ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পার্লামেন্টের নারী স্পীকারদের সামিট বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম– স্পীকার ফায়ার সার্ভিসের সেই দুর্নীতিবাজ উপপরিচালক ওহিদুল আবার অধিদপ্তরে! নওগাঁয় নিউ মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এর কমাশিয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত সিরাজদিখানে চায়না দুয়ারী জাল বন্ধে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় ডা: লিজা নার্সিং ইন্সটিটিউটে নবীন বরন অনুষ্ঠিত নিশ্চিত হলো মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক প্রতিশ্রুতি অনেক, বাস্তবায়ন কম ভাইয়ের মৃত্যুতে বোনের এসএসসি পাসের আনন্দ মাটি

পুলিশ আমাদের জামা-কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে: নুর

অনলাইন ডেস্ক :

রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে প্রবেশের সময় পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি দাবি করেন, পুলিশ তাদের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে। তাদের মধ্যে নারী নেত্রীও রয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর আহত নুর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ছেঁড়া গেঞ্জি পরেই কথা বলেন। কার্যালয়ে প্রবেশের সময় নুরের শরীরে সাদা রঙের পাঞ্জাবি ছিল। কিন্তু পরে তার শরীরে সেই পাঞ্জাবি আর দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করছে, সেটা আপনারা দেখেছেন। এই দল ভাঙনে সরকার যে ষড়যন্ত্র করেছে, আজকে প্রমাণিত। পুলিশের সহযোগিতায় এই জামান সাহেব (গণঅধিকার পরিষদের একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাসার মালিক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামান) আমাদের কার্যালয়ে তালা লাগিয়েছে, আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করেছে, আমাদের মেয়ে মানুষের কাপড় ছিঁড়েছে। একাত্তরের সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো বস্ত্র হরণ করেছে। আমাদের জামা-কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে।’

পুলিশের বাধার পরও তারা কার্যালয়ের সামনে নতুন করে লাগানো কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন নুরসহ অনেকেই। আহত নুরকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতা শাকিলুজ্জামান।

পুলিশের হামলার অভিযোগ তুলে নুর বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতাকর্মী পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধরে আহত। এখন তারা চিকিৎসা নেবে। একজন নেতাকর্মীকে যদি অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়, আমরা প্রত্যেকে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব। আপনারা দেখছেন, আমাদের একজন নারী সহকর্মী অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছেন।’

তবে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান আমাদের সময়কে বলেন, ‘দুই পক্ষ সারা দিন মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। সংঘর্ষ ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ কার্যালয় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।’

বিনা উসকানিতে হামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কাউকে লাঠিপেটা করা হয়নি। এখানে সাংবাদিকরা লাইভ করেছেন। লাঠিচার্জ করা হলে সেটা সবাই দেখত। আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এখানে অবস্থান নিয়েছি।’

এর আগে গণঅধিকার পরিষদের নেতা আবু হানিফ দাবি করেন, ‘আজ সকালে গণঅধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের (রেজা কিবরিয়া অংশের যুগ্ম আহ্বায়ক) নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে যায়। তখন তারা কার্যালয়ের তালা ভেঙে কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেয় এবং কার্যালয়ের ভেতর থেকে দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়সহ জরুরি কাগজপত্র নিয়ে যায়। সেই সময় তারা ঘটনাস্থলে থাকা দলের ২-৩ জন কর্মীর ফোনও কেড়ে নেন।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়

পুলিশ আমাদের জামা-কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে: নুর

আপডেট টাইম : ০৫:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :

রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে প্রবেশের সময় পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি দাবি করেন, পুলিশ তাদের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে। তাদের মধ্যে নারী নেত্রীও রয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর আহত নুর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ছেঁড়া গেঞ্জি পরেই কথা বলেন। কার্যালয়ে প্রবেশের সময় নুরের শরীরে সাদা রঙের পাঞ্জাবি ছিল। কিন্তু পরে তার শরীরে সেই পাঞ্জাবি আর দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করছে, সেটা আপনারা দেখেছেন। এই দল ভাঙনে সরকার যে ষড়যন্ত্র করেছে, আজকে প্রমাণিত। পুলিশের সহযোগিতায় এই জামান সাহেব (গণঅধিকার পরিষদের একাংশের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাসার মালিক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামান) আমাদের কার্যালয়ে তালা লাগিয়েছে, আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করেছে, আমাদের মেয়ে মানুষের কাপড় ছিঁড়েছে। একাত্তরের সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো বস্ত্র হরণ করেছে। আমাদের জামা-কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে।’

পুলিশের বাধার পরও তারা কার্যালয়ের সামনে নতুন করে লাগানো কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হন নুরসহ অনেকেই। আহত নুরকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতা শাকিলুজ্জামান।

পুলিশের হামলার অভিযোগ তুলে নুর বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতাকর্মী পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধরে আহত। এখন তারা চিকিৎসা নেবে। একজন নেতাকর্মীকে যদি অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়, আমরা প্রত্যেকে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব। আপনারা দেখছেন, আমাদের একজন নারী সহকর্মী অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছেন।’

তবে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান আমাদের সময়কে বলেন, ‘দুই পক্ষ সারা দিন মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। সংঘর্ষ ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ কার্যালয় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।’

বিনা উসকানিতে হামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কাউকে লাঠিপেটা করা হয়নি। এখানে সাংবাদিকরা লাইভ করেছেন। লাঠিচার্জ করা হলে সেটা সবাই দেখত। আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এখানে অবস্থান নিয়েছি।’

এর আগে গণঅধিকার পরিষদের নেতা আবু হানিফ দাবি করেন, ‘আজ সকালে গণঅধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের (রেজা কিবরিয়া অংশের যুগ্ম আহ্বায়ক) নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে যায়। তখন তারা কার্যালয়ের তালা ভেঙে কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেয় এবং কার্যালয়ের ভেতর থেকে দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়সহ জরুরি কাগজপত্র নিয়ে যায়। সেই সময় তারা ঘটনাস্থলে থাকা দলের ২-৩ জন কর্মীর ফোনও কেড়ে নেন।’