ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা নির্বাচনে এমপি পুত্র ও জামাতার মনোনয়নপত্র জমা বিভিন্ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে–স্পীকার অপশক্তিকে বিতাড়িত করতে হলে ভালো মানুষকে ভোট দিন- কামাল হোসেন টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই’র বাকবিতন্ডা; ট্রেনের ভিতরে ভাংচুর সেনা সদস্য সহ আহত-৫ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় গুণী শিক্ষক মোসা. আখতার বানুর অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠিত কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা আ. লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে স্পীকারের শোক নওগাঁয় পানির অভাবে ১শ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছ নওগাঁর ধামইরহাটে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী: ডাক্তারসহ শয্যা সংকট

বরগুনায় সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

আলমগীর হোসেন শুভ :
বরগুনায় সাংবাদিক তালুকদার মোঃ মাসউদকে প্রেসক্লাবে আটকে রেখে নির্যাতনের পর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার সজন ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকাল দশটা বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে ২ ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য মুশফিক আরিফের সাথে বরগুনা প্রেসক্লাবে গিয়ে ক্যারাম খেলা শুরু করেন তালুকদার মাসউদ। প্রেসক্লাবে ক্যারাম খেলতে দেখে এনটিভির বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ তালুকদার মাসউদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালি-গালাজ শুরু করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে সোহেল হাফিজসহ অন্য আসামিরা প্রেসক্লাবের গেট বন্ধ করে মাসউদের ওপর হামলা চালায়। এসময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আসামিরা গেট তালাবদ্ধ করে রাখে। প্রায় এক ঘণ্টা প্রেসক্লাবে আটক থাকার পর বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত বশির আলম প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার ১৩ দিন পর শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গতকাল ৪ মার্চ বরগুনা সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতর স্ত্রী সাজেদা তালুতদার।
নিহত সাংবাদিকের ছেলে তালুকদার তানহা বলেন,আমার বাবাকে সোহেল হাফিজ সহ তার লোকজন মেরে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসুদের মেয়ে তন্নি বলেন, ওরা আমার বাবাকে প্রেসক্লাবে তালা আটকে মারধর করেছে।  তখন আমার বাবা ওদের কাছে পানি চাইলে ওরা পানি পর্যন্ত দেয়নি। ওদের মারধরের কারণে আমার বাবা মারা গেছে। পুলিশ যেন দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম মিজানুর রহমান বলেন, তালুকদার মাসুদের স্ত্রী সাজেদা তালুকদার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ট্যাগস

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে উপজেলা নির্বাচনে এমপি পুত্র ও জামাতার মনোনয়নপত্র জমা

বরগুনায় সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ০৭:৩৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
আলমগীর হোসেন শুভ :
বরগুনায় সাংবাদিক তালুকদার মোঃ মাসউদকে প্রেসক্লাবে আটকে রেখে নির্যাতনের পর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার সজন ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকাল দশটা বরগুনা প্রেসক্লাবের সামনে ২ ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য মুশফিক আরিফের সাথে বরগুনা প্রেসক্লাবে গিয়ে ক্যারাম খেলা শুরু করেন তালুকদার মাসউদ। প্রেসক্লাবে ক্যারাম খেলতে দেখে এনটিভির বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ তালুকদার মাসউদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালি-গালাজ শুরু করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে সোহেল হাফিজসহ অন্য আসামিরা প্রেসক্লাবের গেট বন্ধ করে মাসউদের ওপর হামলা চালায়। এসময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আসামিরা গেট তালাবদ্ধ করে রাখে। প্রায় এক ঘণ্টা প্রেসক্লাবে আটক থাকার পর বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত বশির আলম প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার ১৩ দিন পর শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় গতকাল ৪ মার্চ বরগুনা সদর থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতর স্ত্রী সাজেদা তালুতদার।
নিহত সাংবাদিকের ছেলে তালুকদার তানহা বলেন,আমার বাবাকে সোহেল হাফিজ সহ তার লোকজন মেরে ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসুদের মেয়ে তন্নি বলেন, ওরা আমার বাবাকে প্রেসক্লাবে তালা আটকে মারধর করেছে।  তখন আমার বাবা ওদের কাছে পানি চাইলে ওরা পানি পর্যন্ত দেয়নি। ওদের মারধরের কারণে আমার বাবা মারা গেছে। পুলিশ যেন দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম মিজানুর রহমান বলেন, তালুকদার মাসুদের স্ত্রী সাজেদা তালুকদার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনা এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।