ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা নির্বাচনে এমপি পুত্র ও জামাতার মনোনয়নপত্র জমা বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে–স্পীকার অপশক্তিকে বিতাড়িত করতে হলে ভালো মানুষকে ভোট দিন- কামাল হোসেন টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই’র বাকবিতন্ডা; ট্রেনের ভিতরে ভাংচুর সেনা সদস্য সহ আহত-৫ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠিত কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট

ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রির বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে কৃষিজমি। অন্যদিকে প্রভাবশালীরা আইনের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালাচ্ছে মাটি কেটে বিক্রির রমরমা এ ব্যবসা। অনেক ক্ষেত্রে জমির মালিকরা মাটি বিক্রিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে দেখানো হচ্ছে ভয় ভীতি। সরজমিনে দেখা যায়, ৭নং মেগচামী ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই ফসিল জমি থেকে এক্সকাভেটর (ভেকু) বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি।

পশ্চিম পাশের খেতে রয়েছে গম, তার পাশে রয়েছে পিয়াজ ও মুশুরি খেত। তিন ফসলী মাঠে এভাবে মাটি কেটে বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সেই সাথে মাটি পরিবহনের সময় গাড়ির চাকায় পিস্ট হয়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল। মাটি পরিবহনের সময় ধুলাতেও নষ্ট হচ্ছে ফসল। অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে বাড়ি ঘরের পরিবেশ। জানা যায়, মাটি ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান ও মাসুদ ফকির কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন বিভিন্ন বাড়ি-ভিটে, পুকুর ভরাট সহ ইটভাটায়। স্থানীয় বাসিন্দা ফজল আলী বলেন, দিনেরাতে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘরবাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারী ডাম্প ট্রাক চলার কারণে ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে ওই এলাকার পরিবেশ। এসব মাটির ডাম্প ট্রাক ও গ্রামীন সড়কে নিষিদ্ধ থাকলেও দিনরাত ড্রামট্রাক দিয়ে ক্রেতার কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছেন ওবাইদুর রহমান ও মাসুদ ফকির। স্থানীয় আরো কয়েকজন জানান, ওবায়দুর রহমান ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা ব্যাবহার করে দিনের পর দিন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার তিন ফসলি কৃষিজমিতে খননযন্ত্র (ভেকু) বসিয়ে মাটি কেটে স্থানীয় বসতবাড়ি ভরাটের কাজ করে আসছেন।

অন্যের ফসলি জমির ওপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের জন্য বানানো হয়েছে রাস্তা, এসব রাস্তায় ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে অন্যান্য জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। জমির মালিক নিতিশ বিশ্বাস বলেন, আমার জমি চাষবাস করার লোক নাই। আর এখানে নিচু জায়গা। এজন্য আমার জমির মাটি এমনিতেই দিয়েছি তাদের দিয়েছি। এ বিষয়ে সরাসরি ওবায়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি মাটি কাটছি অনুমোদন নিয়ে। এখানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজেও আসছিলেন। কিন্তু অনুমোদনের কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে উপজেলা মধুখালী নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিকের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না যেহেতু আপনার মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা নির্বাচনে এমপি পুত্র ও জামাতার মনোনয়নপত্র জমা

ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম : ০৭:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রির বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে কৃষিজমি। অন্যদিকে প্রভাবশালীরা আইনের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালাচ্ছে মাটি কেটে বিক্রির রমরমা এ ব্যবসা। অনেক ক্ষেত্রে জমির মালিকরা মাটি বিক্রিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে দেখানো হচ্ছে ভয় ভীতি। সরজমিনে দেখা যায়, ৭নং মেগচামী ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই ফসিল জমি থেকে এক্সকাভেটর (ভেকু) বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি।

পশ্চিম পাশের খেতে রয়েছে গম, তার পাশে রয়েছে পিয়াজ ও মুশুরি খেত। তিন ফসলী মাঠে এভাবে মাটি কেটে বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সেই সাথে মাটি পরিবহনের সময় গাড়ির চাকায় পিস্ট হয়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল। মাটি পরিবহনের সময় ধুলাতেও নষ্ট হচ্ছে ফসল। অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে বাড়ি ঘরের পরিবেশ। জানা যায়, মাটি ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান ও মাসুদ ফকির কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন বিভিন্ন বাড়ি-ভিটে, পুকুর ভরাট সহ ইটভাটায়। স্থানীয় বাসিন্দা ফজল আলী বলেন, দিনেরাতে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘরবাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারী ডাম্প ট্রাক চলার কারণে ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে ওই এলাকার পরিবেশ। এসব মাটির ডাম্প ট্রাক ও গ্রামীন সড়কে নিষিদ্ধ থাকলেও দিনরাত ড্রামট্রাক দিয়ে ক্রেতার কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছেন ওবাইদুর রহমান ও মাসুদ ফকির। স্থানীয় আরো কয়েকজন জানান, ওবায়দুর রহমান ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা ব্যাবহার করে দিনের পর দিন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার তিন ফসলি কৃষিজমিতে খননযন্ত্র (ভেকু) বসিয়ে মাটি কেটে স্থানীয় বসতবাড়ি ভরাটের কাজ করে আসছেন।

অন্যের ফসলি জমির ওপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের জন্য বানানো হয়েছে রাস্তা, এসব রাস্তায় ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে অন্যান্য জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। জমির মালিক নিতিশ বিশ্বাস বলেন, আমার জমি চাষবাস করার লোক নাই। আর এখানে নিচু জায়গা। এজন্য আমার জমির মাটি এমনিতেই দিয়েছি তাদের দিয়েছি। এ বিষয়ে সরাসরি ওবায়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি মাটি কাটছি অনুমোদন নিয়ে। এখানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজেও আসছিলেন। কিন্তু অনুমোদনের কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে উপজেলা মধুখালী নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিকের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না যেহেতু আপনার মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।