রোস্তম মল্লিক :
ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ টু ভারত স্বর্ণ চোরাচালানের অবিশ^াস্য তথ্য ফাঁস হয়েছে। বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার করা হতো বাংলাদেশ থেকে ভারতে। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিম ও শেখ হেলালের ছত্রছায়ায় স্বর্ণ চোরাচালান হতো বিনা বাঁধায়। হুন্ডি ব্যবসা ও সোনা চোরাচালানের সহযোগী হলেন, বায়তুল মোকাররম গোল্ড মার্কেটের স্বর্ণ ব্যবসায়ী এনামুল হক খান দোলন ও গুলশানের ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক চুয়াডাঙ্গার দীলিপ কুমার আগরওয়াল। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সিন্ডিকেট গত পাঁচ বছরেই দেশ থেকে কমপক্ষে ২০০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এর বিরুদ্ধে স্বর্ণ ও অর্থ পাচার ছাড়াও রয়েছে খুনের মামলা।
গভীর অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা বিমান বন্দরে স্বর্ণ আসার পরই সেই স্বর্ণের নিয়ন্ত্রণ নিতো এমপি শেখ সেলিমের লোকেরা। তারা ভিআইপি টার্মিনাল ব্যবহার করে স্বর্ণগুলো বের করে আনতো। এরপরই সেগুলো হস্তান্তর করা হতো এমপি শেখ হেলালের সিন্ডিকেটের হাতে। গভীর রাতে পুলিশের সহযোগিতায় ওইসব স্বর্ণ পাচার করা হতো দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে যে স্বর্ণ চোরাচালান হয় তার নেপথ্যে কারা রয়েছে তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে একাধিক গোযেন্দা সুত্রে পাওয়া গেছে পিলে চমকানো তথ্য। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, গত ১৬ বছর যাবত আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট আত্মীয় স্বজনরাই স্বর্ণ চোরাচালানের গডফাদারের ভুমিকা পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের এমপি শেখ সেলিম ও শেখ হেলালের সিন্ডিকেটই নিয়ন্ত্রণ করতো এই কারবার। তাদের এই সিন্ডিকেটে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কমপক্ষে ১৫ জন এমপি জড়িত রয়েছেন। এ ছাড়াও আছেন কয়েকজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগ নেতা।
ঢাকা টু বেনাপোল পর্যন্ত স্বর্ণ চোরাচালানের গোল্ডেন রুটটি নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজবাড়ীর আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি কাজী কেরামত আলী, গোয়ালন্দের পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম লিটন, ফরিদপুরের সাবেক মন্ত্রী শেখ হাসিনার বিয়াই খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ভাতিজা। ফরিদপুর ছাত্র লীগের দুই নেতাও ছিল এই দলে। তারা স্বর্ণের চালানটি মাগুরা পর্যন্ত পৌছে দিতেন। মাগুরা কামারখালি ঘাট থেকে সেটি নিয়ন্ত্রণে নিতেন মাগুরা -১ আসনের সাবেক এমপি মো: সাইফুজ্জামান শিখরের লোকেরা। তারা কখনো কখনো এমপি শিখরের শিবরামপুরস্থ বিলাশবহুল সুরক্ষিত বাগান বাড়িতে বিশ্রাম নিতেন। সেখানে বসতো নাচ গান ও মদের আসর। এরপর শিখরের লোকেরা চোরাচালানটি পৌছে দিতো ঝিনাইদহ জেলায়। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু ও ঝিনাইদহ -৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার ( ভারতে গিয়ে হত্যার শিকার) সেটির নিয়ন্ত্রণ নিতেন। এরপর তারা নিজেদের গাড়ীতে করে আবার কখনো পুলিশ সুপারের গাড়ীতে করে চোরাচালানটি যশোরে পৌছে দিতেন। যশোরে গিয়ে আবার হাত বদল হয়ে সেটি চলে যেতো যশোরের এমপি শাহীন চাকলাদারের লোকেদের হাতে। তারা শাহীন চাকলাদারের বিলাশবহুল ৪ তারকা হোটেলে অবস্থান নিতেন। এরপর সেটি পৌছে দেওয়া হতো চুয়াডাঙ্গার এমপি আলী আাজগর টগর ও ডায়মন্ড ব্যবসায়ী দীলিপ আগরওয়ালের লোকেদের হাতে। তারা সেটি গ্রহন করে নিরাপদে ভারতের গোল্ড ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দিতেন। চুয়াডাঙ্গা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তাও তাদের সিন্ডিকেটে জড়িত ছিলেন। তিনি ইনফর্ম পরা অবস্থায় তার সরকারী গাড়ীতে করেও স্বর্ণের চালান ভারত সীমান্তে পৌছে দিতেন বলে তথ্য পাওয়াগেছে।
