ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পার্লামেন্টের নারী স্পীকারদের সামিট বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম– স্পীকার ফায়ার সার্ভিসের সেই দুর্নীতিবাজ উপপরিচালক ওহিদুল আবার অধিদপ্তরে! নওগাঁয় নিউ মডার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এর কমাশিয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত সিরাজদিখানে চায়না দুয়ারী জাল বন্ধে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় ডা: লিজা নার্সিং ইন্সটিটিউটে নবীন বরন অনুষ্ঠিত নিশ্চিত হলো মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক প্রতিশ্রুতি অনেক, বাস্তবায়ন কম ভাইয়ের মৃত্যুতে বোনের এসএসসি পাসের আনন্দ মাটি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে -ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন মহাপরিচালক

বিশেষ প্রতিনিধি :
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এই প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন একজন মেধাবী চৌকশ অফিসার। তিনি ২০২২ সালের মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি মেধা, সততা ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আধুনিকায়নে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রতিষ্ঠানটির গতিশীলতাকে থামাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। একটি জরুরি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকল দুর্যোগে কাজ করে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। সবার আগে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সাহস, সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। গতি, সেবা ও ত্যাগের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে এ বিভাগের কর্মীরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে বর্তমান সরকার নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণসহ বিশ্বমানের একটি আধুনিক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি দেশ বিরোধী ও নানামুখী ষড়যন্ত্রকারী মহল মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে। তবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স একটি জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম জনগণের সেবায় নিবেদিত। যারা দেশের স্বার্থ বিনষ্ট করতে চায় তারা সবসময় ষড়যন্ত্র করবে এটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সচিবের সদইচ্ছায় প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে আমি বদ্য পরিকর। কর্মব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন রেসকিউ বিভাগ নামে ১টি বিভাগ সৃষ্টি হয়। দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পদ রক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করাই সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ৬২ হাজার আরবান ভলান্টিয়ার তৈরির কার্যক্রম পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক তৈরি হয়েছে। তাদের জন্য উদ্ধার সরঞ্জাম সংগ্রহের প্রক্রিয়াও গ্রহণ করা হয়েছে। বস্তির আগুন নির্বাপণের জন্য বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় ৯০০ স্বেচ্ছাসেবক। নৌ দুর্ঘটনায় ডুবুরি হিসেবে কাজ করার জন্য আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হয়েছে ডুবুরি প্রশিক্ষণ। আধুনিক সাজ-সরঞ্জামে পর্যায়ক্রমে সমৃদ্ধ হচ্ছে এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যমান ট্রেনিং কমপ্লেক্সকে যুগোপযোগী ট্রেনিং একাডেমিতে রূপান্তর এবং বৃহৎ পরিসরে স্থানাস্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সদইচ্ছায় বিভাগের জন্য একটি বার্ন ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরিদর্শন কার্যক্রম এবং পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সুবিধার্থে পরিচালনা করা হচ্ছে ফায়ার লাইসেন্স মেলা। এসব উদ্যোগ অত্র অধিদপ্তরকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নেওয়ার নিরন্তর প্রয়াস।
প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ সম্মতিতে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা ও আন্তরিক উদ্যোগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের জীবন-মান উন্নত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বেশকিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অপারেশনাল কর্মীদের জন্য ঝুঁকিভাতা চালু, নন-ইউনিফর্ম কর্মীসহ সবার জন্য পূর্ণাঙ্গ রেশন সরবরাহ, দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি এবং বিভাগের প্রতিটি কর্মীর দীর্ঘদিনের দাবি খাকি পোশাক পরিবর্তন করে দুই রঙের নতুন পোশাক প্রবর্তন করা হয়েছে। এসব বিষয় বাস্তবায়নের ফলে এ বিভাগের কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মনোবল বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভাগীয় কার্যক্রমে আশানুরূপ গতি সঞ্চারিত হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বহুমুখী অগ্রগতি ও উন্নয়ন ধারাকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য করছেন এবং এটিকে স্বর্ণযুগ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
প্রতিষ্ঠানের যিনি সুযোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল। ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চ মাসের ১০ তারিখে নোয়াখালী জেলার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে -ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন মহাপরিচালক

আপডেট টাইম : ০৩:০৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি :
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এই প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন একজন মেধাবী চৌকশ অফিসার। তিনি ২০২২ সালের মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি মেধা, সততা ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আধুনিকায়নে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা প্রতিষ্ঠানটির গতিশীলতাকে থামাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। একটি জরুরি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকল দুর্যোগে কাজ করে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। সবার আগে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা সাহস, সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। গতি, সেবা ও ত্যাগের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে এ বিভাগের কর্মীরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে বর্তমান সরকার নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণসহ বিশ্বমানের একটি আধুনিক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি দেশ বিরোধী ও নানামুখী ষড়যন্ত্রকারী মহল মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে। তবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স একটি জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম জনগণের সেবায় নিবেদিত। যারা দেশের স্বার্থ বিনষ্ট করতে চায় তারা সবসময় ষড়যন্ত্র করবে এটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সচিবের সদইচ্ছায় প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে আমি বদ্য পরিকর। কর্মব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন রেসকিউ বিভাগ নামে ১টি বিভাগ সৃষ্টি হয়। দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পদ রক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করাই সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ৬২ হাজার আরবান ভলান্টিয়ার তৈরির কার্যক্রম পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক তৈরি হয়েছে। তাদের জন্য উদ্ধার সরঞ্জাম সংগ্রহের প্রক্রিয়াও গ্রহণ করা হয়েছে। বস্তির আগুন নির্বাপণের জন্য বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় ৯০০ স্বেচ্ছাসেবক। নৌ দুর্ঘটনায় ডুবুরি হিসেবে কাজ করার জন্য আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হয়েছে ডুবুরি প্রশিক্ষণ। আধুনিক সাজ-সরঞ্জামে পর্যায়ক্রমে সমৃদ্ধ হচ্ছে এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যমান ট্রেনিং কমপ্লেক্সকে যুগোপযোগী ট্রেনিং একাডেমিতে রূপান্তর এবং বৃহৎ পরিসরে স্থানাস্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সদইচ্ছায় বিভাগের জন্য একটি বার্ন ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরিদর্শন কার্যক্রম এবং পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সুবিধার্থে পরিচালনা করা হচ্ছে ফায়ার লাইসেন্স মেলা। এসব উদ্যোগ অত্র অধিদপ্তরকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নেওয়ার নিরন্তর প্রয়াস।
প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ সম্মতিতে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতা ও আন্তরিক উদ্যোগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের জীবন-মান উন্নত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বেশকিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অপারেশনাল কর্মীদের জন্য ঝুঁকিভাতা চালু, নন-ইউনিফর্ম কর্মীসহ সবার জন্য পূর্ণাঙ্গ রেশন সরবরাহ, দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি এবং বিভাগের প্রতিটি কর্মীর দীর্ঘদিনের দাবি খাকি পোশাক পরিবর্তন করে দুই রঙের নতুন পোশাক প্রবর্তন করা হয়েছে। এসব বিষয় বাস্তবায়নের ফলে এ বিভাগের কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মনোবল বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভাগীয় কার্যক্রমে আশানুরূপ গতি সঞ্চারিত হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বহুমুখী অগ্রগতি ও উন্নয়ন ধারাকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য করছেন এবং এটিকে স্বর্ণযুগ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
প্রতিষ্ঠানের যিনি সুযোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল। ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চ মাসের ১০ তারিখে নোয়াখালী জেলার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন।