, টেন্ডার ডকুমেন্ট ঘাপলা করে অযোগ্য ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া,১০০ শত কোটি টাকার কার্পেটিং কাজে ঘষা মাজা করে ১৭কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া,৩ কাঠার প্লট কে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮.৫০ কাঠায় পরিণত করা.ভুল নকশাই ৩৬ সেতু মুল সেতুর নকশা পরিবর্তন করে লূটে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা,পূর্বাচল প্রকল্পের সার্বিক ব্যত্যয়, বাস্তবায়নের শ্লথগতি ও দুর্নীতি নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নির্দেশে আই এম ডি প্ল্যানিং কমিশন ও দুদক এর একাধিক প্রতিনিধি দল অনুসন্ধান শুরু করলেও কোনটিই আলোর মুখ দেখেনি।গুঞ্জন রয়েছে যে কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে উজ্বল মল্লিক সকলকেই নিবৃত রেখেছে। কথায় আছে কানে পানি ঢুকলে আবার পানি দিয়েই পানি বের করতে হয় কারণ দুর্নীতির ঢাকনি যোগান দিতে আরো দুর্নীতি করেছে প্রধান প্রকৌশলী শ্রী উজ্বল মল্লিক । অনিয়ম দুর্নীতি সরকারি অর্থ আত্মসাত পুর্বাচল প্রকল্পের কাজের মান খারাপ সেতুর মুল নকশার পরিবর্তন সহ সকল দায়ভার থেকে যেন জাদু গুণেই নিষ্পাপ নিস্কলঙ্ক রয়েছেন ধনকুবে উজ্বল মল্লিক। রাজউকে কর্মরত একাধিক ব্যাক্তি প্রতিবেদক কে বলেন হাজার কোটি টাকা কামিয়ে উজ্বল মল্লিক লন্ডনে বাড়ি ক্রয় ভারতে কয়েকটি বাড়ি গুলশানে ২টি ফ্লাট এবং পূর্বাচল প্রকল্পের ৫ নং সেক্টরে লেক ভরাট করে ৫ কাঠার প্লটকে ৮ কাঠ বানিয়েছেন নিজের নামে এমনকি পূর্বাচল প্রকল্পের প্রেট্রল পাম্পের নকশা পরিবর্তন করে প্লট বানিয়ে আত্মসাত করেছেন উজ্বল মল্লিক তথ্য সুত্রে জানা যায়। সকল প্রকল্প থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকা বাগিয়েছেন বলে তথ্য সুত্রে জানা যায়।রাজউকের সকল কর্মকর্তার বিদেশ সফরের সমষ্টির চেয়েও অধিক সংখ্যক বার একাই সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এছাড়াও চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পর থেকে বেশীর ভাগই বিদেশে সময় কাটানোর ও অভিযোগ রয়েছে শ্রী উজ্বল মল্লিকের বিরুদ্ধে ।সেসময় লন্ডন কানাডা প্রবাসী তার আত্মীয় স্বজনদের কাছে অবৈধ অর্থ পাচার করেছেন উজ্বল মল্লিক। একাধিক ব্যাক্তি আরো বলেন প্রতিবাদ করবার সকল মুখেই আতঙ্কের তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে উজ্বল মল্লিক ও তার সাঙ্গোপাঙ্গোরা। নিতান্ত নিরুপায় হয়েই যেন রাজউক এর সর্বোচ্চ প্রশাসন এ বিষয়ে সব জেনেও নিবিকার ভুমিকায় রয়েছে। বিচার চাওয়া অথবা করবার সাধ্যটুকুও যেন রাজউকের কারো নেই। অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে পদে বসে শ্রী উজ্বল মল্লিক রাজউক প্রকৌশলীদের মধ্েয গ্রূপিং এবং নিজ প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণাধীন মাস্তান বাহিনী বানিয়ে সিনিয়র প্রকৌশলীদের হেনস্থা ও সিদ্ধহস্ত করেছেন বলে প্রকৌশলীদের মুখে শোনা যায়।সুত্রে জানা যায় বিএনপি সরকারের আমলে মন্ত্রী নোমান এর হাত ধরে চাকুরীর সুত্রপাত সেই উজ্বল মল্লিক এখন সিনিয়র প্রকৌশলীদের জামায়াত বিএনপির লোক বলে গালমন্দ করেন। কারণ ইঞ্জিনিয়ার মশার্রফ হোসেন এখন তো মন্ত্রী নেই তাই উজ্বল মল্লিক ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগ বনে গেছেন । বিএনপির ছত্রছায়ায় নিয়োগ অনৈতিক সুবিধা পুষ্ট উজ্বল মল্লিক ঠিক সময়ে খোলস পাল্টে চিটাগাং এর জন্মপরিচয় ব্যাবহার করে অদ্যবধি আওয়ামীলীগ এর নেতৃত্বকে বিভ্রান্ত করছে এমটাই জানান একাধিক ব্যাক্তি। ক্ষমতার অপব্যবহার শিখতে উজ্বল মল্লিকের মতো এক্সপার্ট মেলা দুস্কর।সাধারণ জনগণ ও সরকারের অর্থ প্রতারণা করে নিতে একটু ও বাঁধবেনা। উজ্বল মল্লিক এর বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তথ্য অনুসন্ধানের জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যাস্থ আছে বলে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন।পরবর্তীতে রাজউক ভবনে সরেজমিনে গিয়ে যোগাযোগ এর চেষ্টা করে ও দেখা করা সম্ভব হয়নি। এবং উজ্বল মল্লিক এর ব্যাবহিত সরকারি মোবাইল নাম্বার টি ও বন্ধ পাওয়া যায়।উল্লেখ্য উজ্বল মল্লিকের সকল অভিযোগ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন এর তিন সদস্য টিমের অনুসন্ধান – তদন্ত চলমান রয়েছে বলে তথ্য সুত্রে জানা গেছে। এছাড়াও রাজউকের পক্ষ থেকে তিন কার্যদিবসের মধ্য প্রশাসন শাখাকে অব্যহিত করার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে তদন্তের মাধ্যমে উজ্বল মল্লিকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ হতে পারে। সুশীল সমাজ ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের একটাই প্রত্যাশা আইনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের বিচার করা দরকার । ভবিষ্যতে যেন আর কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশের ও সাধারণ জনগণের সম্পদ আত্নসাত করে নিজের আখের গোছাতে না পারে। বিস্তারিত আগামী পর্বে