ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিহাতীতে ইউএনওর ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতায় বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে

শাহ আলম, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের একটি আয়োজন বন্ধ করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার, ৬ অক্টোবর, দুপুর ২টায়, ইউএনও শাহাদাত হুসেইন কালিহাতী পৌরসভার ছিলিমপুর এলাকায় প্রবাসী হিজরতের বাড়িতে গোপনে চলা একটি বাল্যবিয়ের আয়োজনের খবর পান। তিনি দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই বেআইনি বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করেন।
কিশোরীর মা জানায় যে তার মেয়ের বয়স ১৮ বছর, কিন্তু ইউএনও জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিশ্চিত হন যে মেয়েটির বয়স ১৮ হয়নি।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে মেয়েটি জানায়, সে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চায় এবং এই বিয়েতে তার মত নেই। ইউএনও শাহাদাত হুসেইন মেয়েটিকে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন এবং বিয়ের আয়োজন বন্ধ করতে কিশোরীর মাকে কঠোর নির্দেশনা দেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা ইউএনওর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। তারা মনে করেন, প্রশাসনের এই ধরনের উদ্যোগ বাল্যবিয়ে রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

এই ঘটনাটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিহাতীতে ইউএনওর ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতায় বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে

আপডেট টাইম : ১০:৩৩:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

শাহ আলম, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের একটি আয়োজন বন্ধ করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার, ৬ অক্টোবর, দুপুর ২টায়, ইউএনও শাহাদাত হুসেইন কালিহাতী পৌরসভার ছিলিমপুর এলাকায় প্রবাসী হিজরতের বাড়িতে গোপনে চলা একটি বাল্যবিয়ের আয়োজনের খবর পান। তিনি দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই বেআইনি বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করেন।
কিশোরীর মা জানায় যে তার মেয়ের বয়স ১৮ বছর, কিন্তু ইউএনও জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিশ্চিত হন যে মেয়েটির বয়স ১৮ হয়নি।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে মেয়েটি জানায়, সে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চায় এবং এই বিয়েতে তার মত নেই। ইউএনও শাহাদাত হুসেইন মেয়েটিকে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন এবং বিয়ের আয়োজন বন্ধ করতে কিশোরীর মাকে কঠোর নির্দেশনা দেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা ইউএনওর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। তারা মনে করেন, প্রশাসনের এই ধরনের উদ্যোগ বাল্যবিয়ে রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

এই ঘটনাটি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড়িয়েছে।