স্বর্ণ চোরাচালোনের এই মাফিয়া সিন্ডিকেটের সাথে আরো যাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে তারা হলেন: পিরোজপুরের সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পরে এমপি মহীউদ্দিন মহারাজ, (দুবাই ও সিংগাপুরে তার স্বর্ণ ব্যবসা রয়েছে) নড়াইলের এমপি কবিরুল হক মুক্তি,যশোরের সাবেক প্রতিমন্ত্রী স¦পন ভট্রাচার্য্য ও তার পুত্র শুভ ভট্রাচার্য্য, ইউএস বাংলা এয়ারের মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন,বেনাপোলের সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম,সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও তার পুত্র মিতুল হাকিম, কুমিল্লা-৩ আসনের সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার,সাবেক এমপি ও হুইপ ইকবালুর রহিম, কালিগঞ্জের আমেরিকা প্রবাসী শাহীনুর রহমান শাহীন।
সুত্র মতে গত ১৬ বছরে স্বর্ণ চোরাচালান করে এই চক্রটি কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকা অবৈধ আয় করেছে। আর এই টাকার ভাগাভাগির দ্বন্দ্বেই ভারতে গিয়ে খুন হয় ঝিনাইদহ -৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। এ সব সাবেক এমপি, নেতা ও ব্যবসায়ীদের সেনাবাহিনীর টাক্সফোর্সের মাধ্যমে গ্রেফতার করে জিঞ্জাসাবাদ করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে এবং হাজার হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করছেন অপরাধ বিষেশজ্ঞরা।
আরো জানাগেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডায় ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে শিবচরের সন্ন্যাসীর চর এলাকার হৃদয় হোসেন শিহাব নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ আগরওয়ালাসহ ১৬১ জনের নামে মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে।
২২ আগস্ট বাড্ডা থানায় শিবচর পৌরসভার সাবেক কমিশনার শাহাদাত হোসেন খান মামলাটি করেন। এ ছাড়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্বর্ণ চোরাচালান রুটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্ধে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ার হোসেন আনার খুনের ঘটনাটি ঘটে। চাঞ্চল্যকর ওই খুনের ঘটনার তদন্তেও বেরিয়ে আসে দিলীপ আগরওয়ালার নাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাচালনের মাফিয়া এনামুল হক খান দোলন বিগত সরকার আমলে শেখ সেলিমের অবৈধ কারবারের সহযোগী ছিলেন। শেখ সেলিমের হয়ে বিদেশে অর্থ পাচার ও স্বর্ণ চোরাচালান করতেন। দুবাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশে তাঁদের চোরাকারবারের সিন্ডিকেট রয়েছে ।
সূত্র জানান, নামে-বেনামে বেশুমার সম্পত্তি থাকার পরও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয় বিতর্কিত ব্যবসায়ী ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে। যাঁর বিরুদ্ধে সোনা, হীরা চোরাচালানসহ বিস্তর অভিযোগ। দেশে বিদেশে হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থাকা এ ব্যক্তিকে দায়মুক্তি দেন দুকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের কমিশন। ২০২১ সালের ১০ মার্চ ইকবাল মাহমুদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের পাঁচ মাসে নিষ্পত্তি হওয়া ৪০৮টি নথি নতুনভাবে তদন্ত শুরু করছে দুদক। সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নির্দেশে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক বিতর্কিত ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালাসহ ৪ শতাধিক ব্যক্তির বেশুমার দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে দুদক কমিটিও গঠন করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাই কোর্ট যে ৪০৮ মামলার নথি তলব করেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এর মামলা। দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের অবসরে যাওয়ার মাত্র পাঁচ মাসে মামলা দায়ের ও অতিদ্রততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা সব মামলার নথি তলব করেছে হাই কোর্ট। প্রতিবেদন আকারে মামলাগুলোর নথি দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওইসব নথির মধ্যে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নথি রয়েছে। ওই নথির তথ্য এবং দুদকে জমা হওয়া অভিযোগমতে মাত্র দুই দশকের ব্যবধানে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। ’৯০-এর দশকে ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের দিলীপ নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিপুলসংখ্যক শোরুম। তাঁর সামগ্রিক উপার্জনের বৈধতা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগে বলা হয়, মূলত সোনা ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন তিনি। তা ছাড়া দিলীপের বৈধ আয়ের চেয়ে অবৈধ সম্পদের পরিমাণই বেশি।