ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে–স্পীকার অপশক্তিকে বিতাড়িত করতে হলে ভালো মানুষকে ভোট দিন- কামাল হোসেন টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই’র বাকবিতন্ডা; ট্রেনের ভিতরে ভাংচুর সেনা সদস্য সহ আহত-৫ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠিত কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে–স্পীকার

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার :

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগুন দিয়ে যারা মানুষ মারে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি-জামায়াতের কাজই আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। আগুন দিতে আসলে আপনারাই ওই হাত আগুনে পুড়িয়ে দেবেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের উন্নয়ন হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি মানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। মানুষ খুন তাদের একমাত্র গুণ। বিএনপি-জামায়াতের আর কোনো গুণ নেই। আর আমার একটাই লক্ষ্য এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছি। ধারাবাহিক গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবারো চালু করে। সোমবার গতকাল খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের জন্য  নেয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বলেন, ‘আজকে ৮ লাখ ৪১ হাজার পরিবার বিনা পয়সায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাচ্ছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রয়েছে বীরনিবাস। বিভিন্নভাবে গৃহায়ন তহবিলের মাধ্যমে আমরা ভূমিহীন মানুষদের ঘর, দুই কাঠা জমি এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যাতে কোনো মানুষ ভূমিহীন না থাকে, গৃহহীন না থাকে। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবেই আমরা এই পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আমাদের দেশের একটি মানুষও যেন ঠিকানাবিহীন না থাকে, সেই ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে করেছে।’

গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনের  যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই আন্দোলন করছে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- আমি প্রথমবার ক্ষমতায় এসে দেখি গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৮০০ টাকা, আমি করেছিলাম ১৬০০ টাকা। খালেদা ক্ষমতায় এসে এক পয়সাও বাড়ায়নি। পরের বার সরকারে এসে প্রথমে করলাম, ৩২০০, দ্বিতীয় দফায় ৫৩০০, তৃতীয় দফায় ৮২০০ আর এবার করলাম ১২৫০০ টাকা।
শেখ হাসিনা বলেন, হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য  বেড়েছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে সরকারি চাকরিদের জন্য ৫ পার্সেন্ট, আর গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাড়িয়েছি ৫৬ পার্সেন্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও গার্মেন্টস শিল্পে এই ধ্বংস কেন, কারা করছে এসব, তাদের খুঁজে  বের করা দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে ইলেকশন হবে। এই ইলেকশনের সময় একটা বিষয় সবাইকে নজরে রাখতে হবে। ওই বিএনপি-জামায়াত ২০০৮ সালে মাত্র ৩০ আসন পেয়েছিল। তারা জানে, তাদের নেতা নেই, মুণ্ডুহীন দল। তাদের এক নেতা পলাতক আসামি, এক নেতা কারাগারের আসামি।

একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই  দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের  ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এ  দেশে একটি মানুষও দারিদ্র্যের মধ্যে থাকবে না। কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। আমাদের সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বিএনপি-জামায়াত চক্র সরকারকে ব্যর্থ করতে মাঠে  নেমেছে। ওরা চায় না দেশ উন্নত  হোক। এজন্য আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, মানুষের ওপর নির্যাতন ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করছে তারা।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা  দেখেছেন এই ২৮শে অক্টোবর কীভাবে পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।  বেহুঁশ হয়ে গেছে তাও ছাড়েনি। তারপর কুপিয়েছে। ৪৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি। সাংবাদিকদের তারা পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ স্টেশনে ঢুকে হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। কয়েকটা এম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বার বার সরকার গঠন করেছি, আমার তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি মানুষের ভাগ্য বদল করতে চাই। বাংলাদেশের জনগণ আমার পরিবার। আপনারাই বারবার  ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।  নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,  নৌকা স্বাধীনতা দিয়েছে, উন্নয়ন দিয়েছে, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে। নৌকা মার্কায়  ভোট দিয়ে আরেকবার সেবা করার সুযোগ দিবেন।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারী, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও  সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বক্তব্য দেন শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারাহ নাসের তন্ময় এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক  মোজাম্মেল হক, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী  বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল প্রমুখ।

এর আগে বেলা পৌনে ৩টায় খুলনায় সার্কিট হাউজ মাঠে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এ সময় দোয়া ও  মোনাজাত করা হয়। এরপর খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেন  শেখ হাসিনা। পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর এ মহাসমাবেশ ঘিরে খুলনা পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। সমাবেশস্থল ও আশপাশে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী  হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।

