ক্রীড়া প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসা ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার রোনালদিনহো। সন্ধ্যায় তিনি গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় ব্রাজিলীয় ফুটবল যাদুকরের সঙ্গে ছিলেন স্পোর্টস প্রমোটার শতদ্রু দত্ত।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে রোনালদিহতো ফিরবেন হোটেলে। সেখানে তার ঢাকা সফর স্পন্সর করা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে মেজিক্যাল নাইট উইথ দ্য ফুটবল লিজেন্ড-এ অংশ নেবেন রোনালদিনহো। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া ও নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে কিছু মুহূর্ত কাটাবেন তিনি।
জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও রোনালদিনহোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসবেন। এছাড়া স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ব্রুভানার একটি নতুন ব্র্যান্ড উদ্বোধন করবেন। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মাঝরাতে ঢাকা ছাড়বেন রোনালদো।
গত জুলাইয়ে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকা এসেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। সেই সফরে তাকে নিয়ে আয়োজকরা কোনো পাবলিক ইভেন্ট আয়োজন করেনি। অনেকটা খাঁচাবন্দি হয়েই তিনি ঘুরে গেছেন ঢাকা। তবে ফুটবল ও আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আসল উন্মাদনাটা অজানাই থেকে গেছে।
রোনালদিনহোর ক্ষেত্রেও ঘটতে যাচ্ছে একই ঘটনা। সাড়ে আট ঘণ্টা রোনালদিনহোকে নিজস্ব সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছেন। দেশজুড়ে রোনালদিনহোর অগুনতি ভক্ত-সমর্থকদের এক পলক দেখার সুযোগ করে দেয়নি আয়োজকরা। এমনকি ঠিকভাবে দেশের স্বীকৃত সব সংবাদমাধ্যমকেও আমন্ত্রণপত্র পাঠায়নি। রাখেনি কোনো অফিশিয়াল মিডিয়া সেশন।
ব্রাজিলের মানুষ ভালোবেসে রোনালদিনহোকে ডাকে ‘ও ব্রুক্সো’ বলে। যার বাংলা তরজমা করলে হয় জাদুকর। সেই ফুটবল জাদুকর ঢাকায় এলেন ঠিক, তবে যেন ঠিক জাদুর বাক্সে বন্দি হয়ে। যার খেলা দেখতে এ দেশের হাজারো ভক্তের কেটেছে কত-শত নির্ঘুম রাত, সেই রোনালদিনহোকে আঙিনায় পেয়েও এক পলক দেখার সুযোগ পেলেন না ভক্তরা। তাই প্রশ্ন জাগে, এরকম মহাতারকাদের সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এনে আসলে লাভ হয় কার?