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে সোনা এবং হীরা চোরাচালান ও বিদেশে অর্থ পাচারের ব্যাপক তথ্য পাওয়া যায়। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, দিলীপ কুমার আগরওয়ালার পাহাড়সম সম্পদ শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও রয়েছে। রাজধানীর গুলশানে একটি হোল্ডিংয়েই তাঁর নামে কেনা হয় সাতটি ফ্ল্যাট। এ ছাড়া দেশের বাইরে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে পান্না ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, ২৫৩ রবীন্দ্র সরণি, বিবেকানন্দ রোডের বড়বাজার, ধর্মতলার গোল্ডেন মল, ডবসন রোডের রাঘব প্লাজা মল, অস্ট্রেলিয়ার ২৯ রেলডল্প স্ট্রিটে রয়েছে মিরোরা বাই ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের শোরুম।
দিলীপের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন মৃধার নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম অনুসন্ধান শুরু করে। টিমের অন্য দুই সদস্য ছিলেন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান সিকদার ও উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুজ জামান। অভিযোগটি দুদক বিধিমালা ২০০৭ মোতাবেক অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। দুদক থেকে সম্পদ বিবরণীর নোটিস পাঠানোসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দফা চিঠি দেওয়া হয় দিলীপ আগরওয়ালকে। অনুসন্ধান দলের এক সদস্য জানান, দিলীপের বিরুদ্ধে সোনা, হীরা চোরাচালানসহ বিদেশে অর্থ পাচারের বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। এসব তথ্য-উপাত্ত যাচাইবাছাই করে যথাযথ প্রমাণ হাতে নিয়েই ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর নথিপত্রসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। কিন্তু নথিপত্রসহ দুদকে হাজির হতে দুই মাসের সময় চান দিলীপ। তবে পরবর্তী সময়ে পুনরায় চিঠি দিয়ে দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সম্পদের তথ্য বিবরণী আর দুদকের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের মধ্যে ব্যাপক গরমিল পাওয়া যায়। দিলীপ কুমারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে দুদকের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা বিভাগ, বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ডাক সঞ্চয় অধিদপ্তর, ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে চিঠি দেয়। শুধু দিলীপই নন, চুয়াডাঙ্গার আগরওয়ালা সম্প্রদায়ের প্রায় সবারই কলকাতায় ‘গদিঘর’ নামে ব্যবসায়িক ঠিকানা পাওয়া যায়। বংশানুক্রমেই তাঁদের সীমান্তের ওপারে যাতায়াত আর নানা পণ্য সরবরাহ ও বেচাকেনায় সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর যাচাইবাছাই শেষে মামলার সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক তদবীরে তদন্ত প্রভাবিত করে সময় ক্ষেপণ করান।
প্রায় তিন বছর ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর দুদক হঠাৎই অভিযোগ নথিভুক্ত (দায়মুক্তি) করে। দায়মুক্তির ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন দুদকের ওই সময়কার মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাইদ মাহবুব খান। দিলীপের দায়মুক্তির নথি নম্বর ০০.০১.০০০০.৫০২.০১.১৭২.১৭। দিলীপকে দায়মুক্তি দেওয়ায় প্রশ্ন ওঠে দুদকের কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে। এ ছাড়া ইকবাল মাহমুদ অবসরে যাওয়ার আগে যেসব দায়মুক্তি দেন সেগুলো নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে। ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর গোল্ড মাফিয়া দীলিপ আগরওয়ালকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। আদালত থেকে রিমান্ডে এনে তাকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। (অনুসন্ধান চলমান)
শিরোনাম :
গডফাদার শেখ সেলিম ও শেখ হেলাল:
বাংলাদেশ টু ভারত স্বর্ণ পাচারে জড়িত আওয়ামী লীগের ২১ মন্ত্রী এমপি নেতা!
- খবর বাংলাদেশ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০৬:০০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- ৮২১ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