ট্যাগস

বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে–স্পীকার

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:২২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
স্টাফ রিপোর্টার :

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগুন দিয়ে যারা মানুষ মারে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপি-জামায়াতের কাজই আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। আগুন দিতে আসলে আপনারাই ওই হাত আগুনে পুড়িয়ে দেবেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের উন্নয়ন হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি মানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। মানুষ খুন তাদের একমাত্র গুণ। বিএনপি-জামায়াতের আর কোনো গুণ নেই। আর আমার একটাই লক্ষ্য এদেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছি। ধারাবাহিক গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবারো চালু করে। সোমবার গতকাল খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের জন্য  নেয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বলেন, ‘আজকে ৮ লাখ ৪১ হাজার পরিবার বিনা পয়সায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাচ্ছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রয়েছে বীরনিবাস। বিভিন্নভাবে গৃহায়ন তহবিলের মাধ্যমে আমরা ভূমিহীন মানুষদের ঘর, দুই কাঠা জমি এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যাতে কোনো মানুষ ভূমিহীন না থাকে, গৃহহীন না থাকে। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবেই আমরা এই পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। আমাদের দেশের একটি মানুষও যেন ঠিকানাবিহীন না থাকে, সেই ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে করেছে।’

গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনের  যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই আন্দোলন করছে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন- আমি প্রথমবার ক্ষমতায় এসে দেখি গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৮০০ টাকা, আমি করেছিলাম ১৬০০ টাকা। খালেদা ক্ষমতায় এসে এক পয়সাও বাড়ায়নি। পরের বার সরকারে এসে প্রথমে করলাম, ৩২০০, দ্বিতীয় দফায় ৫৩০০, তৃতীয় দফায় ৮২০০ আর এবার করলাম ১২৫০০ টাকা।
শেখ হাসিনা বলেন, হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য  বেড়েছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে সরকারি চাকরিদের জন্য ৫ পার্সেন্ট, আর গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাড়িয়েছি ৫৬ পার্সেন্ট। কিন্তু তা সত্ত্বেও গার্মেন্টস শিল্পে এই ধ্বংস কেন, কারা করছে এসব, তাদের খুঁজে  বের করা দরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে ইলেকশন হবে। এই ইলেকশনের সময় একটা বিষয় সবাইকে নজরে রাখতে হবে। ওই বিএনপি-জামায়াত ২০০৮ সালে মাত্র ৩০ আসন পেয়েছিল। তারা জানে, তাদের নেতা নেই, মুণ্ডুহীন দল। তাদের এক নেতা পলাতক আসামি, এক নেতা কারাগারের আসামি।

একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই  দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের  ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এ  দেশে একটি মানুষও দারিদ্র্যের মধ্যে থাকবে না। কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। আমাদের সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বিএনপি-জামায়াত চক্র সরকারকে ব্যর্থ করতে মাঠে  নেমেছে। ওরা চায় না দেশ উন্নত  হোক। এজন্য আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা, মানুষের ওপর নির্যাতন ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করছে তারা।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা  দেখেছেন এই ২৮শে অক্টোবর কীভাবে পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।  বেহুঁশ হয়ে গেছে তাও ছাড়েনি। তারপর কুপিয়েছে। ৪৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি। সাংবাদিকদের তারা পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ স্টেশনে ঢুকে হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। কয়েকটা এম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বার বার সরকার গঠন করেছি, আমার তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি মানুষের ভাগ্য বদল করতে চাই। বাংলাদেশের জনগণ আমার পরিবার। আপনারাই বারবার  ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।  নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,  নৌকা স্বাধীনতা দিয়েছে, উন্নয়ন দিয়েছে, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে। নৌকা মার্কায়  ভোট দিয়ে আরেকবার সেবা করার সুযোগ দিবেন।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারী, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও  সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বক্তব্য দেন শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারাহ নাসের তন্ময় এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক  মোজাম্মেল হক, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী  বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল প্রমুখ।

এর আগে বেলা পৌনে ৩টায় খুলনায় সার্কিট হাউজ মাঠে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এ সময় দোয়া ও  মোনাজাত করা হয়। এরপর খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেন  শেখ হাসিনা। পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর এ মহাসমাবেশ ঘিরে খুলনা পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। সমাবেশস্থল ও আশপাশে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী  হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।