ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

‘তফশিল হলেও নির্বাচন হবে না’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তফশিল জারি হলেও নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’

বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তফশিল জারির পর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ প্রতিক্রিয়া জানান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষা প্রধানমন্ত্রীর ভাষারই প্রতিফলন। তফশিল জারির মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন তিনি।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে বলেছেন- অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। একথা ডাহা মিথ্যা, ভন্ডামিপূর্ণ এবং মেকি। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করা চোরাবালিতে পড়ার সামিল।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আবারও একদলীয় নির্বাচন করার নীলনকশা করছে। আর ইসি হচ্ছে তার নির্ভরতার আস্থাস্থল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিশিরাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ সিলেকশন। এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনা। এই কমিশন যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে জনমত উপেক্ষা করে তফশিল জারি করত না। তফশিল জারি হলেই নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’

রিজভী বলেন, ‘দেশে একটি ভীতিকর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একতরফা নির্বাচনের এই তথাকথিত তফশিল-রঙ্গ জনগণ মানে না। এই নীলনকশার নির্বাচনের তফশিলে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আবারও হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এই অবিমৃষ্যকারিতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে ভয়াবহ অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হবে তার পুরো দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের চলমান অগ্নিগর্ভ আন্দোলন আরও তীব্র, আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবং অতি দ্রুতই আওয়ামী সরকারের পতন ঘটবে, ইনশাআল্লাহ। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পর এই সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করবে জনগণ।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

‘তফশিল হলেও নির্বাচন হবে না’

আপডেট টাইম : ০৫:১০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তফশিল জারি হলেও নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না।’

বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তফশিল জারির পর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ প্রতিক্রিয়া জানান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষা প্রধানমন্ত্রীর ভাষারই প্রতিফলন। তফশিল জারির মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন তিনি।’

রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ভাষণে বলেছেন- অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। একথা ডাহা মিথ্যা, ভন্ডামিপূর্ণ এবং মেকি। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বিশ্বাস করা চোরাবালিতে পড়ার সামিল।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আবারও একদলীয় নির্বাচন করার নীলনকশা করছে। আর ইসি হচ্ছে তার নির্ভরতার আস্থাস্থল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিশিরাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ সিলেকশন। এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনা। এই কমিশন যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে জনমত উপেক্ষা করে তফশিল জারি করত না। তফশিল জারি হলেই নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’

রিজভী বলেন, ‘দেশে একটি ভীতিকর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একতরফা নির্বাচনের এই তথাকথিত তফশিল-রঙ্গ জনগণ মানে না। এই নীলনকশার নির্বাচনের তফশিলে বাংলাদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আমি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আবারও হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, এই অবিমৃষ্যকারিতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে ভয়াবহ অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হবে তার পুরো দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের চলমান অগ্নিগর্ভ আন্দোলন আরও তীব্র, আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হবে এবং অতি দ্রুতই আওয়ামী সরকারের পতন ঘটবে, ইনশাআল্লাহ। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার পর এই সম্পূর্ণ অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করবে জনগণ।’